লাভ ইজ নট মেলোড্রামাটিক, মেলোড্রামা ইজ দ্য লাভ

হিন্দি-সিনেমায় ড্রিমি রিয়ালিটির ক্রিয়েটর যশ চোপড়া কবিতারে একটা সোশ্যাল রিয়ালিটি হিসাবেই ভাবতে পারছিলেন। একটা মোমেন্ট নেসেসারি না সিনেমাটাতে, কিন্তু ইন্টারেস্টিং। অমিতাভ নাটক লিইখা খিয়েটারে শো কইরা রেখারে দেখাইতে চায় যে সে কত বড় রাইটার। এইজন্য তারে একজন নামি-দামি এবং বয়সী কবি’রে কনভিন্স করতে হবে বইলা তার এক ফ্রেন্ড উনার বাসায় নিয়া যায়। অমিতাভ যখন ওই মহিলার ডিজায়ারবেল লেভেলে ফ্লার্ট করতে পারে, তার নাটকের রির্হাসাল করতে রাজি হন তখন মহিলা। ঘটনাটা হয়তো সেক্সিস্ট-ই হইছে একটু। কিন্তু এই পারমিশনগুলি নেয়ার ঘটনা আছে। সোসাইটিতে আর্টের অথরিটি আছেন এবং উনাদের পারমিশন ছাড়া আর্টের জায়গাতে একসেস পাওয়াটা টাফ; ব্যাপারটা এইরকম না যে, উনারা টাকা-পয়সা খাইয়া বা অন্যান্য সোশ্যাল সার্ভিসগুলি নিয়া এই লাইসেন্স দেন, হয়তো ঠিকমতো ফ্লার্ট করতে পারে কিনা, ঠিকমতো মদ খাইতে পারে কিনা এইগুলিই দেখেন; আবার ‘সঠিক’ সার্টিফিকেট না দেয়ার কারণে অনেকের অথরিটিও বাতিল হয়া যায়। যা-ই হোক, এইটা বাড়তি একটা জিনিস।

এমনিতে, বিয়ং সোশ্যাল ইজ দ্য অনলি রিয়ালিটি দ্যাট উই হ্যাভ। এই বাণী প্রচার করে সিনেমাটা। যা কিছু দেখা যায়, সেইটাই সত্যি। যা কিছু আমরা দেখলাম না, তা ঘটলেও, যেহেতু দেখি নাই, ঘটে নাই আসলে; বা ঘটলেও দেখি নাই তো, সো ইর্ম্পটেন্ট না। যেমন, অমিতাভের সাথে রেখার প্রেম বেশি ইনটেন্স মনেহয় কারণ এইটার প্রেজেন্স স্ক্রীণে যতো বেশি জয়া আর শশী, রেখা আর সঞ্জীব বা অমিতাভ আর জয়া’র এই জায়গাগুলি কম্পেয়ার করলে, নাই-ই। এই কারণে এইটা অমিতাভ আর রেখার প্রেমের সিনেমা-ই, অন্য কারো না। Continue reading

ওল্ড ব্যান্ড রিইউনিয়ন

 

দিনগুলি এইরকম যে, ফিরা ফিরা আসে। আজকে সন্ধ্যাবেলায় যেমন আসছি ওল্ড স্কুল ব্যান্ডের রিইউনিয়নে। পুরান কলোনি’তে যেইখানে থাকতাম আমরা, কলেজে পড়ার সময়ে। লিড সিঙ্গারের পায়ে নীল জুতা। তারও প্রেমিকা আসছে, তার কাছে অনেক দিন পরে। সে কনফিউজড, সে কি আরো গান গাইবো নাকি প্রেমিকার সাথে ব্যাক স্টেইজে চইলা যাবে। ব্যাক স্টেইজ বলতে অর্ধেক পর্দা দেয়া ছোট একটা রুম। সে তার কাছে গেলো, জড়াইয়া ধরলো। বেস গিটারিস্ট সামনে চইলা আসলো। সে গান গাইবে কিনা শিওর না। লিড গিটারিস্ট এবং ভোকাল যে সে প্রেমিকারে কি কি জানি বলতেছে; তাদের পুরান প্রেম নতুন হয়া উঠতেছে। শে তারে বলতেছে যে, আমি তো তোমার গান শুনতে আসছি! তোমার গানই আমার প্রেম। তুমি গান গাও। তারা তাদের ঠোঁটে চুমা খাইলো। বেস গিটারিস্ট তাদের দিকেই তাকাইয়া ছিল। লিড সিঙ্গার যখন স্টেইজের মূল জায়গাটাতে আসতে শুরু করতে করলো, তখন সে হাসলো; সরে আসলো তার জায়গায়।

তারা উড়িয়া হিপের জুলাই মনিং’টা গাইতেছিল। রাতের বেলায়। বাংলায় শুনতেছিলাম আমি। Continue reading