নোটস: ডিসেম্বর, ২০২১ [পার্ট ২]

ডিসেম্বর ১১, ২০২১

১.
গত ডাকসু ইলেকশনে প্রো-আম্রিকান একটা ফোর্স ভিজিবল হইছিল – স্বতন্ত্র জোট নামে। ইন্টারেস্টিং ঘটনা হইতেছে বামাতি (পরথম আলো, ডেইলি স্টার গ্রুপ) এবং এনার্কিস্টরাও তাতে সার্পোট দিছিল। (মেমোরি থিকা বলতেছি, ফ্যাক্ট হিসাবে ভুল না মনেহয়।) মানে, এই জিনিসটা খেয়াল করার মতো একটা ঘটনা। যেইখানে টের পাওয়া যায় পুঁজিবাদী বা কমিউনিস্ট হওয়া একটা আইডিওলজিক্যাল মাস্ক ছাড়া আর কিছু না, কালচারালি একই ঘটনা।

২.
একটা পপুলার ‘গুজব’ তো অনেকদিন থিকাই চালু আছে যে, শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার লিডারশিপের মধ্যে বেসিক ডিফরেন্স হইতেছে শেখ হাসিনা সরকারি-আমলা, পুলিশ, মিলিটারি, মিডিয়া, সুশীল সমাজের লগে আতাঁত কইরা চলতে রাজি হইছেন, খালেদা জিয়া রাজি হন নাই। কিন্তু বাংলাদেশে এই ইভিল-ফোর্সটাই ক্ষমতা’তে আছে (এই জায়গাটারে ঠিকমতো ডিফাইন করা হয় নাই); ১৯৭১ সালের পর থিকাই এর ফর্মেশন শুরু হইছে, ১৯৯১’র পরে পলিটিক্যাল পাওয়ার হিসাবে অর্গানাইনজড হইছে, এবং ১/১১’র পর থিকা জায়গা থিকা আরো কনফার্মড একটা পজিশনে আসতে পারছে। বারবার আন্দোলন-সংগ্রামের পরে, মানুশের রক্তের বিনিময়ে, ডেমোক্রেসির নামে একটা গোষ্ঠীর হাতেই পিপলের ক্ষমতারে বর্গা দেয়া হইছে।

এরা সময়-সুযোগ মতো প্রো-ইন্ডিয়ান যেমন হইতে পারে, প্রো-আম্রিকানও হইতে পারবে, এমনকি প্রো-ইসলামিস্টও। যেইটা পারবে না সেইটা হইতেছে পিপলের লগে মিলতে পারবে না, অই কাতারে ‘নামার’ আগে দেশ ছাইড়া পালাবে, ইভেন সুইসাইড করবে।
বাংলাদেশের সমস্যা এই ক্লাস, কালচার এবং আইডিওলজির লোকজন, সবসময়।

৩.
রেব’রে মহান বানানোর কাজে মিডিয়াও প্রপাগান্ডা-মেশিন হিসাবে কাজ করছে। অই নিউজ-ক্লিপগুলা সামনে আনা দরকার, প্রাপাগান্ডাগুলা। আম্রিকার গর্ভমেন্ট এরে খারাপ বলছে – এইটা ভালো-জিনিস অবশ্যই; কিন্তু আম্রিকা খারাপ বলার আগেও এইটা খারাপ-ই ছিলো।

 

ডিসেম্বর ১২, ২০২১

[যেই লোক একটা কাজ ভুল জাইনাও সেই কাজটা বারবার কইরা যাইতেছে, সেই লোকটা কাজটারে ভুল বইলা ভাবতেছে না আসলে, সে শয়তান না হইলেও ট্রাপড বা অভিশপ্ত-ই, এক রকমের।]

যেই লোক একটা কাজ ভুল বইলা বুঝতে পারার পরে সেইটা করা বাদ দিতে পারছে, সেই লোক কোন সন্দেহ ছাড়াই একজন ভালো-মানুশ।
যেই লোক, একটা ভুল-কাজ করার আগেই বুঝতে পারছে, আর সেই কাজটা করা থিকা নিজেরে থামাইতে পারছে, সেই লোক আরো ভালো একজন মানুশ।

