এই সময়ে, এই সময় বলতে ২০১৫-এর ঢাকা শহরে, ভার্জিনিয়া উলফ-এর চাইতে অ্যানাএস নিন অনেকবেশি রিলেভেন্ট হওয়ার কথা, কারণ উনি খালি নারী-আবেগ’রে রিফ্লেক্ট করেন না, এইটা করতে গিয়া একটা পুরুষ-ফিগার এর ধারণাও ক্রিয়েট করেন। সাহিত্যে এই জিনিসগুলা প্যাসিভলিই থাকে। মানে, একজন মাইয়া কে ও কি জিনিস, সেইটা পোলা’র গেইজটা দিয়াই ডিফাইনড হয়। অ্যানাএস নিন-এ ফিমেল গেইজ’টা থাকে টুওয়ার্ডস দ্য মেইল-অবজেক্ট। যেইটা একটা কনজাম্পশন প্যার্টান’রে সাজেস্ট করে, যেইখানে ফিমেইল বডি’টা পার্টিসিপেট করতেছে না খালি একটা টুল হিসাবে, বরং সেন্টার পয়েন্টটাতেই অপারেট করতেছে। Continue reading
:: সাহিত্য ::
সাহিত্যে ‘দলাদলি’ নিয়া
ব্যাপারটা যে খুব স্পষ্ট তা না, বরং বেশ ব্যক্তিগত, অস্পষ্ট একটা টেরিটরি, এইখানে যাঁরা জড়িত তাদেরও মুখ বন্ধ রাখাই নিয়ম। তারপরও ব্যাপারটা ত কথা বলার! কারণ, কবি বা লেখক নিজে নিজে লিখলেও তাঁর সাহিত্যের একটা আবশ্যিক কাজ হইলো সমাজের অন্যান্য মানুষজনের সাথে মিনিমাম একটা যোগাযোগরে সম্ভব করা। আর এইটা সম্ভব হয় যোগাযোগের বিভিন্নরকমের প্রতিষ্ঠিত কাঠামোগুলারে এক্সপ্লয়েট করার মাধ্যমেই।
চালু-থাকা যোগাযোগ-কাঠামোটার কোন না কোন বিপর্যয় না ঘটাইয়া শিল্প-সাহিত্য’রে কার্যকর করা সম্ভব হয় না। এই কারণে প্লেটো’র সরল একরৈখিক সমাজের ফাংশনের ভিতর কবি বা লেখকদেরকে অ্যাকোমডেড করাটা কঠিন ছিল; কিন্তু এখনকার বাস্তবতায় এই সাহিত্য-কর্ম সামাজিক জীবনের একটা আবশ্যিক অংশ। যেমন ধরেন, স্কুল-কলেজে সাহিত্য ত পাঠ্য, ইন ফ্যাক্ট সাহিত্য পড়ার ভিতর দিয়াই প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার শুরু। দৈনিক পত্রিকাতে থাকে সাহিত্য-পাতা, অনলাইন নিউজসাইটেও; কলেজের ছাত্রসংসদ ইলেকশনে সাহিত্য-সম্পাদক পদ থাকে (এখন মনে হয় ইলেকশন হয় না আর), মানে বিভিন্নভাবে এইটা ভিজিবল একটা জিনিস।
বর্তমান সমাজে সাহিত্যের বিভিন্ন রকমের ব্যবহারযোগ্যতা আছে। এই কারণে সাহিত্যের দুশমন কখনোই সাহিত্য-বিরোধীরা না, কারণ উনারা সাহিত্য নিয়া সচেতনই থাকতে চান না, এইটা থাকলে আছে, না থাকলে নাই। কিন্তু সাহিত্যের সমস্যা সবসময় মাঝারি-মানের সাহিত্য। এই সাহিত্য হইলো সমাজের সবচে’ স্ট্রংগেস্ট এসথেটিকস, যেইটা শুধুমাত্র তার ব্যবহারযোগ্যতার ভিতর দিয়াই সমাজে কার্যকর থাকে বা থাকতে চায়। Continue reading
ব্লগ ও সাহিত্য: ক্ষুদ্রত্বের আকাংখা এবং আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা
কমিউনিটি ব্লগে ত লিখছি কিছুদিন; সম্ভবত ২০০৬/৭ থিকা ২০১০ এর মাঝামাঝি সময়টাতে; সচলায়তন-এ নিয়মিতই, প্রায় ৮/১০মাস; আমার ব্লগ-এ ২/৩মাস, আর এর ফাঁকে সামহোয়ারইন ব্লগ-এ কিছুদিন ছাড়াছাড়া-ভাবে; এরমধ্যে গুগল-এও একটা নিজের ব্লগ অ্যাকাউন্ট করছিলাম, একধরণের আর্কাইভিং এর জন্য। কোনকিছুই কনটিনিউ করা হয় নাই, শেষপর্যন্ত।
কেন যে হয় নাই, এই বিষয়টা নিয়া মোটামুটি একটা ধারণা আমার হইছে।
