নোটস: অগাস্ট, ২০২০

১৭ অগাস্ট, ২০২০

“একটু সুন্দর করে লিখতে পারলে… খুবই সুন্দর করে ফেইক করা যায়” –

Mijanur Rahman
এইটা খুবই সত্যি কথা; দেখবেন, যারা লেখালেখি করতে পারেন, একটা ফর্মে ইউজড-টু হয়া গেছেন, খুব সহজেই অই ফর্মটার ভিতরে অনেক কিছুরে ঢুকায়া ফেলতে পারেন। দ্যান, ট্রাপ’টাও এইটাই। ‘সুন্দর’ কইরা লেখাটাতে মইজা যান; আর কিছু সময় পরে বুঝা যায়, ব্যাপারটা এতোটা সত্যি তো না-ই, এতোটা সুন্দরও না!
মানে, লিখতে গেলে, সবসময় নিজের প্যাটার্নটারে, বলবার ভঙ্গিগুলারে, লেখার সুরগুলারে সন্দেহ করবেন; এইটা কখনো কখনো ‘ফেইক’ না ঠিক, বরং ‘মিথ্যা’ বলার মনোটনি থিকা বাঁচায়া দিতে পারবে হয়তো।…

 

অগাস্ট ১৮, ২০২০
আর্ট-কালচার-সাহিত্য করার একটা উপায় হইতেছে যারা নিজেদেরকে ‘সাহিত্যের অথরিটি’ হিসাবে দাবি করতে চায় – তাদের মতামত’রে কখনোই খুব একটা ইর্ম্পটেন্স না দেয়া। (ব্যাপারটা ঠিক বেয়াদবি করা বা কোরাম মেইনটেইন করার ঘটনা না; বরং অথরিটি’র জায়গাটাতে সাবস্ক্রাইব না করা।)
এই কারণে না যে, উনারা ভুল কথা বলেন; সাহিত্যে সবসময়ই কম-বেশি ভুল বিচারের নজির আছে। কিন্তু অথরিটি’র কাজ যতোটা না বিচার করা, তার চাইতে অথরিটি’র সাথে মানানসই জিনিসগুলারে রিলিভেন্ট কইরা তোলা। তো, সেইখানে সাহিত্য বিচারের ঘটনা বরং কম-ই থাকে। এই পাওয়ার প্রাকটিসগুলারে ইর্ম্পটেন্স দিতে গেলে আপনি যা লিখতে চান, সেই জায়গাটাই সাফার করতে থাকবে।
আর খেয়াল কইরা দেখবেন, যারা একটা সময়ে ‘সাহিত্যের অথরিটি’ হয়া উঠেন, তারা এইসব জায়গাতে আটকায়া থাকার কারণে (সময়ের অভাবে না, অথিরিটি-ট্রাপের কারণে) লেখালেখির জায়গাটাতে অ্যাক্টিভ থাকতে পারেন না আর। এই জায়গাতে কয়েকটা নাম মনে হইছিল; কিন্তু বললাম না। বললাম না বইলাই আমার কথা’টা মিথ্যা হয়া গেলো না, বা বললেই সত্যি হয়া উঠতো না আর কি!

 