তবে অই লোকটাই হইতেছে সবচে ভালো-মানুশ, যে তার ডেইলি লাইফের কাজকামের ভিতর দিয়া ভুল-কাজ বা ভুল-চিন্তাগুলারে সবসময় এড়ায়া চলার রাস্তা বানাইতে পারতেছে নিজের জন্য।

#########

কবিতার বা আর্টের ব্যাপারে এই জিনিসটা আমি কম-বেশি ফলো করি। যেই কবিতা আমার পছন্দ না – তার ব্যাপারে নিন্দা-মন্দ করি না নরমালি, যদি না সেইটা এস্থেটিক্যালি বা পলিটিক্যালি পাওয়ারফুল হয়া উঠতে থাকে। মানে, কোনকিছু’র নিন্দা-মন্দ করতে পারাটারে আমি ক্রিটিকের কাজ বইলা মনে করি না। বরং কোন ‘খারাপ-জিনিস’ বা ‘বাজে আর্ট’ যদি আর্ট হিসাবে সমাজে এস্টাবলিস্ট হইতে থাকে, পাওয়ারফুল হয়া উঠতে থাকে, সেইখানে কথা-বলার দরকার আছে।

একইভাবে, যেই জিনিসরে কবিতা বা আর্ট মনে করি, তারে হাইলাইট করাটাই না, বরং কোন জায়গা থিকা ‘ভালো-আর্ট’ মনে করি সেইটা বলতে পারাটা বেটার। জায়গাগুলারে মার্ক করাটা তারিফ করা বা বদনাম করার চাইতে জরুরি জিনিস।

মানে, কোনকিছু এস্টাবলিশড হয়া আছে বইলাই সেইটা ‘বাজে-জিনিস’ আর কোন আর্ট ‘প্রতিষ্ঠা’ পাইতেছে না বইলাই তারে ‘তুইলা ধরতে হবে’ – এইটা খুবই সিউডো (pseudo) একটা জিনিসই না খালি, বরং এর লগে তেমন কোন রিলেশন আসলে থাকার কথা না কারো, ক্রিটিক হিসাবে।

পলিটিক্যাল, এবং ইন্টেলেকচুয়াল জায়গাগুলাতেও ব্যাপারগুলা মনেহয় এইরকমই।

 

ডিসেম্বর ১৩, ২০২১

লোকজন খুব চিন্তিত – আম্রিকা কি চায়, চায়না কি চায়, ইন্ডিয়া কি চায়… এইসব নিয়া; যেন অইসব দেশ হইতেছে বাংলাদেশের মালিক! বাংলাদেশের মানুশ কি চায়, আজ পর্যন্ত অই জায়গাগুলারে আইডেন্টিফাই করা তো দূর কি বাত, আলাপের সেন্টারই কইরা তোলা যায় নাই!

এইটা খালি করাপ্ট পলিটিক্যাল সিস্টেমের দোষ না, কলোনিয়াল চিন্তারও একটা প্যাটার্ন। আম্রিকা, চায়না বা ইন্ডিয়ার খপ্পর থিকা বাইর হইতে হইলে এই চিন্তার জায়গা থিকা বাইর হইতে পারাটা সবচে আগে জরুরি।

##########

কিছুদিন আগে ঢাকার ইউনাইটেড হসপিটালে যাওয়া লাগছিল, তখন অদের সফটওয়ার সিস্টেমে আপগ্রেডশনের কাজ চলতেছিল, সার্ভিসের খুবই বাজে অবস্থা। একইসাথে দেখলাম বড় স্ক্রিনে অদের ব্রান্ডিং/প্রমোশনাল ভিডিও চলতেছে। বড় বড় বিজনেসম্যান, কোম্পানির সিইও, সেলিব্রেটি’রা সার্টিফিকেট দিতেছেন। দেইখা বুঝলাম, কি অবস্থা!

