– কবিতা লেখা –

কবিতা লেখার লাইগা যখন আপনারে একটা বেকুবি ইনভেন্ট করার দরকার পড়ে তখন কবিতা লিখাটা বেশ কঠিনই হওয়ার কথা। [অবশ্য বেশিরভাগই তো ‘কঠিনেরে ভালোবাসিলাম…’, পাতলা পায়খানার চাইতে কোষ্ঠকাঠিন্য বেটার – এইরকম উপমা দিয়া বাইর হইয়া যাওয়া যায়।] কারণ এইটা এমন একটা কিছুরে প্রজেক্ট করে যেইটার গোড়া আসমানে থাকে সবসময়। চালাকির এগেনেইস্টে বেকুবি দিয়া কোন কবিতা লেখা হয় না, একইভাবে চালাকি করতে পারাটাই তো কবিতা না কখনোই – কিছু টেকনিক, স্কিল বা প্যার্টানের ভিতর নিজের ইমোশনরে আটাইতে পারাটা। কবিতা বানাইতে হয়, বানানো যায়; কিন্তু সোসাইটিতে ক্রাইম করতে থাকা পাওয়ারফুল লোকজনের জোর কইরা ইনোসেন্ট হইতে চাওয়ার মতো আগলি জিনিস আর হয় না।

 

How Do I Know That I Don’t Know

 

প্রাইমারি স্কুলে পড়ার সময় একটা নাটক করতাম আমরা। নাটকের কাহিনিটা ছিল এইরকমের যে, গ্রামে (হায় অশিক্ষিত গ্রাম!) দুইটা পাড়াতে দুইটা স্কুলে দুইজন টিচার আছেন; দুই পাড়ার লোকজনেরই ধারণা যে তাঁদের পাড়ার স্কুলের টিচার-ই বেশি জ্ঞানী, বেশি জানেন। এই নিয়া ঝগড়া-টগড়াও হয়। পরে, সবাই মিইলা ঠিক করেন যে, সবার সামনেই কম্পিটিশন হবে। তো, একটা নির্দিষ্ট ডেইটে, নির্দিষ্ট টাইমে, নির্দিষ্ট প্লেইসে দুইজন টিচারসহ গ্রামের সব লোকেরা আসেন, গোল কইরা দাঁড়ান এবং বসেন। মাঝখানে দুইজন টিচার থাকেন। কম্পিটিশনটা হয় ইংরেজি জানা নিয়া-ই। একজন টিচার খুব খটোমটো টাইপের একটা ইংরেজি’র মানে জিগান; ধরেন, ‘circumstance’ [মানে, ক্লাস থ্রি/ফোর’রে পড়ার সময় কঠিন-ই আছিলো মনেহয় এই শব্দটা]; তো সেকেন্ড জন এইটার উত্তর দেন, ধরেন ‘পরিস্থিতি’ [মানে, এইটা বাংলা হিসাবেও প্রায় সেইম লেবেলেরই কঠিন]; গ্রামের লোকজন তো জানে না ঠিক হইছে কিনা; কিন্তু যিনি কোশ্চেন করছিলেন, তিনি মাইনা নেন বইলা সবাই বুঝতে পারে যে ঠিকই হইছে। তখন যিনি উত্তর দিছিলেন উনি ‘I don’t know’র বাংলা করতে বলেন। যাঁরে জিগানো হইলো, তিনি এক সেকেন্ডও দেরি না কইরা উত্তর দেন, ‘আমি জানি না।’ এইবার গ্রামের লোকজন আর ওয়েট করে না; তিনি তো বইলাই দিছেন যে, জানেন না; সো, সবাই তাঁর জানা’র ব্যাপারে একটা ফয়সালা করতে পারে, নিজেদের জানা দিয়া। রিয়েল মিনিং আর কনটেক্সটুয়াল মিনিং এক হয়া যাইতে পারে। Continue reading