অগাস্ট ১৯, ২০২০
জ্ঞান, নলেজ বা এলেমে তিনটা জিনিস থাকে – জানা, বোঝা আর মানতে পারা বা আমল করা। কিন্তু তিনটা জিনিস ‘ধাপ’ বা লিনিয়ার না, এক্টার পরে এক্টা আসে – সবসময় এইরকম না; বরং বেশিরভাগ সময়ই সার্কুলার একটা জিনিস। এখন কোন কিছু না জানলে আপনি বুঝবেন কি কইরা, বা না বুঝলে মানবেন কেমনে! এই ডিলেমা তো আছেই। কিন্তু এইটা পুরাটা সত্যি না।
বরং অনেক সময় আপনার বুঝ বা আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের জায়গা থিকাও জানার পথে বাইর হইতে পারেন তো! মানে, ‘বুঝার’ এক্টা জায়গা যদি আপনার না থাকে, অনেক কিছু দেখবেন আপনি জানতেও পারতেছেন না! জানার আগ পর্যন্ত হয়তো এইগুলারে ইনটিউশন বা ‘মনে-হওয়া’ বইলা ডাকেন।… বা বুঝার পরেও অনেক কিছু মানতে পারেন না; যেমন ধরেন, মুসলমান হিসাবে সুদের ব্যবসা আপনি করতে চান না, কিন্তু আপনি যেই লাইনে পড়াশোনা করছেন ব্যাংকের চাকরির বাইরে যাওয়া সমস্যাই; বা ধরেন আপনি বিপ্লবী, পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় বিশ্বাস করেন না, কিন্তু পত্রিকায় আর্টিকেল লেইখা টাকা নিতেই হইতেছে। তখন হয় কি, আপনার ‘বুঝ’ বা আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের জায়গাগুলারেও পাল্টাইতে হয় একটু। যা কিছু আপনি মানতেছেন, আপনার বুঝের জায়গাটাতেও কন্ট্রিবিউট করতেছে। ভাইস-ভার্সা তো আছেই। কোনকিছু যে মানতেছেন, সেইটার লাইগা একটা আইডিয়াতে সাবস্ক্রাইব করার দরকারও পড়ে।…
মানে, আমি বলতে চাইতেছি, জানা, বুঝা আর মানা – এই যে জ্ঞানের তরিকাগুলা আলাদা আলাদা তো অবশ্যই, তবে খুবই ইন্ট্রিগ্রেটেড একটা ঘটনাও। (তাই বইলা আবার ইন্টার-ডিপেন্ডেড জিনিস না; এই জিনিসগুলারে কন্সিডার করার বা এড়াইবার রাস্তাগুলাও বানায়া নেন সবাই, যে যার মতো…)

 

অগাস্ট ১৯, ২০২০

দ্য ব্ল্যাকলিস্ট সিরিজে এইরকম একটা সিন আছে, মেইন কারেক্টার যে, রেমন্ড রেডিংটন, তার ফাঁসি হয়া যাবে; জেলখানায় তারে জিগানো হইছে, মরা’র আগে কি খাবে সে? রেডিংটন (রেড) খুবই খাওয়া-দাওয়া পছন্দ করা লোক। দুনিয়ার সব ভালো-ভালো খাবার নিয়া গাল-গল্প করে সবসময়, আর খায়ও; যে প্যারিসের অই দোকানের চিজকেক ভালো, মেক্সিকোর সাব-আর্বের অই স্টেইক, লন্ডনের এইটা, জাকার্তার অইটা… এই-সেই; মানে খালি ফুড-লাভার না, প্যাশোনেট ইটার! 🙂
[বাংলাদেশে দেখবেন, খাওয়া-দাওয়া জিনিসটারে খুবই বাজেভাবে দেখা হয়, এস্থেটিক্যালি; যেহেতু আমরা ‘গরিব’, খাওয়া-দাওয়া এনজয় করতে পারবো না! 🙁 অথচ এরা মাটির চুলার আগুনে খুদের পোড়া-পিঠা দুধ দিয়া খাওয়ার টেস্ট জীবনেও পায় নাই! যা-ই হোক… ]
তো, এই লোক, রেড, ফাঁসির আগে বাঁধাকপি আর গাজরের পাতলা স্যুপ খাইতে চায়। খাওয়ার সময় তার মেয়ে (কিছু টুইস্ট আছে এই পরিচয় নিয়া) লিজ আসে, দেইখা খুবই অবাক হয়, “এই জিনিস খাইতেছো তুমি!”
তখন রেড কয়, আমি যখন ছোট ছিলাম, আমার আম্মা জোর কইরা এই স্যুপ খাওয়াইতো, তখন তো খাইতে চাইতাম না!
মানে, খাওয়া জিনিসটা খালি খাওয়া না রে ভাই! ওং কার ওয়াইয়ের সিনেমাতে দেখবেন একটু পরে পরেই খাওয়া-দাওয়ার সিন, ইন দ্য মুড ফর লাভ-এ খালি নুডুলসের দোকানে যাইতেছে আর আসতেছে…

মেমোরি জিনিসটাও খারাপ বা ভালো বইলা আমরা মনে রাখি না; মনে থাকে এর ইনটেনসিটি’টা, এটাচমেন্ট’টা।…