১২/১৩ বছর আগেই অই হসপিটালে আমার এক কলিগের বাচ্চা হওয়ার পরে কইছিল, ভাই, ফাইভ স্টার হোটেলে থাইকা আসলাম। মানে, উনারা তো অনেক আগে থিকা ‘দামি হসপিটাল’ হইতে চাইতেছেন, ব্র্যান্ডিং’টা ঠিকমতো করতে পারেন নাই। বা করতে শরম পাইতেছিলেন হয়তো যে, “বড়লোকের হসপিটাল” কেমনে বলা যায়! ভিডিগুলা দেইখা মনে হইলো, উনারা রাস্তা খুঁইজা পাইছেন। শরম কমাইতে পারছেন।
এই কথা মনে হইলো এভারকেয়ার (আগের অ্যাপেলো) হসপিটালের একটা বিলের ছবি দেইখা, যেইখানে এপেন্ডিকসের অপারেশনের বিল আসছে ২.৫ লাখ টাকার মতো। তো, আমরাই আসলে বুঝতে চাই না যে, এইগুলা যতোটা না বেটার হেলদ-কেয়ারের জায়গা, তার চাইতে বেশি হইতেছে “টাকাওলা লোকদের” জায়গা। আমরা ভাবি যে, টাকা যেহেতু বেশি নিতেছে, চিকিৎসা হয়তো ভালো দিবে! কিন্তু এইটা ভুল আসলে। বেটার মেডিকেল-সার্ভিসের চাইতে গরিব লোকজন ডিস্টার্ব কম করবে – এইরকম একটা “সিকিওরিটি” এনশিওর করার জায়গা আসলে। আর এই দুইটা একই জিনিস না।

পুরান ঢাকাতেও নাকি এইরকম একটা “বড়লোকদের হসপিটাল” আছে। অন্য আরো অনেক জায়গায় থাকতে পারে। কিছু ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলাতেও মা-বাপের ইনকামের একটা লেভেল না থাকলে ভর্তি করাইতো না। বা এখনো পড়াইতে পারবেন না তো সবাই তাদের বাচ্চাদেরকে সব স্কুলে। তো, এই স্কুলগুলাতে খুব একস্ট্রা-অর্ডিনারি কিছু শিখানো হয়, সেইটা ধারণা করা মুশকিলই। কিন্তু যেইটা করে একটা ক্লাস-স্ট্যাটাসরে ধইরা রাখে; বেটার চিকিৎসা বা শিক্ষা দেয় কিনা শিওর না হইতে পারলেও একটা ক্লাস-স্ট্যাটাস অবশ্যই দিতে পারে! 🙂
মানে, এইখানে একটা ‘দামি’ জিনিস ক্রিয়েট করার ব্যাপার আছে অনেককিছুতেই, ‘ভালো’ জিনিস তৈরি করার চাইতে। এইটা দুয়েক্টা জায়গাতেই ঘটতেছে – তা না মনেহয়, একটা ওভারঅল টেনডেন্সি হিসাবেই মার্ক করা যাইতে পারে।

 

ডিসেম্বর ১৪, ২০২১

গতকালকে কথা হইতেছিল একজনের সাথে, উনি জিগাইতেছিলেন, এখনকার সময়ে অইরকম কোন ফিলোসফার বা চিন্তা-করা লোকজন তো নাই মনেহয় তেমন, বাংলাদেশে, বা দুনিয়াতেই!

[তখন আমার মনে হইতেছিল আইজ্যাক বাশিভিস সিঙ্গারের ডায়ালগ’টা যে, যে কোন ভাষাতেই ভালো-রাইটার আসলে দুই-চাইরজনই থাকে। ইয়েডিশ ভাষাতে রাইটার তো খুব বেশি নাই – এই কথা জিগানোর পরে, এই উত্তর দিতেছিলেন উনি।]

তো, আমার মনে হইতেছিল, আছে কি নাই – তার চাইতে বড় কথা হইতেছে, যদি থাকেও, তাদেরকে দেখার মতো, আইডেন্টিফাই করার মতো অবস্থাতে আমরা নাই। আমাদের চোখের সামনে দেখার যেই মিডিয়ামগুলা আছে (নিউজপেপার, ম্যাগাজিন, জার্নাল, টিভি-চ্যানেল…), সেইখানে যাদেরকে ইম্পর্টেন্ট হিসাবে হাজির করা হয়, সেইটার তো কিছু ক্রাইটেরিয়া আছে; অই ক্রাইটেরিয়ার ভিতর দিয়া গেলে আপনি বরং চিন্তাই করতে পারবেন না।

