কবিতা লেখা

বিনয় মজুমদার মনেহয় এইরকম একটা পদ্ধতির কথা বলছিলেন কবিতার লেখার যে, ধরেন, আপনি রাস্তায় আইসা রিকশা পাইতেছেন না; তখন আপনি তো বলতেই পারেন যে, রাস্তায় আজকে কোন রিকশা নাই। কিন্তু আপনি যদি লিখেন যে, পৃথিবীর রাস্তায় আজকে কোন রিকশা নাই! এইটা কিন্তু কবিতা হইয়া গেলো!! মানে, কবিতা হইলো ক্রিয়েশন অফ ইউনির্ভাসালিটি। সব সময় সব সিচুয়েশনেই এইটা সত্যি মনে হইতে পারে। Continue reading

ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফ

সকালবেলা একটা কলা আর বনরুটি কিইনা হাঁটতে হাঁটতে অফিসে যাইতেছেন একজন নারী; কাঁধে ব্যাগ, কিছুটা সংকোচ আছে যদিও। এই শহর – অপরিচিতের ভীড়, সেই সংকোচরে আর বাড়তে দেয় না। কলাটা ছিলাইতেছেন তিনি আর বনরুটির সাদা ক্রীম বাইর হয়া আছে একটু। এই দৃশ্যরে ইগনোর কইরা তিনি যেন হাঁইটা যাইতে পারেন এই শহরে, আরো অনেকদিন, অস্বস্তি ছাড়াই। হাঁটতে হাঁটতে রাস্তায় ব্রেকফাস্ট করা যায়, রাস্তায় ইফতারি করার মতো, রিকশায় যাইতে যাইতে সিংগারা দিয়া লাঞ্চ করার মতো। দুপুরে কোথাও বইসা খাওয়ার মতো সময়ের বিলাস ত অসম্ভব! এতো যে দৌড়, কই যাইতে চাই আমি? [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

 

দ্রুত হাঁইটা আইসা ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়াইছেন আরেকজন নারী, সুন্দর তিনি; ঘামতেছে তার কপাল, হাত দিয়া সরাইতেছেন চুল। মোটর সাইকেলের পিছনে জামাইয়ের বা ভাইয়ের কোমর ধইরা বসছেন যিনি, হাই তুলতেছেন, একটু। মনে করাইলেন, এখন সকাল হয়।

Continue reading