তাহার মতো, তাহাদেরই মতো…

একজনের ভালোবাসার মতো আরেকজনরে ভালোবাসা হয় না আসলে। প্রেম-ভালোবাসা একটা ইন্ডিভিজ্যুয়ালিস্টিক ঘটনা। ইন্ডিভিজ্যুয়াল ওয়ে অফ কানেকটিং দ্য আদার। এখন এই দেখাটাও ভালোবাসার ঘটনাটা থিকা আলাদা বা দেখতে পারা যায় বইলা ভালোবাসার কথাটা ভাবা যায়। অলি কথা বলে না আর বকুলও হাসে না কিন্তু কাছাকাছি দেইখা ভাবা যায় এই যে ঘুরাফিরা কথা-ই তো সেইটা আর বকুল যে শরীর কাঁপাইলো বাতাসে, বা ধরেন কথা বলতে বলতেই কেউ হাইসা দিলো স্কাইপে; ভালোবাসাই তো, তাই না? এইকথা শুইনা তুমি আর হাসবেন না, নাইলে কেন এই গান। বা যেইটা পসিবল শুনলেনই না হয়তো।

কিন্তু ভালোবাসলে ভুল করতে পারতে হয় আসলে। ফাগুন একটা আনন্দের ঘটনা; বাতাস যে উড়ায় ধূলা; সেই ধূলার আনন্দ হইলো যে কেউ দেখতে পাইতেছে তারে; ভাবতেছে এইটাই ভালোবাসা। মানে, ভালোবাসা এক্সিবিশনিস্ট একটা ব্যাপারই। কেউ না কেউ যদি না দেখে তাইলে এগজিস্ট করে না, ঘটনার বাইরে থিকা কেউ দেখতেছে বইলাই এইটা ঘটনা। ভালোবাসা, বকুলফুল, দ্য আল্টিমেট ইভেন্ট, তুমি আসতে পারো তো! Continue reading

ইমাজিনিং জন লেনন

~ ভাবেন, একটু ভাবতেও পারেন না আপনেরা… ~

ইমাজিন করেন কোন মানুষ নাই, দূর আকাশের তারা’র মতো লাইটগুলি জ্বলতেছে খালি। দূরে। আরেকটাই দুনিয়া। দুনিয়া কী রকমের ভালো হইতো তাইলে, তাই না? খালি আমরা ইউরোপিয়ানরাই মানুষ। এশিয়ান, আফ্রিকান, হিস্পানিক’রা নাই আর। যাঁরা আছে, তাঁরাও আমরারই মতো। এইটা ছাড়া ধরেন, রোবট থাকলে কিছু থাকতে পারে বা উনারা যদি রাজি থাকেন রোবট-মানুষ হইতে। না, না এইরকমও মেকানিক্যাল না আবার। Continue reading

যদি তুমি, তুমি না…

কি লিখতেছেন, কেন লিখতেছেন সেইটার আগে ইর্ম্পটেন্ট হইলো কার লাইগা লিখতেছেন? তিনি বা তাঁরা আছেন তো আপনার লগে বা আপনার আশে-পাশে, লাইক-টাইক দিতে পারতেছে তো বা দিলে জখম দিতে পারতেছেন তো এনাফ আর সেই জখম নিয়া উনি বা উনারা উঁহু আঁহা করতে পারতেছেন তো, ধরেন কোন চান্নি রাইতের কাছে গিয়াই, চাকবুম চাকবুম কইরা? মানে, ওয়াইল্ড এনাফ তো তিনি বা তাঁরা, আপনার প্রেমে? না হইলে ভাই এইসব কইরা কি লাভ! Continue reading

রাত পোহাবার আর কত দেরি, পাঞ্জেরী!

বলতে পারাটাই আসলে গান। আপনি একটাকিছু বললেন, নট দ্যাট যে যেইটা মনে হইতেছে সেইটাই বললেন; যে কোন একটাকিছু যে বলা যায়, এইটা মনে-হওয়াটাই গান।

রাতটা থাইমাই ছিলো। ইলেকট্রিকের বাতি’র সুইচ অফ কইরা দিযাও আপনি বলতে পারেন, প্রদীপ নিভে গেলো। সেইটাও ঠিক আছে। কিন্তু যখনই কিছু বলার কথা মনে হইলো, তখনই মিউজিক আসলো, গানটা শুরু হইতে পারলো।

কাজলের মা তনুজা’র জাওয়ানি ছিলো তখোন। আর দেবানন্দ ত জওয়ান ছিলেন সত্তর বছর বয়স পর্যন্ত। (খেয়াল করেন কেমনে অ্যাডজেক্টিভ তার জায়গা বদলায় জেন্ডারের পারসপেক্টিভে।) তনুজা বলতেছেন যে, বলতেই পারেন! কিন্তু দেবানন্দ শুনতেছেন, করতেই পারেন! আর্টের টেনশনটা এই জায়গাটাতে আইসাই থামছে। Continue reading

আমার হৃদয়ে র‌্যাব ঢুকে গেছে

অডিয়েন্স ত ইর্ম্পটেন্ট! এমন না যে খালি অডিয়েন্স ছাড়া আর্ট ক্রিয়েট হইতে পারে না, আমি আরো ছোট জায়গা থিকা বলতেছি। এই গানটাতে, কয়েকজন দর্শক আছেন; গানের থার্ড-পার্ট’টাতে, থরথর আবেগের মোমেন্টে একজন মাথা নাড়াইয়া এক্সপ্রেশনটা দেন যে, ঠিকই আছে; এইটাই! আমার হৃদয়ে র‌্যাব ঢুকে গেছে, এইরকম তোলপাড় করা জিনিসটারে হজম কইরা মাথা ঝাঁকি দেন, একটু; ধীরে, তার মোটা ঘাড়টারে নামাইয়া ফেলেন; ঘাড়ে মনেহয় ময়লা নাই কোন। এতে কইরা আবেগটা আরো অ্যামপ্লিফাই হয়; এমন না যে আবেগটা নাই গানে, ভালোমতোই আছে; তারপরও যাঁর সামনে ক্রিয়েট করা হইতেছে, ক্রিয়েশনের মোমেন্টে যিনি আছেন, উনি যখন কনফার্ম করতেছেন, তখোন মনেহয় যে আবেগটা আসলেই পারফেক্ট। আবেগটা আছে, লগে কনফার্মেশনও যদি থাকে একটা, সেইটা পুরা স্পেল-বাউন্ড একটা ব্যাপার। কঠিন আর্ট।

আপনি ভালো লিখছেন সেইটা অবশ্যই একটা ঘটনা; আরো ১০০ জন আপনারে বলছে যে, আপনি ভালো লিখছেন, সেইটা আরো বড় ঘটনা। একজন দুইজন ত এটলিস্ট লাগেই।