একটা ভালো উদাহারণ হইতেছে নানান ইস্যুতে ‘বিশিষ্ট নাগরিকদের’ লিস্টগুলা। যাদেরকে ‘বিশিষ্ট’ বইলা আলাদা করা হয়, উনাদের ইন্টেলেকচুয়াল কন্ট্রিবিউশনগুলার একটু খোঁজ কইরা দেখেন, বেশিরভাগ কেইসেই ক্লোজ টু নাথিং। সবাই কম-বেশি মুহাম্মদ জাফর ইকবালই! মানে, আমি বলতে চাইতেছি, এইগুলা আগেও একটা সোশ্যাল-স্ট্যাটাসের ঘটনাই ছিল, কিন্তু এখন কমপ্লিটলি অই জায়গাটাতেই রিডিউসড হইছে।

এর এগেনেস্টে যেই অনলাইন স্পেইসগুলা ক্রিয়েট হইছে, সেইগুলা ভাইব্রেন্ট হইলেও, সেইখানে প্যারামিটার হইতেছে পপুলিজম, যার ফলে ‘সিরিয়াসলি’ আলাদা করাটাও মুশকিলের।…

যেই কারণে মনে হইতে পারে, আরে, এখন তো নতুন কোন চিন্তা-ভাবনা হইতেছে না, কেউ নাই!

কিন্তু আমি মনে করি, সেইটা আছে কি নাই, তার চাইতে জরুরি ঘটনা হইতেছে, আমরা দেখার মতো অবস্থাতে নাই, বা দেখার জায়গাগুলারেই দেখতে পাইতেছি না আসলে।

#########

যে কোন ন্যারেটিভ চালু আছে বইলাই সেইটা ভুল না, কিন্তু সেই ন্যারেটিভগুলারে সবসময় আমাদের যাচাই কইরা দেখা দরকার।

১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বরের ঘটনা’টা যেইরকম, বলা হয়, পাকিস্তানি আর্মি’রা বাংলাদেশের সমাজে পরিচিত পেশাজীবী ও ইম্পর্টেন্ট মানুশ-জনরে খুন করছিল। তো, এই মানুশেরা খুন হইছেন – ফ্যাক্ট হিসাবে এইটা নিয়া কোশ্চেন করার বা সন্দেহ করার তো কিছু নাই। এইটা ঘটছে, খুন করা হইছে উনাদেরকে।

কিন্তু কেন খুন করা হইছে? বলা হয়, বাংলাদেশ যাতে একটা দেশ হিসাবে চিন্তা-ভাবনার দিক দিয়া দাঁড়াইতে না পারে এই কারণে যারা পাকিস্তানের পক্ষের লোকজন তারা এই খুনগুলা করাইছেন। এইটা যতোটা না ফ্যাক্ট তার চাইতে অনেকবেশি একটা ন্যারেটিভ। এই ন্যারেটিভ’টারে বিচার কইরা দেখা দরকার আমাদের।

এই ন্যারেটিভ’টারে ঠিক বইলা দাবি করার পয়েন্ট’টা হইতেছে, যারা উনাদেরকে ডাইকা নিছিল, তারা ছিল “আল-বদর” নামে একটা দলের লোক। কিন্তু এইটা সবক্ষেত্রে ফ্যাক্ট হিসাবে ঘটছে কিনা – সেইটা পাবলিক ডকুমেন্ট হিসাবে আমাদের সামনে এতোটা নাই। সবগুলা খুনেরই কিছু কাহিনি আছে, কিন্তু ফ্যাক্ট হিসাবে ডকুমেন্টেড জিনিস কি আছে, সেইগুলা হাইলাইটেড না তেমন। অই সব খুনের কাহিনিগুলা যাচাই করা দরকার আমাদের।

