লাভ ইজ অ্যা ক্লাশ ওয়ারফেয়ার

 

মানে, ওয়েল-মেইড ফিল্ম’রেই কি আমরা ভালো-সিনেমা বলবো?

ম্যাচ পয়েন্ট হইলো খুব স্মুথ একটা সার্কেল তৈরি করছে; স্টোরি’টাও… কোন কনফিউশনই নাই; যে, প্রেমও শেষ পর্যন্ত একটা ক্লাসেরই ঘটনা আসলে। দেখেন, স্কারলেট জোহানসন যদি অ্যাকট্রেস হইতে পারতো, মে বি তারেও ডিজায়ার করা যাইতো; কিন্তু যে কিনা সেলস-গার্ল, তার প্রেমে কি আর পইড়া থাকা যায়; বা যায় হয়তো যদি আপনি এনাফ রিচ হইতে পারেন, বিমানের উঁচা থিকা দেখলে যেইখানে দুইতলা আর দশতলা বিল্ডিংয়ের তেমন কোন ডিফরেন্স নাই। আর আপনারে আসলে ডিসিশান নিতে হবে, প্রেমের; যে আপনি শুরু করবেন, না শেষ করবেন, নাকি থাকতেই থাকবেন, যদিও এইটা সম্ভব না আর… সময় তা বলে দিবে, বইলা আটকাইয়া থাকা যাবে না মনেহয়। সো, স্টোরি’তে বিলিভ করতে হবে। রিয়ালিটি হইলো, কোন এক ডিটেকটিভের মাঝরাতে দেখা আজাইরা কোন ড্রিম; ছোট্ট কোন ফ্যাক্টের ধাক্কায় ইরিভিলেন্ট হয়া উঠবে।

হেই ফ্লিং-লাভার, একস্ট্রা ম্যারিটাল কোন রিলেশনশীপে যাওয়ার আগে একটু তো ডরাইবেন!

ইউর ওয়াইফ লাভস ইউ!

 

আপনার বউ আপনারে ভালোবাসে, এতোটাই যে আপনি অ্যাডাল্টারি কইরা ধরা খাওয়ার পরেও যদি প্রুভ করতে পারেন, একটা মোমেন্টেও (তবে অবশ্যই সেইটা পাবলিকলি হইতে হবে, টিভি-রিয়ালিটি শো’তে হইলে আরো ভালো) যে, আপনি তার লাইগা ফিল করেন; তাইলে শে আপনার লাইগা খুনও করতে পারে! তখন আপনার হয়তো একটু ডর লাগতে পারে, কিন্তু দ্যাটস লাইফ। ভুল যখন করছেন, ভয় তো একটু থাকতেই পারে লাইফে, তাই না?

বেন অ্যাফ্লেকের আগের মুভি আরাগো’টা আছিলো ইরান নিয়া আম্রিকার টেনশনটা; যে, ইউর কান্ট্রি নিডস ইউ! হলিউড’রে দরকার তখন আম্রিকার! এই বছরের মুভি গন গার্ল’টারে বলা যায়, ইউর ওয়াইফ লাভস ইউ! আরাগো-তে ফেইক জিনিস কইরা, মিথ্যা কথা বইলা মানুষ’রে (যে মানুষ হইলো সত্য) বাঁচাইতে হয়। গন গার্ল-এ সত্য গোপন কইরাই মানুষ’রে (যারে আপনি ভালোবাসেন, শে-ই হইলো মানুষ আসলে) বাঁইচা থাকতে হয়। এর লাইগা যারে আপনি ভালোবাসেন না, তারে মাইরা ফেলাটা জায়েজ আছে। যেই মানুষের মনে ভালোবাসা নাই, মানে যারে আপনি ভালোবাসেন না, সে আবার মানুষ কেমনে হয়! কুত্তা-বিলাইও মানুষ হইতে পারে, আপনি ভালোবাসাতে পারলে! ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের ওরাও এইটাই দেখে। Continue reading

লাভ, লাস্ট (Lust) আর লাইফ

অ্যাডাল্টারি করেন ভালো কথা; কিন্তু সোশ্যাল গেট-টুগেদার পার্টিতেই ক্যান চুমা খাওয়া লাগবো আপনারে; এইটা কিছুটা বুঝা যাইতে পারে ভিকি ক্রিস্টিনা বার্সিলোনা দেইখা। এমনিতে সিনেমা ছাড়া কোনকিছু রিয়েলি বুঝতে পারাটা আসলেও টাফ।

