রাশোমন’ গল্পের একটাই বিষয় আছে, তা হচ্ছে সংশয়ের তীর, যা সবাইকে বিদ্ধ করেছে – কাহিনীকার, চরিত্র ও পাঠককে। ঘটনার ঘটার সময় আমরা কেউই ছিলাম না, তাই আমরা সবাই আবিষ্কার করতে চাইছি একটা কারণ আর এই ‘কারণ’ নির্মাণ লাভ করছে আমাদের পারস্পরিক সর্ম্পকের লুকানো গহ্বরগুলি পূরণের উদ্দেশ্যে, যদিও আমরা নিজেদের পরিখা খনন করে চলেছি, পরোক্ষে। যেহেতু ছিল না, যেহেতু নাই, অথচ নিশ্চিতভাবেই জানি, আমরা তৈরী হয়ে গেছি; পরস্পরের সান্নিধ্যেই উপলদ্ধি ঘটছে এর, তাই ধরে নিচ্ছি এইখানে জড়িত আমরাই। অব্যর্থ নিয়তি এই মানব ভাবনার। এইখানে মুক্তি প্রত্যাশী যে কেউই নিরবতার গলিতে হাতড়ে মরে, অবশেষে সুদূর কোন আলোকবিন্দুকে পরিত্রাণের মহিমা বলে ভাবার আগেই চেতনা ফিরে পাবে; প্রলাপে মগ্ন হয়ে দেখবে পরস্পরের মরীচিকা।
যে কোন পথে, যে কোন দিকেই, উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে না আর। Continue reading