 

অগাস্ট ১৯, ২০২০
…অনুবাদ বা ট্রান্সলেশন যে হয় না – তা না, বরং কালচার টু কালচার জিনিসগুলা একইরকম না। মানে, এমন না যে, শব্দগুলারে ট্রান্সলেট/অুনবাদ/তরজমা করা যাইতেছে না, বরং ধারণার জায়গাগুলা একইরকম ভাবে নাই, বা থাকতে পারে না। আপনে একজন ফরাসী লোকরে তো বকাবকি করতে পারেন না সে কেন ‘সঠিক উচ্চারণে’ বাংলা-ভাষা বলতে পারেতছে না, এবং ভাইস-ভার্সা।
কয়েক বছর আগে, ইউরোপিয়ান এক পিএইচডি স্টুডেন্ট ইন্ডিয়াতে আইসা আবিষ্কার করলেন, ইন্ডিয়াতে রেইপ বেশি হয় কারণ রেপিস্টরা ‘কনসেন্ট’ জিনিসটা বুঝে না! যে, সেক্স করার সময় মেয়েদের ‘কনসেন্ট’ নিতে হবে – এই জিনিসটা অরা জানে না বইলা রেইপ করে! মানে, কি আজিব এক ব্যাপার! রেপিস্টরা ‘না জাইনা’ ক্রাইম করে – ঘটনা তো কখনোই এইরকম না, বরং ‘কনসেন্ট’ জিনিসটা ইউরোপিয়ান সোসাইটিতে যেমনে কাজ করে, ইন্ডিয়ান সোসাইটিতে একইভাবে কাজ করে না। যেমন ধরেন, ‘ধর্ম’ মানে তো ইংলিশ ‘রিলিজিয়ন’ না, বরং ইন্ডিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজগুলাতে ধর্ম মানে কর্তব্য, কাজ… এইরকম।
তো, এইটারে ভোকাবুলারির সমস্যা বইলা দেখলে ভুল হবে। এই ভোকাবুলারি বা এর মিনিংগুলা চিন্তা আর কাজের রেফারেন্সের জায়গাগুলা থিকা তৈরি হইতেছে, ইন্টার-অ্যাকশনে আসতেছে আর আবার চেইঞ্জ হইতেছে। এইটা যে খালি একটা সোসাইটিতে, একটা কালচারাল কনটেক্সটে ঘটতেছে – তা না; নানান সময়ের, নানান কালচারের এই মিল-মিশগুলা সবসময়ই অ্যাক্টিভ থাকতেছে। ভাষা হিসাবে বাংলা খুব টালমাটাল বা আমাদের ঐহিত্য ধ্বংস হয়া যাইতেছে – এইরকম না, ভাষা জিনিসটা সবসময়ই টালমাটাল, আর ‘ঐতিহ্য’ নামের ঘোড়ার ডিমটাও কয়দিন আগেই আবিষ্কার হইছে।…

 

অগাস্ট ২৭, ২০২০

এক্টা জিনিস, বেশ অফ-টপিকই, তারপরেও যেহেতু মনে হইলো, বইলা রাখি; যারা সাহিত্য করেন, এইরকম ভাবতে পারার ভুল’টা কইরেন না যে, আপনার প্রেমিক/প্রেমিকা আপনার ‘কবিতা’রে বাঁচায়া রাখতে পারবে; যেহেতু আপনি তারে নিয়া বা তার লাইগাই লিখতেছেন, মনে হইতে তার পছন্দ করাই যেন ব্যাপারটারে ‘আর্ট’ কইরা তুললো, আপনাদের নিজেদেরকেও মিথ বানায়া তুলতে পারলো! কিন্তু ব্যাপারটা এইরকমভাবে ঘটে না আসলে খুবেক্টা, বরং হইলে, উল্টা’টা হয়; যেইরকম বুকোউস্কি’রে তার পাবলিশার কইছিল, হেই হ্যাঙ্ক! ৫০ বছর পরে যখন এই মহিলারা মারা যাইবো, তোমার কবিতা’তে অরা তখনো বাঁইচা থাকতে পারবো! তবে আনফরচুনেটলি, কোনকিছুই বাঁইচা থাকে না, কিছু বুদ বুদ ছাড়া…

