এমপি বদি, যারে সাসপেক্ট করা হয় ইয়াবা চালানের মেইন একজন পারসন হিসাবে, উনি যখন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন, ‘চল নামি যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’, তখন আমরা যারা উনারে সাসপেক্ট করি, চরম মেজাজ খারাপ হওয়ার কথা। দুই নাম্বারি’র একটা লিমিট থাকে!
কিন্তু উনি তো পারেন এইটা। কেমনে পারেন? – এইটা নিয়া বরং ভাবতে পারি। এক হইলো, উনি নিজের হাতে এইসব করেন না যেহেতু, মনে হইতেই পারে, নিজে তো আর করতেছেন না! বরং কিছু মানুষের রুটি-রুজি’র ব্যবস্থা করতেছেন। বা ডিমান্ড তো আর উনি ক্রিয়েট করেন নাই। এইভাবে কি উনি নিজেরে কনভিন্স করতে পারেন? আমার সেইটা মনেহয় না। এইসব চিন্তা থাকলে কারো পক্ষে ড্রাগসের ব্যবসা করাই পসিবল হওয়ার কথা না।
ব্যাপারটা বরং সারভাইবালের জায়গা থিকা কাজ করার কথা। উনি আওয়ামী লীগের পলিটিক্স করেন। পলিটিক্সে টিইকা থাকতে হইলে সেইটা নিজের এগেনেস্টে গেলেও সারভাইব করার লাইগা ওই ট্রেন্ডে থাকবেন উনি। দরকার পড়লে ইয়াবা’র ব্যবসা ক্লোজ কইরা দিয়া বিয়ারের ব্যবসা করবেন। যখন যেইটা দরকার। নিজে বাবা খাইলে নাহয় ছোটখাট চালান নিজেদের লাইগা রাইখা দিলেন।
গডফাদারে আছে না, ব্যবসা চেইঞ্জ করলো কর্লিয়নি ফ্যামিলি। জুয়ার ব্যবসায় গেলো, কিন্তু ড্রাগসের না। আবার অন্যরা ড্রাগসের বিজনেস করলো। সমস্যা তো নাই! ইয়াবা দিয়া বা ড্রাগস দিয়াই ব্যবসা করা লাগবো, এমপি বদি মেবি সেক্যুলারদের মতোন এতোটা স্ট্রিক্ট না। তবে হ্যাঁ, এই সময়ে আওয়ামী লীগ না করলে কিছুই করা যে পসিবল না, এই বুদ্ধি বা কমন সেন্স উনার থাকারই কথা। এই কারণে, শ্লোগানটা আগে উনারই দিতে পারা দরকার।