সিনেমার কাহিনি হইলো, ভিকি আর ক্রিস্টিনা গেছে বার্সিলোনাতে সামার কাটাইতে; তখন এক আর্টিস্ট (আন্তোনিও) আইসা কয় যে, সে দুইজনের সাথে শুইতে চায় (জেনুইন আর্টিস্ট’রা পারেন এইরকম, যেইটা ফিল করেন সেইটা সরাসরি কইতে পারেন; খালি পারেন-ই না, এই পারাটা হইলো আপনি যে একজন জেনুইন আর্টিস্ট সেইটার একটা ম্যানিফেস্টিশন)। ক্রিস্টিনা তো শুইনা খুশি হয়, কারণ শে অ্যাডভেঞ্জারাস; ভিকি খুবই খেপে, কারণ সে ট্রাডিশন্যাল। পরে ভিকি’রে আগে লাগায় আন্তোনিও, খুবই রোমান্টিক সেইটা; যখন দুইজনই দুইজনরে কানেক্ট করতে পারে, ফিল করতে পারে, একটা সন্ধ্যায় গিটার-বাজানো শুইনা ফিরার পথে। আর পরে আন্তোনিও ক্রিস্টিনা’র লগে কয়েকমাস লিভ টুগেদার করে; ভিকি তার বেকুব প্রেমিকরে বিয়া করে, কিন্তু আন্তোনিও’র সাথের ওয়ান-নাইট স্টে শে ভুলতে পারে না। এরমধ্যে আর্টিস্টের বউ মারিয়া ফিরা আসে; ওরা থ্রি-সাম করে, ক্রিস্টিনা আর মারিয়াও সেক্স করে একবার (আই থিঙ্ক দ্যাটস গ্রেট, কারণ এইটা এইরকম একটা লাভ যেইখানে প্যানিট্রেশনটা হইলো বাড়তি একটা জিনিস!)। তো, এইরকম প্যাচঁ-পুচ লাগানোটা উডি অ্যালানের বেসিক জিনিস। মানে লাভ জিনিসটা যে কমপ্লিকেটেড এইটা বোঝানোটা উনার মোটামুটি একটা দায়িত্ব। এতো সব ক্যারেক্টারের মধ্যে আসলে মারিয়াই (পেনেলুপা ক্রুজ) রিয়েল লাভার। কারণ শে ফিল করতে পারে যে লাভ ইজ এক্মেস (আমি excess অর্থেই লিখছি, access অর্থেও নেয়া যাইতে পারে) টু লাইফ। Continue reading

দ্য থিওরি অফ ম্যারেজ অ্যান্ড লাভ

দ্য থিওরি অফ এভিরিথিং এমনিতে একটা সামাজিক সিনেমা; কারণ এইটা দেখায় যে, সোসাইটিতে ডির্ভোস হইতেই পারে; আবার বিয়া করার ঘটনাটাও ঘটতে পারে। আর তার মানে এইটা না যে, কখনোই প্রেম ছিল না বা ওইটা ইনফিরিয়র ছিল। প্রেমেরও শেষ আছে! লাইফে ডিফরেন্ট সিচুয়েশন আছে। একটা প্রেম ডিফরেন্ট সিচুয়েশনে ফিট-ইন না-ই করতে পারে। তখোন কেউ একটা স্টেপ নিতে পারে বাইর হয়া আসার। নতুন যে প্রেম আসছে সেইটারে জেন নিতে পারে না, ভাবে মাইনষে কি বলবে! এইরকম বাজে সময়ে শে ছাইড়া যাবে তার জামাইরে! সে তো ফিল করে তারে, ভালো আর বাসে না হয়তো। নিজের সুখ-এর কথা ভাইবা তারে ছাইড়া যাওয়াটা তো ঠিক হবে না আসলে। শে জানে (মানে, মাইনা নেয়া আর কি) যে, জামাই-এর রেসপনসিবিলিটি-ই আগে; আর যে প্রেমিক, সেও যদি আশে-পাশে থাকে, তাইলেও হয়। Continue reading

ট্রুথ অ্যাবাউট উইম্যান অ্যান্ড ম্যান

দ্য ট্রুখ অ্যাবাউট ক্যাটস অ্যান্ড ডগস ক্যাটাগরি হিসাবে একটা রোমাণ্টিক কমেডি সিনেমা।[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

এই সিনেমা একটা কমন অ্যাজাম্পশনরেই পোর্টেট করে যে; যে মাইয়ার বুদ্ধি আছে শে সুন্দর হইতে পারে না আর যে মাইয়ার শরীরটা দেখতে সুন্দর, তার বুদ্ধি-শুদ্ধি একটু কম। হ্যোয়ারঅ্যাজ, নায়কের এইরকমের কোন সমস্যাই নাই। বুদ্ধি-শুদ্ধি থাকলে আছে না থাকলে নাই, চেহারা একটা হইলেই হইলো, সে যে প্রেমে পড়ছে এইটাই মোটামুটি তার যোগ্যতা হিসাবে এনাফ। মানে, মাইয়াদের এইরকমের ইনফিউরিটি নাই না, থাকতেই হবে; আর আপনি নায়ক হইলে এইটা আপনার থাকা বা না-থাকার কোন কোশ্চেন-ই নাই!

আরেকটা ব্যাপার হইলো, সুন্দর লাগা বা না-লাগাটা একটা সার্টেন ডিসট্যান্সেরও ঘটনা। খালি চোখের যেই ডিসট্যান্স সেইখানে এইটা দেখা যায় না, যখন কোন পাওয়ারফুল লেন্সের ভিতর দিয়া দেখবেন তখন ইনার বিউটিটা আপনি টের পাইবেন। খালি চোখে সেইটা দেখতে হইলে বার্গারে একস্ট্রা চিজের মতো এক স্লাইস প্রেম লাগবো। খালি চোখের সুন্দর, দূর থিকা বা কাছ থিকা দেখার সুন্দরের চাইতে ক্যামেরার সুন্দরের ডিফরেন্স আছে। আর এইটাই সত্যি। আমার চাইতে আমার ইমেজই সুন্দর বেশি। Continue reading