How Do I Know That I Don’t Know

 

প্রাইমারি স্কুলে পড়ার সময় একটা নাটক করতাম আমরা। নাটকের কাহিনিটা ছিল এইরকমের যে, গ্রামে (হায় অশিক্ষিত গ্রাম!) দুইটা পাড়াতে দুইটা স্কুলে দুইজন টিচার আছেন; দুই পাড়ার লোকজনেরই ধারণা যে তাঁদের পাড়ার স্কুলের টিচার-ই বেশি জ্ঞানী, বেশি জানেন। এই নিয়া ঝগড়া-টগড়াও হয়। পরে, সবাই মিইলা ঠিক করেন যে, সবার সামনেই কম্পিটিশন হবে। তো, একটা নির্দিষ্ট ডেইটে, নির্দিষ্ট টাইমে, নির্দিষ্ট প্লেইসে দুইজন টিচারসহ গ্রামের সব লোকেরা আসেন, গোল কইরা দাঁড়ান এবং বসেন। মাঝখানে দুইজন টিচার থাকেন। কম্পিটিশনটা হয় ইংরেজি জানা নিয়া-ই। একজন টিচার খুব খটোমটো টাইপের একটা ইংরেজি’র মানে জিগান; ধরেন, ‘circumstance’ [মানে, ক্লাস থ্রি/ফোর’রে পড়ার সময় কঠিন-ই আছিলো মনেহয় এই শব্দটা]; তো সেকেন্ড জন এইটার উত্তর দেন, ধরেন ‘পরিস্থিতি’ [মানে, এইটা বাংলা হিসাবেও প্রায় সেইম লেবেলেরই কঠিন]; গ্রামের লোকজন তো জানে না ঠিক হইছে কিনা; কিন্তু যিনি কোশ্চেন করছিলেন, তিনি মাইনা নেন বইলা সবাই বুঝতে পারে যে ঠিকই হইছে। তখন যিনি উত্তর দিছিলেন উনি ‘I don’t know’র বাংলা করতে বলেন। যাঁরে জিগানো হইলো, তিনি এক সেকেন্ডও দেরি না কইরা উত্তর দেন, ‘আমি জানি না।’ এইবার গ্রামের লোকজন আর ওয়েট করে না; তিনি তো বইলাই দিছেন যে, জানেন না; সো, সবাই তাঁর জানা’র ব্যাপারে একটা ফয়সালা করতে পারে, নিজেদের জানা দিয়া। রিয়েল মিনিং আর কনটেক্সটুয়াল মিনিং এক হয়া যাইতে পারে। Continue reading

চান্নি রাইত উইথ কা.শা.

কড়ইগাছের পাতার ফাঁকে চাঁদ

পুরান, ভাঙা

কোন ছোট শহরের
রাত, আসছে আবার

একলা সেই দেশেও চাঁদ
লোকাল অ্যাটমোস্ফিয়ারেই আছে
বিদেশে শে যাইতে পারতেছে না Continue reading

অ্যা জার্নি বাই বাস

নারীর প্রতি নন-ভায়োলেন্স এবং একটা অ-পরিচয়ের ঘটনা

গত রোজার ঈদে বাড়ি যাওয়ার সময়ের ঘটনা। ৭০ কিমি’র রাস্তা। ঈদের দুইদিন আগে দুপুরের পরে মহাখালী থিকা বিআরটিসি’র এসি-বাস সার্ভিসের ঢাকা-কিশোরগঞ্জের একটা বাসে উঠছি, যাবো ভৈরবে। রাস্তা-ঘাট মোটামুটি ফাঁকা, কিন্তু বাসে মানুষ থইথই।

