শাহবাগ

শাহবাগ কই গেছে?

শাহবাগ শাহবাগেই আছে। কিন্তু শাহবাগ এখন একটা রিডিফাইন্ড আইডেন্টিটি। এর যে ইন্টেলেকচুয়াল কন্ট্রিবিউশন সেইটা বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থারই একটা ‘উল্লম্ফন’ – ‘বিপ্লব’ অর্থে না নিতে পারলেও, ‘ব্যতিক্রম’ অর্থে ত অবশ্যই। এইটা ‘ব্যতিক্রম’ কারণ বর্তমান রাজনৈতিক যে সম্ভাবনাগুলা ছিল এর প্রায় বাইরে গিয়া এই ঘটনা ঘটতেছে। কেউই ভাবতে পারেন নাই যে, যারা প্রথম আলো পড়ে এবং প্রথম আলোর সমালোচনা করে, যারা হিন্দি সিরিয়াল দেখে এবং এইটা নিয়া বিব্রত থাকে, যাদের বাচ্চারা হিন্দিতে ডোরেমন দেখে এবং এইটার বিরোধিতা করে – মানে, ক্যাটাগরিক্যালি ঢাকা শহরের এবং বাংলাদেশের যারা ‘ডমিমেন্ট মাইনরিটি’ তারা বাসের আলাপ, চাকরির ভয়, ব্যবসার রিস্ক, ব্যক্তিগত বিষাদ পার হয়া ‘অ্যাক্টিভিজম’ এ নাম লিখাইতে পারে। এই সম্ভাবনা কেউ ইমাজিন করছেন বইলা আমি দেখি নাই।  [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

তো সেইটা যখন ঘইটাই গেছে, আমাদের ইন্টেলেকচুয়াল বিহ্ববলতা কাটতে পারে নাই। আর এখন যখন একটু একটু কাটতে শুরু করছে আমরা জোর কইরা এইটারে একটা ‘সম্ভাবনা’র ভিতর ঠেইলা ঢুকাইতে চাইতেছি। আর আবশ্যিকভাবেই ‘বিপ্লব’ কোন সম্ভাবনার ভিতর থিকা পয়দা হইবো না। ‘বিপ্লব’ সবসময়ই একটা ‘অসম্ভব’ ঘটনা।

Continue reading

হোয়াই বিশ্বজিৎ?

 

ওইদিন বিএনপি’র অবরোধে ত আরো ২/৩ জন মারা গেছেন! বিশ্বজিৎরে নিয়া এতো কথা, কবিতা, আলাপ-আলোচনা কেন? – এই প্রশ্নের উত্তর কেউ দিছেন কিনা আমার জানা নাই। আমার কাছে, বিশ্বজিৎ এর খুন হওয়াটা অবশ্যই সিগনিফিকেন্ট একটা ঘটনা, কারণ এই একটা মরার সিন আপনি বাংলাদেশে প্রথম টিভিতে দেখতে পাইতেছেন। এইটা সিনেমার বানানো কোন সিন না, ইটস রিয়েল। কয়েকজন মানুষ চাপাতি দিয়া কোপাইয়া একজনরে মাইরা ফেলতেছে। ইমেজটারে আপনি আর আলাদা করতে পারতেছেন না। এইটা আপনারে চাইপা ধরছে; টিভিতে নায়কের ভঙ্গি ফলো কইরা আপনি কথা বলেন, নায়িকার প্রগলভতারে আপনি ট্রান্সমিট করেন ডেইলি লাইফে। এখন সন্দেহ হয়, এই যে মৃত্যুদৃশ্য সেও ত আপনার জীবনে চইলা আসতে পারে! এই যে ইমেজের ফ্রাস্টেশন, এইটা একদিক দিয়া কবি-সাহিত্যিকদের আপ্লুত কইরা থাকতে পারে। যেমন, নূর হোসেনের ক্ষেত্রে তার ফটোগ্রাফ। এই ফটোগ্রাফ না থাকলে, নূর হোসেনরে নিয়া কবিতা লিখাটা টাফ হইতো, শামসুর রাহমানের এবং অন্যদের। কবিতাগুলা বা আলাপ-আলোচনাগুলা কেমন হইছে, এর চাইতে কেন সম্ভবপর হয়া উঠছে, সেইটা নিয়াই বলতে চাইতেছি আমি। আই হ্যাভ স্ট্রং ডাউট, টিভিতে প্রচারিত হওয়া ছাড়া বিশ্বজিৎ এর মৃত্যুটা এতোটা ইনটেনস হইতে পারতো কিনা।   Continue reading

চোর’রে আমার সালাম!