 

অগাস্ট ৩০, ২০২০

দুইটা প্রশ্ন আছে এইখানে; একটা হইতেছে, আপনার কাছে যদি কোন প্রমাণ না থাকে, তাইলে সেই ঘটনার কথা আপনি পাবলিকলি বলতে পারবেন কিনা? মানে, আপনি ফিল করতেছেন একটা অন্যায় হইছে, বা আপনার খারাপ লাগছে; কিন্তু ছবি তোলেন নাই কোন, অডিও রেকর্ড করেন নাই, ঘটনা’টা ভিডিও করেন নাই, স্ক্রীণশটও নাই কোন… তো, সেইরকম কোনকিছুর কথা পাবলিকলি কি বলতে পারবেন না আপনি?
দুসরা হইতেছে, (তথ্য-প্রমাণ থাকলেই) কাউরে কি পাবলিকলি হিউমিলেট করতে পারেন আপনি? আদালতে প্রমাণ হওয়া দোষীরেও কি পাবলিকলি গালি-গালাজ করা যায়? এই রাইটস কি আছে আপনার?

তো, মনে হইতে পারতে, এই দুইটা কোশ্চেন খুবই কনফ্লিক্টিং; কিন্তু আসলে তা না। ব্যাপার’টা সত্য-মিথ্যা বা ন্যায়-বিচারের লগে যতোটা রিলেটেড না তার চাইতে অনেক বেশি পাবলিক পারফর্মেন্সের লগে রিলেটেড এক্টা ঘটনা। পাবলিকলি কি বলতে পারেন আর পারেন না – এর ক্লিয়ার-কাট কোন আইন নাই, বরং কিছু সোশ্যাল প্রাকটিস আছে যে, নরমালি এইগুলা লোকজন বলে, নরমালি এইগুলা বলে না, এইরকম। এখন এইগুলা না মাইনা অনেকে বিপ্লবী তো হইতেই পারেন; কিন্তু চালু কোন রীতি বা প্রাকটিস নাই – এইকথা বলতে পারার কথা না। আমরা কথা এইটা না যে, এই রীতি আপনারে মানতে হবে, বরং উল্টাটা; আপনার বলা আর আপনার ইন্ডিভিজ্যুয়াল বলা হিসাবে থাকে না; বরং যখনই পাবলিকলি কিছু আপনি বলতে যাইতেছেন, সেইটা সবসময়ই পারফর্মন্সের লগে রিলেটেড একটা ঘটনা হয়া উঠে।

যেমন ধরেন, কয়দিন আগে সাকিব আল হাসানের বাচ্চা-মেয়ে’র ছবি’তে কয়েকটা কমেন্ট যে করা হইছিল, সেইগুলা সাঁটায়া যে ‘প্রতিবাদ’টা করা হইলো; বা বরিশালে এক পোলা ন্যাংটা হয়া যে এক মেয়ে’রে রেইপের থ্রেট দিতেছিলো – বাজে ঘটনা-ই এইগুলা, কোন ডাউট ছাড়াই, কোন ‘কিন্তু, তবু…’ বাদ দিয়াই। আর এর যে ‘প্রতিবাদ’, এইটা এক্টা অন্যায়-অবিচারের ফিলিংসের জায়গা থিকা করা হইতেছে না – তা-ও না; কিন্তু দেখবেন “প্রতিবাদ” করার ঘটনাটা সবসময় একটা আদর্শ বা আইডিওলজি’র জায়গা থিকা এমার্জ করতেছে; আর সেইটা থিকা এক্টা আর্জ সবসময়ই ক্রিয়েট হইতেছে, থাইকা যাইতেছে, “প্রতিবাদ করার”। বিফোর সানসেট সিনেমা’তে ফরাসি নায়িকা ফ্রাস্টেটেড হয়া আম্রিকান নায়ক’রে কইতেছিল, আমার বাপ-মা ১৯৬৮’র স্টুডেন্ট মুভমেন্ট করছে, এখন আমার কোনকিছু নিয়া মুভমেন্ট করার কিছু নাই! তো, ব্যাপারটা পুরাপুরি এইরকম না যে, “প্রতিবাদ করার” ইস্যু নাই, বরং ইস্যুগুলারে আমরা এক্টা সলিউশনের জায়গাতে এতোটা নিয়া যাইতে পারতেছি না, ব্যাপারগুলা পারফর্মেন্সর ভিতরই আটকায়া থাকতেছে।

