কবিতা: জানুয়ারি, ২০২৪

হেপি নিউ ইয়ার, ২০২৪

চিল করতে হবে!
বলতেছে চিলমারি’র বন্দরে
বাঁকা চাঁন, কুয়াশায় ভেসে যাইতে যাইতে…

আমার তালগাছ

“If someone loves a flower, of which just one single blossom grows in all the millions and millions of stars, it is enough to make him happy just to look at the stars.He can say to himself, “Somewhere, my flower is there…”
– O Pequeno Príncipe (The Little Prince)

চোখের চাউনিতেই প্রেম টের পাওয়া যায়, কথা বলার টোনে
তালগাছটাও টের পায় – আমি তারে ভালোবাসি

ভালোবাসা ট্রানসেডেনটাল, আলোর রেখার মতো আঁকা-বাঁকা হয়া যাইতে থাকে, যায়
কিনতু তালগাছ দাঁড়ায়া থাকে, আরেকটা তালগাছের সাথে
লগের তালগাছটা আমার তালগাছটারে দেইখা মিটিমিটি হাসে, কয়
এই লোকটা তোরে ভালা পায়, তোর দিকে তাকায়া থাকে 🙂

আমার তালগাছ উদাসি বাতাসে কাঁপে, মাথা ঝাঁকায়, ইগনোর করে

ভালোবাসা শে-ও টের পায়, কিনতু মুখে বলে
পিরিতি – পরদেশি মেঘের মতন, আসে আর যায়,
যে ভালোবাসে, তারে কি বিশ্বাস করা যায়
আমাদের এই রস-বানানির কাজে!

সখি-তালগাছটাও বুঝে, তখন বুঝের হাসি হাসে
যেহেতু তালগাছ, তারা এলায়া পড়ে না, দাঁড়ায়া থাকে

খেতের আইলে, একটু দূরে থিকা, আমার তালগাছ, আমারে দেখে

জীবে দয়া

একটা তেলাপোকা উলটায়া পড়ে আছে,
পা-গুলা জড়ো কইরা খিচ মাইরা উঠার ট্রাই করতেছে
আজকে দুই দিন ধইরা,
পারতেছে না

আমি বুঝতেছি না
তারে কি একটা কাঠি দিয়া গুতা দিয়া সোজা কইরা দিব,
নাকি পা দিয়া পিইষা মাইরা ফেলবো?

কোন ডিসিশান নিতে পারতেছি না
দেখতেছি, তেলাপোকাটা দিন দিন নিসতেজ হয়া আসতেছে…

তারপর একদিন দেখি, তেলাপোকাটা আর নাই সেইখানে
কেউ তারে উঠায়া দিছে,
নাইলে মাইরা ফেলছে

আর আমারে বাঁচায়া দিছে
দয়ালু অথবা পিশাচ হওয়ার হাত থিকা

সকাল হইতেছে

সকাল হইতেছে
কুয়াশা সরে যাইতেছে
আমি গান শুনতেছি

রইদ উঠতেছে
মানুশের মুখগুলা তা-ও মন-মরা
শীতের গাছগুলার মতো, বোবা

অনেক ধুলা, অনেক আওয়াজ
সিএনজি’র ঘরঘরঘররর, বাসের হর্ন
সকাল হইতেছে মন, সকাল হইতেছে, ঢাকা শহরে

ইলিউশন

সামনেই তো সাগর,
সুতরাং শে হারায়া যাইতে পারে

অথবা বাতাস ছিল তো অনেক
মেঘের মতো শে ওইড়া যাইতে পারে

সবাই বলতেছিল এইরকম, কিনতু আমি জানি
লুকায়া শে আছে কোন গাছের পিছে
আর দেখতেছে আমারে

বলতেছে নিজেরে নিজে, মোরন একটা! হারামি!
মরন আমার আসে না কেন কাছে!

কুয়াশা ও রইদ

এতো বিশাল কুয়াশা, কিছুই দেখা যায় না
তারপরও একটু রইদ উঠলেই
নাই হয়া যায়

ভাঙা আয়না

চারপাশে এতো এতো ভাঙা আয়না
কোনটাতেই নিজের চেহারা
পুরাটা দেখা যায় না

আবারো

আবারো সকাল হবে, আবারো
উঠানে উঠে আসবে রইদ

গাছের পাতাগুলা হাসবে, মনে হবে
সামনে কত বড় দিন! সামনে
আরো অনেক দৃশ্য, আরো অনেক
ঘটনা ঘটতে থাকবে

আবারো সকাল হবে, আবারো
সূর্যের আলো নিইভা আসবে
শুরু হবে (আবারো) কোন এক বরফ-যুগ

কবি ও কবিতা

তুমি কবিতা লেখেন না, তুমি
বলতে থাকেন এইটা হইলো সেইটা,
সেইটা হইলো এইটা, তারপরে
যেহেতু মিনিং চেইঞজ হয়া যায়
তারা হইতে থাকে কবিতার মতন কিছু কথা

তারপরে, সে নিজেই নিজেরে বলে,
হেই তুমি, তুমি কবিতা লেখেন না কেন!

তুমি তখন কবিতা লেখেন, আমি
কবি, সেই কবি, যে কিনা কবিতাও লেখে

দুপরের পরে

অলিতে
গলিতে
চলিতে
চকিতে

দেখিলা
কোকিলা
একলা
ময়লা

হালকা
পলকা
বিকাল
আসিতেছে

রইদ নিবে নিবে
যাইতেছে
বাতাস ধিরে ধিরে
বহিতেছে

তখনই
কুউ কুউ কুউ
ডাকলো কেউ
গাছের পাতার ফাঁকে
ইলেকট্রিকের তারে

মনে মনে
সেই সুরে
গানে
টান
দিল যে

তারও তো ঠেং
মচকায়
হৃদয়ে বেথা জাগে
আর হাইসা উঠে

বানধবি ললিতা
কবিতা
লেখে

অলিতে
গলিতে
চলিতে
চকিতে

মনে মনে
হাসে
ভাবে

কান্দে না বুবু
কান্দে না যে

Leave a Reply