ড্রাফটস: মার্চ, ২০১৭

বাসা বদল   

ফুটা পয়সাটা লাগলো না কোন কাজে
ফুটা পয়সার মতো আমি ছড়ায়া গেলাম তোমার অ-কাজে
চিন্তার ভুলে, শুকায়া-যাওয়া মগজের কোষে

ধূলার মতো লেপটাইয়া থাকলাম ঘরের জিনিসে – আলনা, আলমারি আর
বইয়ের ভিতরে। লুকায়া লুকায়া ট্রাভেল করলাম, থাইকা গেলাম… না-

থাকার মতোন। হইতে পারে তো এইরকম? পারে না?

 

ভোরের বাতাস

পাইতে পাইতে হারায়া ফেলি তোমারে

হারাইতে হারাইতে ভাবি

তুমি যে ছিলা, সত্যিই তো মনেহয়;

পিউ কাঁহা ডাকতেছিলো ২/৩টা,
নাকি একটাই?…

আরেকটা সকালের আগে অনেকগুলি মসজিদের মাইক থিকা একটু পরে পরে আসতেছিলো আযান
আসসালাতো খায়রুম মিনান নাওম…

একটু ঘুম আর অনেকটুক না-ঘুমানোর ভিতর

আমরা ভাবতেছিলাম, ঘুমাবো…

নাপা আর ল্যাকজোটনিল

অনিদ্রা আর ব্যাকপেইন

মেহগনি গাছগুলি অনেক পাতা ঝরাইয়া দাঁড়ায়া ছিলো
তার উপরে কুয়াশা মেঘ

ভোরের

ঠান্ডা বাতাস, বসন্তের

‘ঘুমাবো, আমরা ঘুমাবো…’
জাইগা থাকতে থাকতেই বলতেছিলাম

আরেকটা সিগ্রেট, আরেকটা গাঞ্জার স্টিক…

আরেকবার আমাদের হাত, আমাদের ঠোঁট

আমাদের দাঁত, আমাদের জিব

আমাদের কোমর আর আমাদের ঠ্যাং

আমাদের পিঠ আর আমাদের পেট

আমাদের চোখ, আমাদের কথা

আমাদের ঘুমের কাছে নিয়া যাইতেছিলো…

ঘুমাইলেই তোমারে হারায়া ফেলি যদি

এই যে এখন দেখা যায়

যদি আর না দেখি!

– এইরকম ভাবনারা গিজগিজ করতে থাকে
মাথার ভিতরে

সকালের রোদ আসে জানালা দিয়া

বারান্দায় আইসা বসে দুপুর

পুরান পথ-ঘাটে ছড়াইতে থাকে বিকাল

সন্ধ্যার আলোগুলি ফুটতে থাকে বেড়িবাঁধের উপরে

একটা ভোরের বাতাসের কথা মনেহয় তখন

মনেহয় –
‘তোমার নরোম দিন, বসন্তের
আমি তো ছিলাম
সেইখানে…’

পাইতে পাইতে একটা না-পাওয়ারে
হারাইতে পারছিলাম তো
দুইজনে…

 

বুঝছো?

কিছু যে বুঝি না – এইটা মানতে কষ্ট হয়,
এইজন্য ভাবি, কিছু কিছু তো বুঝি!

একটা গাছের পাতা ঝুঁইকা পইড়া যাইতেছে রাস্তায়
দেইখা বুঝি, দুনিয়াতে গ্রাভিটি এখনো কাজ করে
বাতাস আছে, গাছের অনিচ্ছাও থাকতে পারে হয়তো…

এতো কিছু যে বুঝি, তখন মনে-
হয়, এতো এতো বুঝতে পারা’র ভিতর
কবর দেয়া যাইতেছে তো তোমারে,
পুরাপুরি?

 

চুপ থাকো

আমি নিরব হবো;

নিরবতার কাছে গিয়া তার কানে কানে বলবো,
‘নিরবতা, তুমি এতো কথা বলতেছো কেনো!’

 

ইউক্যালিপটাস

বোকাচোদা গাছগুলি
আমার চাইতে আরো বেশি বোকাচোদা
খাড়ায়াই আছে ধোনের মতোন
রাস্তার দুইপাশে, অহেতুক
সকালবেলা

 

মিথ্যাবাদী রাখাল

একটা মিথ্যা’র বাঘ আইসা আমার সব সত্যিগুলিরে একদিন বাঁচায়া ফেলবে…
আমি বইসা থাকি ভ্যালিতে, সকালের
রইদ আসে; ভেড়াগুলি ঘুরে নিজেদের মতোন
অরা একজন আরেকজনের খবর রাখে, আর
আমারে দেখে, পাহারাদার
অদের ডরের দরজার সামনে দাঁড়ায়া আছি;
বাঘটারে আসতে দিতেছি না…

আমি থাকতেছি, একটা বাঘের না-থাকার ভিতর
বাঘটা থাবা বিছায়া বইসা আছে আমার ঘুমে,
ঘুম ভাঙার পরে দৌড় দিবো আমি একটা,
ভেড়াদের ফালায়া দিয়া চইলা যাবো কিছু কাকতাড়ুয়াদের কাছে, বলবো
‘বাঘ আসছে! বাঘ আসছে!’

কাকতাড়ুয়াগুলি তখন মানুষ হয়া যাবে, তারপর

বাঘ হাসবেন। আসবেন না আর!

কইবেন,
‘তোমার সত্যি নিয়া তুমি থাকো না রে ভাই!
আমার না-থাকাটারে তুমি কি আর থাকতে দিবা না!’

বাঘ তো কইতেই পারেন এইরকম…

এই ডরে আমি আর জাগি না

আমার সব সত্যিগুলির ভিতর মিথ্যার বাঘ ওঁত পাইতা বইসা থাকেন

আমি কান্দি তাঁর থাবার ভিতর বইসা,
‘তুমি তো আর আসবেন না!’

 

পুরান প্রেমিক

ছিলাম যে, তা তো সত্যি থাকবে না আর;
মেমোরি আইসা আবার নতুন কইরা বানাবে আমারে

যা যা আমি ছিলাম না, যা যা আমি পারি নাই
তারাও মিশবে আইসা…

ঝাপসা হবো আমি আর
স্মৃতির মুখে জমতে থাকবে ঘটনার গাঁদ

কোন এক ফিউচার আইসা বলবে, তুমি তো পাস্ট!

 

ভ্যান গঘ

বিলানেস উইল লাস্ট ফরএভার

 

 

Leave a Reply