যেহেতু আমি একা, আমার খালি দেখা।

দেখলাম, স্কিনি একটা মেয়ে, জিনস-পড়া, ফতুয়া; কাঁধে ব্যাগ, কানে হেডফোন। আমার একটা রো পরে, বামপাশে বসলেন এবং আরেকটা সিট-দখল করলেন। কিছুক্ষণ পরে তার মোটা প্রেমিক আইসা বসলো। তেমন কোন কথা নাই। তবে বোঝা গেলো প্রেমিক ঢাকায় থাকেন বা থাকবেন, প্রেমিকারে নরসিংদীতে নামাইয়া দিতে আসছেন। অথবা এই ভ্রমণের নৈকট্য তারা চাইতেছেন। মেয়েটা ‘ভোকাল’ এবং বাস ছাড়তে যখন দেরি হইতেছে তখন তিনি কাউন্টারের লোকদেরকে ‘শুয়োরের বাচ্চা’ ডাকার এবং ‘থাপ্পর দেয়ার’ প্রস্তাব রাখতে পারছেন। উনার প্রেমিক, এতে সম্মতি দিছেন এবং এই ফিলটা দিছেন যে উনি এই ‘পরিকল্পনা’ বাস্তবায়ন করতে আগ্রহী। এই প্রেম, ভায়োলেন্স আমার ভালো লাগলো, কারণ আমি বাড়ি যাইতে চাই দ্রুত। কিন্তু আমি তখনো বুঝতে পারি নাই যে এইটাই একমাত্র ভায়োলেন্ট ঘটনা, নারী’র দিক থিকা। বাকি সব-ই পুরুষের নন-ভায়োলেন্স; এবং নিশ্চিতভাবেই ‘নারীর প্রতি সহিংসতা’ বন্ধের যে প্রচার তার কিছু মিনিমাম অ্যাচিভমেন্ট।

Continue reading

পকরিতি’র বর্ণনা

বারিধারায়, গাছের সবুজ পাতাগুলার ফাঁকে, হঠাৎ দেখি লাল, কৃষ্ণচূড়া… এপ্রিলে, অংসখ্য প্রজাপতি বসে আছে এক একটা গাছে, অথবা প্রিণ্টের লুঙ্গি ঝুলতেছে অনেকগুলা, জয়নালের; খুন কইরা পালাইয়া আসছিলো যে আমাদের শহরে, গাঞ্জা খাইয়া উল্টা-পাল্টা নাচতেছে, সকালবেলা… রং মানেই কল্পনা! কি করতাম আমি যদি না দেখতাম, যদি হরতালের দিনে রিকশার জ্যামে না আটকাইতাম, যদি বইসা থাকতাম ঘরে, লিখতাম নিয়তি-নির্ভর গল্পগুলা… রাস্তায় মানুষের ভীড়; ইউরোপের কোন কোন শহরে নাকি মানুষই নাই, ওরা প্রকৃতি দেখে আর হয়তো ভাবে, মানুষের কথাই; ওদের কল্পনার ভিতরেও ফুটে নিশ্চয় লাল কৃষ্ণচূড়া, চৈত্রের শেষে, বৈশাখের… এইখানে এপ্রিলে যেমন না দেইখা আর পারাই গেলো না, ছোপ ছোপ রক্তের মতো, মুর্গি-সভ্যতার রং, কাঁচাবাজারের এক কোণায় যে হত্যাদৃশ্য, তার স্মৃতি রিপিট করতেছে গাছেরা; বৃক্ষপ্রেমিকেরা বইসা ঝিমাইতেছে, নার্সারিতে; আবারো কি ঘুমাইয়া পড়বে নাকি, এই নিয়া চিন্তা নাই; হালকা বাতাস তার তীব্র রোদের গান গাইতেছে…[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

 

চৈত্র ২৭, ১৪১৯

 

আইসক্রীম

ও জমাট তরল, তোমার ভিতর ডুবে যেতে চাই আমি![pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

ফোঁটা ফোঁটা পানির স্বপ্নের ভিতর ভেসে যাচ্ছে এই শহর

মাসের বেতন পাওয়ার দিন, রিকশা করে আইসক্রীম খেতে খেতে যাচ্ছে
গার্মেন্টেস এ চাকরি-করা দুইজন কিশোরী মেয়ে, কালোপোশাক-পরা
এই রাতের-বেলা, উড়ছে তাদের ওড়না… ওইগুলি সামলাতে সামলাতে
চিকণ কাঠি থেকে টুপটুপ পড়ে যাচ্ছে দুই-একটা ফোঁটা…

Continue reading