সেক্স-রোবট

অনলাইনে বা প্রাকটিক্যাল লাইফেও যেইসব মানুষদেরকে সেক্স-রোবট হিসাবে পারফর্ম করতে হয় সেক্স-রোবট বানানো শুরু হইলে উনাদের মেশিন হওয়ার নেসেসিটি কইমা আসবে বা কমপিট করা লাগবে মেশিনের সাথেই, তখন মোর ‘মানুষ’ হওয়ার অপারচুনেটি বাড়তে পারে উনাদের; যদিও এই কারণে ‘নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা’ কমার কথা না। বরং ‘রিয়ালিটি’র একটা নিশ অর্গানিক মার্কেট তৈরি হইতে পারে। এনাফ ডিমান্ড তৈরি হওয়ার পরে পুরুষ সেক্স-রোবটও বানানো হবে, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী ম্যান-এর মতো। দেখেন, আমরা (মানে, হিউম্যান এগজিসটেন্স) হইলাম ডিজায়ার প্রডাক্ট; ব্যাপারটা এইরকম না যে আমরা ডিজায়ার বানাই, ডিজায়ারই আমাদের এগজিসটেন্সরে মিনিংফুল করতে পারে।

এথিকসওলাদেরও আর্গুমেন্ট এইটা যে, এই সেক্স-রোবটগুলি আমাদের ডিজায়ারের লেভেলে আসতে পারে নাই। মানুষও তো একদিনে মানুষ হয় নাই, ধীরে ধীরে সেক্স-রোবটরাও ফোরপ্লে করতে শিখবে। Continue reading

ঘুম

পাহাড়ি গড-এর সীমানা পার হয়ে আমরা নেমে আসছিলাম রাস্তায়, ট্রাফিক জ্যামে। মানুষের কথা, মানুষের সঙ্গ খালি ক্লান্ত করে। একই কথা তাঁরা বলতে থাকে, একই গান গাইতে থাকে। আর বলে এরা নতুন। আমাদের ভঙ্গিমা দিয়া আমরা নতুন কিছু আবিষ্কার করতেছি। নতুন নতুন আবিষ্কার দেখতে দেখতে শুনতে শুনতে ক্লান্ত লাগতে থাকে। রিকশায় কিছুদূর আসার পরে মনেহয় রিকশায় বইসাই ঘুমায়া যাই। পাহাড়ে রিকশা নাই। Continue reading

স্ট্রাগল অফ মিনিং

তপনরায় চৌধুরী’র অরিয়েন্টালিজম রিডিংটা নিয়া লিখবো বইলা ভাবছি অনেক আগেই। কিন্তু লেখা হইতেছে না, তাই ভাবলাম যদ্দূর পারি আরেকবার আরেকটু নোট নিয়া রাখি, পরে পারলে আবার লিখবো নে।

অরিয়েন্টালিজমের ক্লেইম এইটা যে, ইউরোপ তার কলোনি হিসাবে ইন্ডিয়া বা অন্যান্য জায়গা দখল করতে পারছে তার নলেজের সুপিয়রিটি প্রুফ করার ভিতর দিয়া। প্রাচীন ইন্ডিয়া বা আদি ভারত-মাতা আসলে ইউরোপেরই আবিষ্কার করা নলেজ। এই নলেজ’রে অ্যাকসেপ্ট করার ভিতর দিয়া ইন্ডিয়ান ইন্টেলকচুয়ালরা আসলে খাল কাইটা ইউরোপিয়ান কুমিরদেরকে নিয়া আসেন। এই জায়গায় তপনরায় চৌধুরী’র ক্লেইমটা অনেকটা নিচে থাইকা তলঠাপ দেয়ার মতো। উনি বলতেছেন যে, ইন্ডিয়ান এলিটরা এই নলেজরে খালি নেন-ই নাই, যাচাইও করছেন। এই যাচাইয়ের জায়গা নিয়াই উনি ডিটেইল বই লিখছেন একটা। এর বিপরীতে হাবিলার-গোষ্ঠীরে নিয়াও উনি হাসি-ঠাট্টা করছেন এইকারণে যে উনাদের থিওরেটিক্যাল বেইস ওই অরিয়েন্টালিজমই। Continue reading