 

Facebook e torko kora moha genjamer kaaj. Ektar meaning arekta hoi. – Ritu Pakhi.

 

একটা ও আরেকটা

Sumon Rahman একটা নোট লিখছেন, অনেকে নোটটাতে লাইক দিছেন, কমেন্ট করছেন এবং নোটটা শেয়ার করছেন। সেইখানে একটা মন্তব্য করতে গিয়া Ritu Pakhi এই বাক্য দুইটা লিখছিলেন।

উনার এই ‘একটা’ কথার ‘আরেকটা’ অর্থ করার চেষ্টা করি।

‘meaning’ ত কখনোই একটা না; ‘একটা’ হওয়া তখনই সম্ভব, যখন সবাই ‘এক’ হয়া যাইবো; মানে, Ritu Pakhi’র কথা সবাই Ritu Pakhi’র মতোই ভাববো এবং পড়বো; এইটা ছাড়া ‘এক’ ঘটনা ‘এক’ হওয়া কেমনে সম্ভব?

যদি এইটা হয়ও সেইটা খুবই বাজে একটা ঘটনা হইবো। এই যে ‘আরেকটা’রে ঠেকাইতে চাওয়া, এইটা সব মানুষের চিন্তারে একই টাইপ করতে চাওয়ার আকাংখা, মিলিটারী-ভাবনা… হইতে পারে বর্তমান বাংলাদেশের কলাম-লেখকদের এক ধরণের বুদ্ধিজীবিতা।

Continue reading

রাষ্ট্র ত একটা এজেন্সী ছাড়া আর কিছুই না!

টাইটেলের কথাটা মনে হইছিল কয়েকদিন আগে। যে বিষয়টাতে মনে হইতেছিল, সেইটা নিয়া একটা নোট এবং একটা স্ট্যাটাস দিছেন, মাহবুব মোর্শেদ; তাই নতুন কইরা আবার মনে হইলো।

এখন মাহবুব মোর্শেদ যেইটা বলেন, সেইটা কিন্তু গ্রাউন্ডটা চেইঞ্জ কইরা বলেন না; বলেন একই গ্রাউন্ডে দাঁড়াইয়া। সেই গ্রাউন্ডটা কী? গ্রাউন্ডটা হইলো, রাষ্ট্রের ক্ষমতা! আর এইখানেই আমার আপত্তি। রাষ্ট্র ত একটা এজেন্সী ছাড়া আর কিছু না।

যারা বলেন, মন্ত্রীদের পদত্যাগ করা দরকার, তারা ত আসলে রাষ্ট্ররে গুরুত্বপূর্ণ কইরা তোলেন। যেন মন্ত্রীরা চেইঞ্জ হইলেই বিদ্যমান ‘বিষাদ’গুলার ‘আনন্দ’-এ পরিবর্তিত হওয়া সম্ভব! মাহবুব মোর্শেদের কথাতেও এই জায়গাটাতে [রাষ্ট্ররে গুরুত্বপূর্ণ ভাবাটাতে] কোন আপত্তি নাই, বরং উনার কথায় মনে হইছে যে, রাষ্ট্র ব্যাপারটা ত অ-গুরুত্বপূর্ণ না-ই, বরং রাষ্ট্রের ক্ষমতা দখলের জায়গাটারে মেরামত করা লাগবো। তাইলেই একটা কিছু হইবো।

যদিও (টাইগার) বামপন্থী ফারুক ওয়াসিফের সাথে উনার তর্কাতর্কি দেখি ফেসবুকে, জাহাঙ্গীরনগরের ধর্ষণ-বিরোধী আন্দোলন বিষয়ে [এইটার অসারতা নিয়াও চিন্তা আছে আমার, বলবো নে পরে] কিন্তু উনাদের ঐক্যের জায়গাটারেই বিরাট বইলা মনে হয়। দুইজনেই শুধুমাত্র রাষ্ট্র-ক্ষমতার দখলটারে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন বইলা না, রবং উনারা যেইভাবে চিন্তা করেন, সেই জায়গাটা একইরকম বইলা। Continue reading