কেন? আমার ধারণা, আউডিওলজি বা আদর্শের ইনহেরিয়েট একটা প্রব্লেম এইটা। সব পার্টিতে বা আদর্শেই ব্যানারেই কিছু খারাপ লোক থাকে – ব্যাপারটা এইরকম না; বরং আমাদের যে ‘খারাপ’ বা ‘ভালো’ দোষ-গুণ আছে, সেইগুলারে কোন না কোন আইডিওলজির লগে রিলেট কইরাই ‘প্রমাণ’ করা লাগে। মানে, আপনি ভালো লোক, সেইটা কোন এম্পটিনেসের ভিতর দিয়া তো ‘প্রমাণ’ করা যাবে না; কোন না কোন আদর্শের ভিতর দিয়া এইটা করা লাগবে; হইতে পারে, আপনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন বা আপনি ধর্মের বেসিস মানুশ’রে যাচাই করেন না; মানে, যতো অপজিটই হোক, এক্টা আদর্শের জায়গা এইখানে আছে। কিন্তু এই আদর্শগুলা তো কখনোই পুরাপুরি আপনি না! মানুশের এগজিসটেন্স বা অ্যাক্টরে কোন ধারণা দিয়া আটকাইতে গেলেই দেখবেন, এইটা ঠিকঠাক হইতেছে না, ফাঁক এক্টা থাইকাই যাইতেছে। আমার ধারণা, এইটারে এই পারফর্মেন্সের জায়গাটা দিয়া আমরা ভরাট করার ট্রাই করি। কিন্তু এইটা তা করতে পারে না।

তো, এই দুইটা প্রশ্নে আমার সাজেশন হইলো, যে কারো কথা বলা’রে আটকাইয়েন না; কথা বলার জন্য ‘প্রমাণ’রে মেন্ডেটরি করাটা ঠিক না; বরং এইটা এক্টা ট্রাপ, ছবি, অডিও, ভিডিও… এইগুলা প্রমাণ তো অবশ্যই; কিন্তু এইগুলা যেইভাবে ‘প্রমাণ’ হয়া উঠে, সেই জায়গাটার ইনকোয়ারি’টা বরং আরো বেশি জরুরি। আর দুসরা ঘটনা হইলো, হিউমিলিয়েশন কখনোই কোন ভালো জিনিস না; আপনি যদি সত্যি কথাও বলেন, সত্যি কথা বইলা কাউরে অপমান করতে পারাটারে আমার কাছে সার্পোট করার মতো কোন জিনিস বইলা মনেহয় না। মানে, দেশে বিচার নাই, বিচার আমি পাবো না, এই কারণে আমি পাবলিকলি হিউমিলেট কইরা রিভেঞ্জ বা শোধ নিতেছি, এই রিভেঞ্জের স্ট্রাট্রেজিটা বিচারের রাস্তাটারেই আরো ব্লক কইরা রাখার কথা, বেশিরভাগ সময়।

অগাস্ট ৩১, ২০২০

কথা দিয়া, কাজ-কাম দিয়া, ছবি দিয়া, ইন্টার-অ্যাকশনের ভিতর দিয়া ওভারঅল একটা ইমেজ-ই বানাই আমরা আমাদের; আমার কথা হইলো, অই ইমেজের ফান্দে পইড়া যাইয়েন না। এই ইমেজটাই আমাদের এগজিসটেন্স না, ‘সত্যি’টা না; এইটা জাস্ট আমাদের অ্যাপিয়েরেন্স। এইটা সত্যি কথা যে, অ্যাপিয়েরেন্সের ভিতর দিয়াই সত্যি জিনিসটারে টের পাইতে হবে আমাদের; কিন্তু অ্যাপিয়েরন্সটারেই সত্যি বইলা ধইরা নিলে, সেইটা ভুল-ই হবে একটা।

Leave a Reply