২০০৯/১০ সালের দিকে যেই অফিসে চাকরি করতাম সেইখানে পাটের ব্যবসা নিয়া আমারে ইন্টারেস্টেড কইরা তুলছিলেন আমার এক কলিগ। যেহেতু আমাদের চাকরি করতে ভাল্লাগতো না, আমরা ব্যবসা নিয়া আলাপ করতাম। পাটের ব্যবসা নিয়া সে সিরিয়াসই ছিল। ওর পাল্লায় পইড়া পাটের ব্যবসা নিয়া কিছু খোঁজ-খবর নিছিলাম। দেখলাম যে, গ্লোবালি পাটের ব্যবসা করে বাংলাদেশ আর ইন্ডিয়াই। পাটের চাষ বা উৎপাদন বাংলাদেশে বেশি হইলেও জুট রিলেটেড এক্সপোর্ট ইন্ডিয়াই বেশি করে; আর বাংলাদেশ থিকা কাঁচা পাট ইন্ডিয়াতে রপ্তানি হয়; কিন্তু কাঁচা পাট বেচলে লাভ কম। লাভ আসলে পাট থিকা নানান জিনিস-পত্র বানানিতেই। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে কোটেশন দেয়ার সময়েই বাংলাদেশের সাপ্লাইয়ার’রা কাজ পাওয়ার জায়গা থিকা বাতিল হয়া যায়। মেইনলি দুইটা কারণে – এক হইল, ইন্ডিয়া তার ব্যবসায়ীদেরকে ১৫% সাবসিডি দিতো, বাংলাদেশ গর্ভমেন্ট দিতো ১০%; দুসরা, ইন্ডিয়া ওয়ার্ক-অর্ডার পাইলেই সাবসিডির টাকা অ্যাডভান্স দিয়া দেয়, আর বাংলাদেশে মাল ডেলিভারি দেয়ার পরে সাবসিডির টাকা ক্লেইম করতে হয়। তো, ধারণা করা যায়, যেহেতু বাংলাদেশে দুই নাম্বারি বেশি হয়, এমনকি মাল ডেলিভারি না দিয়াও পুরা ভুয়া কাগজ-পত্র দিয়া যেহেতু টাকা-পয়সা তুইলা নেয়ার ঘটনা থাকতে পারে, এই কারণে ‘শক্ত’ রেগুলেটরি ব্যবস্থা নেয়া হইছে। মানে, আইন কইরা দুর্নীতি ঠেকানোর লাইগা ব্যবসা করাই বন্ধ করা হইছে। ‘শক্ত’ আইন দিয়া যে দুর্নীতি বন্ধ করা যায় না, বরং এইটা যে প্রাকটিসের ঘটনা, সেই জায়গাগুলাতে অ্যাকশন না নিতে পারাটা যে এইভাবে জাস্টিফাই করা হয়, এইটা সেই বেসিক জায়গাটারই সমস্যা। যা-ই হোক…
তো, আমার এই একটুখানি এক্সপেরিয়েন্সের জায়গা থিকা যদি দেখি, দুইটা জিনিস অনুমান করা যায়। এক, বাংলাদেশে পাটকলগুলা বন্ধ হইলেই খুব তাড়াতাড়ি পাট চাষও বন্ধ হয়া যাবে – ব্যাপারটা এইরকম না, বরং ইন্ডিয়াতে কাঁচা পাটের রপ্তানি আরো বাড়ার কথা। গত কয়েক বছরের ডেটা দেখলে হয়তো ব্যাপারটা কিছুটা টের পাওয়া যাবে যে, বাংলাদেশে পাট উৎপাদন আর ইন্ডিয়াতে কাঁচা পাট রপ্তানির সিচুয়েশনটা কি রকম। যদিও পাট উৎপাদনের ডেটা ভুলই থাকার কথা, কিন্তু রপ্তানিটার এটলিস্ট ঠিক থাকার কথা, মানে কিছু আন্দাজ মনেহয় পাওয়া যাবে, আমার অনুমানটা কতোটা ভ্যালিড। Continue reading