লোকেশন বেশিরভাগ সময়ই একটা ফ্যাক্টর। ঢাকায় থাকলে টিভি-নিউজ দেখাই হয় না। বাড়িতে ইফতারের পরে কিছুক্ষণ টিভি দেখাটাই একটা কাজ। ঢাকায় থাকলে দেশি বিদেশি নিউজপোর্টালের খবর বা ফেসবুক ফ্রেন্ডদের কমেন্টারিগুলি নিয়া ভাবতাম; বা যদি নিউইয়র্কে থাকতাম তাইলে পার্টিতে শোনা লোকের কথারে হয়তো বেশি পাত্তা দিতাম।
তো, কয়েকদিন আগে টিভি’তে দেখলাম, পুলিশদের একটা মিটিংয়ে পুলিশদের লিডার’রা বলতেছিলেন যে, সোশ্যাল-মিডিয়া’য় যারা টেররিস্ট/জঙ্গী নিয়া কথা-বার্তা বলেন, উনারাই ওদেরকে এনকারেজ করতেছেন; উনাদেরকে এখন থিকা কড়া নজরদারিতে রাখা হবে, শাস্তি দেয়া হবে, এটসেটরা। একটু ডরাইলামই। কারণ মাস অডিয়েন্সের ভিতর থিকা পটেনশিয়াল ক্রিমিনালরে আলাদা করতে না পারাটারে উনারা উনাদের ‘না-পারা’ বইলা ভাবেনই নাই! উনারা ভাবতেছেন পাবলিকের ডিজ-অবিডিয়েন্স বইলা! এইভাবে উনারা নিজেরাই যে ক্রাইম করতেছেন – এইরকম ভুল উনারা কখনো ভাবতে পারবেন বইলাও মনেহয় না।
উনাদের এই ভাবনার ভিতর দিয়া ১০০ কোটির একটা মার্কেট মে বি ওপেন হইলো ল’এনফোর্সমেন্টের সাথে জড়িত লোকজনের লাইগা। মানে, যদি ২০০০ পটেনশিয়াল ক্রিমিনালরেও টার্গেট করা যায় আর প্রতিটা কেইস অ্যাভারেজ ৫ লাখ টাকায় ফয়সালা করা গেলে কমবেশি এইরকম একটা মুনাফা হওয়ার কথা। পুলিশের লিডার’রা এইটা না-জানা’র মতো এনাফ বুদ্ধিমান তো হইতেই পারেন। পলিটিক্যাল লিডার’রাও পার্সোনাল কিছু রিভেঞ্জ কি ইনক্লুড করতে পারবেন না?
এর বাইরে সাইকোলজিক্যাল ইমপ্যাক্ট’টা হইলো, সত্যি সত্যি যদি টেররিস্ট’রা পাওয়ারে থাকতো তাইলে এই সম্ভাব্য ২০০০ জনরে এই টাকাগুলা দেয়া লাগতো না; উনারা পটেনশিয়াল টেররিস্ট না হইলেও পরে টেররিস্টদের সিম্পেথাইজার তো হইতেই পারেন, এইটা ভাইবা।
তবে সবচে বাজে যে জিনিসটা হইলো, পুলিশদের তদারকির এরিয়া বাড়াইয়া দেয়া হইলো। এমনিতে নন-জুডিশিয়াল কিলিংয়ের ভিতর দিয়া জাস্টিসের রেসপন্সবিলিটিও উনাদেরকে নিতে হইতেছে। সমাজের নৈতিক ঝামেলাগুলি (পরকীয়া-টরকীয়া, বিয়া না কইরা এক রিকশায় ঘুইরা বেড়ানো, এইসবকিছু…) তো অনেকদিন থিকাই টেইক-কেয়ার করতেছেন; আর এখন ‘যা কিছু ঘটে নাই, কিন্তু ঘটতে পারে’ সেই জায়গাতেও ডান্ডা ঘুরাইতে হবে। ২৪X৭ নজরদারি নিয়া আমরা অস্বস্তিতে থাকতেই পারি, কিন্তু পুলিশেরও কষ্টটাও তো কম না!
Leave a Reply