Elle Movie-তে রাইটারের কারেক্টারটা হইতেছে সবচে মজার। মানে, ফানি-ই। একটা মেইল ইগো সে। তার এক্স-ওয়াইফ রেইপড হইছে শুইনা কেয়ারিং দেখাইতে আইসা পিপার স্প্রে খায় [সে মনেহয় ভাবতে পারছিলো তার এক্স-ওয়াইফের বডির মালিকানা তখনো তারই আছে], এর আগে রেস্টুরেন্টে তার গাড়ির বাম্পার ধসায়া দেয় তার এক্স-ওয়াইফ। সে নিজেরে কয়, পুওর পেনিলেস রাইটার! কিন্তু তার এক্স-ওয়াইফ যখন একই কথা বলে, তখনই বেশি সত্যি মনেহয় আসলে। :p পরে, ইয়াং প্রেমিকারেও সে ছাইড়া দেয় কারণ বিছানায় সে যখন জিগায় তার লেখা কোন বইটা মেয়েটার বেশি ভাল্লাগছে, শে তখন আরেকজন রাইটারের বইয়ের নাম কয় 🙁আর সেই বিচারও তার আইসা দিতে হয়, এক্স-ওয়াইফের কাছেই। শেষে, তার এক্স-ওয়াইফের ভিডিও গেইমসের কোম্পানিতে কাহিনি বেচার প্রপোজাল পায়, যেইটা খারাপ না আসলে, সে একটু কনফিউজড থাকে যদিও, করুণা করতেছে না তো! মানে, রাইটারের রিয়ালিটি’টা তো এইরকম ফানি কিসিমেরই, সোশ্যাল ইমেজের জায়গাটাতে।
এই রাইটারের প্রজেকশন থিকা, সিনেমার যেই মূল কারেক্টার, মিশেল – শে নিজেই হইতেছে আসল ডেঞ্জার। ট্রেইলারেও হাইলাইট হইছে এই বাণী – The real danger, Michele, is you. ডেঞ্জারের মিনিং হইতেছে সেইটাই, যেইটা আমরা জানি না। মিশেলের পজেসিভনেসটারে সে বুঝতে রাজি না আসলে। যখন মিশেল তাঁর পারভার্ট ব্যাংকার নেইবার’রে চিইনা ফেলে যে তাঁরে রেইপ করছিলো, যার সাথে শে প্রেম-ই করতে চাইছিলো, তখন শে থমকাইতে পারে। তাঁর সাইকো বাপের লগে দেখা করতে যাওয়ার লাইগা নিজেরে রাজি করাইতে পারে; কিন্তু বাপের সাহস থাকে না আর মেয়ে’র লগে দেখা করার – নিজেরে মারতে পারে সে। মিশেল তাঁর ফ্রেন্ডরে কইতে পারে যে শে তাঁর হাজব্যান্ডের লগে শুইছিল ৬-৮ মাস আর তার আগে শে সেই রিলেশনটারে এন্ড করতে পারে। তার শাদা পোলা যে তার শাদা গার্লফ্রেন্ডের কালা বাচ্চার পারফেক্ট বাপ হইতে চায়, সেইটারেও মনেহয় কোন না কোনভাবে রিলেট করতে পারে তার জানা-বুঝার ভিতরে। বা না বুঝলেও মানতে পারে। পরে মিশেলের পোলা আইসা পারভার্ট নেইবার’রে যে খুন করতে পারে – এইটা একটা পোয়েটিক জাস্টিসই মনেহয়। কারণ নেইবারের বউ তো নেইবার’রে মাফ কইরা দিছিলো কারণ হি ওয়াজ অ্যা টর্চাড সৌল। মিশেল তো মাফ করতে চায় নাই তাঁর পারভার্ট প্রেমিকরে। মিশেলের ফ্রেন্ডও তাঁর কঠিন পুরুষ হাজব্যান্ড’রে লাত্থি মাইরা বাইর কইরা দিতে পারে। দুইজনে আবার ফ্রেন্ড হইতে পারে।
রিয়ালিটি [ফ্যাক্টগুলি না] উইয়ার্ড আছে তো! আমাদের র্যাশানালিটির ব্যাখ্যার মধ্যে যা আঁটে না তারে বাদ দিয়া দিতে হবে বা সিনেমা বানানো যাবে না, তা তো না। সিনেমার বা আর্টের ব্যাখ্যা করার দায় নাই, কিন্তু এই সিনেমাটারেও ব্যাখ্যা তো করা যাইতেই পারে যে, রিয়ালিটি বইলা অ্যাজ সাচ কোন রিয়ালিটি নাই আসলে। :p
Leave a Reply