একটা কারণ যে আমি ‘সাহিত্য’ লিখতে চাই, ‘ব্লগ’ লিখতে চাই না। সাহিত্য এবং অন্যান্য লিখিত ফর্ম (সংবাদ প্রতিবেদন, এনজিও গবেষণা-পত্র…) এর মধ্যে নানান পার্থক্য আছে, প্রধান পার্থক্যটা মনেহয় উদ্দেশ্যের দিক থিকা। উদ্দেশ্য বলতে খুব ডেফিনিট কিছু না যে, আপনি আসলে কি করতে চাইতেছেন, কেন, কার জন্য ইত্যাদি… এইসব প্রশ্নের সমাধান কইরা ত আর লেখালেখি হয় না, কিন্তু একটা ধারণা আসলে থাকেই বা লিখতে লিখতেই তৈরি হইতে থাকে। ‘কেন’ জিনিসটা রিফ্লেক্টেট হয় মোস্টলি ‘কিভাবে’-এর ভিতর দিয়াই; আলাদা কইরা ‘কেন’ মনেহয় হয় না। Continue reading
লেখকের পেশা, জীবন-যাপন, ভণ্ডামি…
একজন কবি’র পেশা আসলে কী হওয়া উচিত, বাংলাদেশে, এই টাইমে? মানে, ভ্যাগাবন্ড বা বিপ্লবী হওয়া ছাড়া উনারে যদি কোন সামাজিক পেশায় কাজ করা লাগে কামাই করার লাইগা? স্টুডেন্ট লাইফেই এই প্রশ্নটা নিয়া একটা সময় আমি খুব টেনশনে থাকতাম। পরে চাকরি করতে গিয়া তো আরো বিপদে পড়ছিলাম, কোন প্রাইভেট কোম্পানিতে সেলস-এ চাকরি কইরা কবিতা-লেখা কেমনে সম্ভব? আপনার লাইফ-স্টাইল, সোশ্যাল অ্যাপিয়েরেন্স, কাজকাম যেইটা কিনা পুঁজি’র গোলামিতে নিয়োজিত, সেইরকম একটা সামাজিক পজিশনে থাইকা, আপনি কি কবিতা লেখার সাহস করতে পারেন? বা করাটা কি উচিত? বিশেষ কইরা, যখন এক ধরনের আবশ্যিক শর্ত সোসাইটিতে এগজিস্ট করতেছে যে, কবিতা মানেই এক ধরনের প্রতিবাদ- বিদ্যমান ক্ষমতা-কাঠামো’র, খুব স্থুল বা সূক্ষ্ম, যে কোন অর্থেই; সেইটা খালি কবিতা লিইখা করলেই হবে না, লাইফ-স্টাইল দিয়া প্রমাণও করা লাগবে! এইসব জিনিস তো ফেইস করা লাগছে আসলে পারসোনাল লাইফে, একটা টাইমে, বেশ সিরিয়াসলি।[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]
বাংলাদেশের সোশিও কালচারাল কনটেক্সটে কবি হইতে পারেন আসলে – কলেজ বা ইউনির্ভাসিটির টিচার (প্রাইমারি বা হাইস্কুল হইলে হবে না; তবে পিএইচডি স্টুডেন্ট হইলে আরো বেশি হওয়া যাবে…), সাংবাদিক (এই এরিয়াটা এখন ব্যাপক, বলা ভালো, মিডিয়া-কর্মী), এনজিও-কর্মী বা রিসার্চার, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হইলেও চলে বা অ্যাডফার্মের কপি রাইটার থিকা শুরু কইরা ক্রিয়েটিভ ডাইরেক্টর’রেও মেবি মাইনা নেয়া যায়। এইরকম কিছু সিলেক্টিভ লিস্ট আছে, যারা কম-বেশি এলাউড। পাবলিকরে কনভিন্স করা যাইতে পারে ‘কবি’ হিসাবে । সরকারি-আমলারাও আছেন হয়তো, কিছু ডাক্তার বা কর্পোরেটের বড় অফিসার। কিন্তু এই সেকেন্ড ক্যাটাগরিটার হিসাব আবার ভিন্ন; কবি/লেখক হিসাবে পরিচিত হওয়া এবং কবিতা লেখা। প্রকৃত লেখক/কবি বইলা যে সামাজিক-চরিত্র, উনি সবসময় টিচার, জার্নালিস্ট, এনজিও-কর্মী… এই ক্যাটাগরিটা। উনারা ডেডিকেটেড লেখক/কবি; বাকিরা পাওয়ার প্রাকটিসের জায়গা থিকাই লিখেন [টাকা-পয়সা বেশি হইলে যেইরকম মসজিদ-মাদ্রাসা বানায়, দান-খয়রাত করে এইরকম…], ব্যাপারটা মিথ্যা না, কিন্তু আমার কনসার্নটা এইরকম লিনিয়ার ট্রুথের জায়গাটা নিয়া। Continue reading