শাহবাগ ২

 

শাহবাগ আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয়া গেছে।

এইটা ছিল সর্বপ্রথম একটা স্পার্কিং। একটা রিয়েল স্পেসরে ভার্চুয়াল কইরা তোলা। সেইটা সম্ভব করা গেছে। এখন সবাই এই ভার্চুয়ালের অংশ হয়া উঠতে চাইতেছে। আমরাই শাহবাগ। আমরা গড়ে তুলতেছি আমাদের নিজস্ব শাহবাগ। আমাদের আংশকা আর আশাবাদ দিয়া। এক একটা শাহবাগ জন্ম নিতেছে এখন আমাদের মনে। আমাদের ঘরে, আমাদের শহরে, আমাদের কম্পিউটারে, আমাদের শব্দের ভিতরে। আধা সংশয়ে, আধা ইন্টেলেকচুয়ালিজমে সে সইরা সইরা যাইতে চাইতেছে! ছিপ দিয়া ধরার চেষ্টা অবশ্য করতেছে, অনেকে।  [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

এই প্রথম বাংলাদেশের ডমিনেন্ট প্রিণ্ট মিডিয়া এবং টিভি-সাংবাদিকতারে ডিঙাইয়া ইন্টারনেট সামনে চইলা আসছে। যদিও ব্লগ আর ফেইসবুকের কথাই বলা হইতেছে। কিন্তু ফর্ম হিসাবে এইটা ব্লগ অ্যাক্টিভিটি আর ফেসবুকিং এর ভিতরে নাই। এইটা একটা কমপ্লিট ভার্চুয়ালিটি যা মিডিয়ার রিয়ালিটিরে হারাইয়া দিছে। ২৪ ঘণ্টা শাহবাগ মোড় কাভার কইরাও কোন ট্রেস পাওয়া যাইতেছে না, কোথায় এইটা সংগঠিত করতেছে নিজেদেরকে? যারা যারা আছে, তারা কারা? উগ্র জাতীয়তাবাদী, উদার বামপন্থী, উদভ্রান্ত দর্শক যারা মিডিয়ার রিয়ালিটি দেখতে দেখতে এর ভিতর ঢুকে গেছে?

Continue reading

ব্লগ ও সাহিত্য: ক্ষুদ্রত্বের আকাংখা এবং আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা

কমিউনিটি ব্লগে ত লিখছি কিছুদিন; সম্ভবত ২০০৬/৭ থিকা ২০১০ এর মাঝামাঝি সময়টাতে; সচলায়তন-এ নিয়মিতই, প্রায় ৮/১০মাস; আমার ব্লগ-এ ২/৩মাস, আর এর ফাঁকে সামহোয়ারইন ব্লগ-এ কিছুদিন ছাড়াছাড়া-ভাবে; এরমধ্যে গুগল-এও একটা নিজের ব্লগ অ্যাকাউন্ট করছিলাম, একধরণের আর্কাইভিং এর জন্য। কোনকিছুই কনটিনিউ করা হয় নাই, শেষপর্যন্ত।

কেন যে হয় নাই, এই বিষয়টা নিয়া মোটামুটি একটা ধারণা আমার হইছে।

একটা কারণ যে আমি ‘সাহিত্য’ লিখতে চাই, ‘ব্লগ’ লিখতে চাই না। সাহিত্য এবং অন্যান্য লিখিত ফর্ম (সংবাদ প্রতিবেদন, এনজিও গবেষণা-পত্র…) এর মধ্যে নানান পার্থক্য আছে, প্রধান পার্থক্যটা মনেহয় উদ্দেশ্যের দিক থিকা। উদ্দেশ্য বলতে খুব ডেফিনিট কিছু না যে, আপনি আসলে কি করতে চাইতেছেন, কেন, কার জন্য ইত্যাদি… এইসব প্রশ্নের সমাধান কইরা ত আর লেখালেখি হয় না, কিন্তু একটা ধারণা আসলে থাকেই বা লিখতে লিখতেই তৈরি হইতে থাকে। ‘কেন’ জিনিসটা রিফ্লেক্টেট হয় মোস্টলি ‘কিভাবে’-এর ভিতর দিয়াই; আলাদা কইরা ‘কেন’ মনেহয় হয় না। Continue reading