:: হলিউড ::
গুড, ব্যাড অ্যান্ড অনেস্ট: এক্স-মেশিনা
ক্যাপাবল মেইলরাই আসলে ফিমেইল মেশিন বানায় (আর ফিমেইল যিনি বানাইতে পারেন তিনিই তো মেইল, ক্যাপাবল)। আর কি রকমের খচ্চর শালা, ইনফিরিয়র মেশিনগুলিরে কাজের মেয়ে বানায়া তার লগে যা তা বিহেভ করে। মানে, কাজের মেয়ে বানানোটা বেশি বাজে আসলে, এক ধরণের স্লেভারি। আমার ধারণা, এই টাইপটা বানানোর সময় সার্চিং-এ পর্ণ-এর রেজাল্টগুলিরে ফিল্টার করতে ভুইলা গেছিলো সে (যদিও এইটা বলে না সিনেমাতে), যার ফলে শে বডি দিয়া রিকগনাইজ করতে চায় সবকিছু, বেশ দেহবাদী বিহেভ করে, শেষে হিউম্যান বডিরে খুন করার লাইগা ছুরি সাপ্লাই দিতে পারে। কিন্তু ইভা এইরকমের বেকুব না, ছবি আঁকে, প্রেম করে; একটা বড় রাস্তার ইন্টারসেকশনে (ভ্যাজাইনা’র সাইনই তো, নাকি?) দাঁড়ায়া ডেটিং করার কথা বলে। কি কিউট! আসলে টেকনিকগুলি যত পুরান, ততবেশি এফেক্টিভ।
ইয়াং পোলাটারও খারাপ লাগে যে, তার ক্যাপাবিলিটির লাইগা তারে নেয়া হয় নাই, নেয়া হইছে সে ‘ভালো মানুষ’ বইলা। তো, ভালো মানুষ হইলো যে ইথিক্যালি ডিসিশান নেয়, ইমোশনালি বায়াসড হয়; লজিক্যাল চিন্তা করতে পারে না – এইসব কোয়ালিটিরে ‘ভালো মানুষ’ বইলা চালানোটা আসলে ঠিক না। মানে, কোন না কোন বোকামি না থাকলে কেউ ‘ভালো’ হইতে পারবে না, কি আজিব! Continue reading
ইউর ওয়াইফ লাভস ইউ!
আপনার বউ আপনারে ভালোবাসে, এতোটাই যে আপনি অ্যাডাল্টারি কইরা ধরা খাওয়ার পরেও যদি প্রুভ করতে পারেন, একটা মোমেন্টেও (তবে অবশ্যই সেইটা পাবলিকলি হইতে হবে, টিভি-রিয়ালিটি শো’তে হইলে আরো ভালো) যে, আপনি তার লাইগা ফিল করেন; তাইলে শে আপনার লাইগা খুনও করতে পারে! তখন আপনার হয়তো একটু ডর লাগতে পারে, কিন্তু দ্যাটস লাইফ। ভুল যখন করছেন, ভয় তো একটু থাকতেই পারে লাইফে, তাই না?
বেন অ্যাফ্লেকের আগের মুভি আরাগো’টা আছিলো ইরান নিয়া আম্রিকার টেনশনটা; যে, ইউর কান্ট্রি নিডস ইউ! হলিউড’রে দরকার তখন আম্রিকার! এই বছরের মুভি গন গার্ল’টারে বলা যায়, ইউর ওয়াইফ লাভস ইউ! আরাগো-তে ফেইক জিনিস কইরা, মিথ্যা কথা বইলা মানুষ’রে (যে মানুষ হইলো সত্য) বাঁচাইতে হয়। গন গার্ল-এ সত্য গোপন কইরাই মানুষ’রে (যারে আপনি ভালোবাসেন, শে-ই হইলো মানুষ আসলে) বাঁইচা থাকতে হয়। এর লাইগা যারে আপনি ভালোবাসেন না, তারে মাইরা ফেলাটা জায়েজ আছে। যেই মানুষের মনে ভালোবাসা নাই, মানে যারে আপনি ভালোবাসেন না, সে আবার মানুষ কেমনে হয়! কুত্তা-বিলাইও মানুষ হইতে পারে, আপনি ভালোবাসাতে পারলে! ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের ওরাও এইটাই দেখে। Continue reading
ব্লগার-চরিত্র
রিসেন্টলি হলিউডের দুইটা সিনেমা দেখছি। একটার নাম Contagion, আরেকটার নাম Larry Crowne. দুইটাই মোটামুটি টাইপের সিনেমা; কোনটা যে বেশি বাজে, সেইটা নিয়া একটু কনফিউজডই আছি। কনটাজিউন’টা অনেকবেশি স্ট্রেইট-মিনিং’এর সিনেমা; গিনেথ প্যালেট্রো, কেট উইন্সলেট, ম্যাট ডেমন, জুড ল- এতগুলা নাম দেইখা কিনছিলাম আর ল্যারি ক্রাউন-এর জন্য ত জুলিয়া রবার্টস আর টম হ্যাকন্স-এর নামই এনাফ। [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]
সিনেমা দুইটাতে একটা জিনিস চোখে পড়লো, যা আগে-দেখা সিনেমাগুলাতে দেখি নাই; সেইটা হইলো যে, দুইটাতেই ‘ব্লগার’ চরিত্র আছে।
কোন সামাজিক চরিত্ররে পপুলার মিডিয়া কিভাবে দেখতে চায়, সেইটার ভালো রিফ্লেকশন সম্ভবত সিনেমাতেই সবচে’ ভালোভাবে পাওয়া সম্ভব। যেমন ধরেন, আগের দিনের বাংলা-সিনেমায় টাকা-পয়সাওলা লোক মানেই ‘খারাপ’ কিংবা স্কুল-মাষ্টার মানেই ‘ভালো’ অথবা বাসার চাকর মানেই ‘বোকা’, ‘গ্রামের মানুষ’ মানে ‘সহজ সরল’ – এইরকমের ‘ডেফিনেশন’গুলা হাজির হইতে দেখতাম। হলিউডের সিনেমাতেও একটা সময় ভিলেনরা ছিলো ‘রাশিয়ার গুপ্তচর’। আর এখনকার সিনেমাগুলাতে ‘ব্লগার’ চরিত্রগুলারেও হয়তো আরো দেখা যাইবো।
হলিউডের সিনেমা ‘বর্তমান’রে ইনক্লুড করে বেশ ভালোভাবেই। কিন্তু এরপরে যেইটা করে, সেইটার একটা ‘ডেফিনেশন’ তৈরি করে, মানে খুব রিজিড না হইলেও, সেইটা আছে, এই সিনেমা দুইটাতে যেমন।
দেব ডি.
দেব ডি. হইলো প্রথম সাকসেসফুল ব্লেন্ড হলিউডি ধারণা এবং বলিউডি এক্সপ্রেশন এর।
কিছুদিন ধইরাই সিনেমাটার গান দেখি; এওয়ার্ড ফাংশনগুলাতেও দেখি নমিনেশন পায়, দুই-একটা পুরস্কারও পায় ছোটখাট ক্যাটাগরিতে। আরো শুনলাম যে, দেবদাস ভার্সন; তখন আরো আগ্রহ হইলো। তো একদিন কিইনাই ফেললাম, ডিভিডি।
এক বসাতেই দেখা হয়া গেলো। এককথায় বলতে গেলে, আমি খুবই ইমপ্রেসড। দ্য ওয়ে দ্য স্টোরি ওয়াজ মোল্ড এবং রি-ক্রিয়েটেড, একটা উপভোগ্য ব্যাপার। Continue reading