৫০ বছর বড় একটা টাইম। একটা জেনারেশন পার হইছি আমরা। কান্দা-কাটি করতে পারবো না আমরা – তা না, কিন্তু খুনগুলার এনকোয়ারি করা দরকার এখন, ফ্যাক্টগুলা ফেইড হয়া যাওয়ার আগেই।

এইখানে এটলিস্ট দুইটা জিনিস কন্সিডার করা দরকার আমাদের। এক হইলো, বাংলাদেশে চিন্তা-ভাবনা করা লোকজনরে গায়েব কইরা দিলে পাকিস্তান রাষ্ট্ররে যারা ধইরা রাখতে চাইছিলেন তাদের লাভের চাইতে রিভেঞ্জ নেয়ার ঘটনা’টা এইখানে বড়। মানে, বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের খুন করলে তো আর যুদ্ধে জিতা যাবে না; কিন্তু উনাদেরকে মারলে কারা এই পজিশনগুলাতে আসবে? মানে, উনাদের না-থাকার বেনিফিশিয়ারি কারা?

এইখানে এইজ-গ্রুপ’টা খেয়াল করা দরকার। টোটাল কতো জনরে খুন করা হইছিল? এর মধ্যে ৪০/৫০ বছরের বেশি মানুশ কয়জন? যদি সংখ্যাটা বেশি হয় তাইলে ইয়াং লোকজনদের অই ভ্যাকুয়ামগুলার বেনিফিট পাওয়ার কথা। মানে, এই কারণেই খুনগুলা করা হইছে – এইরকম স্ট্রেইট অনুমান করলে সেইটাও ভুলই হবে, কিন্তু কন্সিডারেশনে নিতে পারাটা তো দরকার।…

সেকেন্ড পয়েন্ট’টা হইতেছে, জহির রায়হানের গুম-হওয়াটা আরেকটা সিগনফিকেন্ট ঘটনা। (এইটাই একমাত্র ঘটনা?) পাকিস্তানি মিলিটারি সারেন্ডার করার পরেও উনি গুম হইলেন কাদের হাতে, আর কি কারণে? গুজব তো এইটা যে, উনি কলকাতার কুর্কীতিগুলা নাকি জানতেন, ফুটেজও ছিল কিছু উনার কাছে।… মানে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পরে বাংলাদেশে একটা ইন্টেলেকচুয়ালিটির জায়গা তো তৈরি হইছে এবং এই ভ্যাকুয়াম অই ফর্মেশনে হেল্পই করার কথা। কি কি ঘটনা ঘটছে আসলে তখন, অই জায়গাগুলাতে। অই বিচার’টা কেউ করেন নাই পুরাপুরি। [আহমদ ছফা একটা বই লেখছিলেন “বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস” নামে ১৯৭২ সালে, কিন্তু যতদূর মনে পড়ে অইটা একটা এগনয়ি’র (agnoy) ঘটনাই ছিল।]

কিন্তু অই বিচার’টা করার, এনকোয়ারিগুলা করার, ওভারঅল অই হিস্ট্রি’টার দিকে আমাদের তাকানোর সময় হইছে এখন।

 

ডিসেম্বর ১৫, ২০২১

বাংলাদেশে এখন যদি কোন যুদ্ধ শুরু হয়, কি করবেন আপনি?

আমার কথা বলতে পারি, বন্দুক নিয়া যুদ্ধ করার চান্স মনেহয় কমই। মানে, ফিউচার প্রেডিক্ট করা তো মুশকিলই, কিন্তু ধারণা করতে গেলে এইরকমই মনেহয়। কাউরে সার্পোট করতে পারবো না – এইরকম না হইলেও আমার পলিটিক্যাল ally খুঁইজা পাওয়া মুশকিলই হবে, যার জন্য মানুশ খুন করা দরকার। এইখানে দুইটা জিনিসের কথা মনে হইলো।

এক হইতেছে, এডওয়ার্ড সাঈদের প্যালেস্টাইনিদের পক্ষ নিয়া পাথরের ঢিল মারার ঘটনা’টা। যখন যেই অবস্থায় আপনি আছেন, সেইখানে এক্ট তো করা লাগবে আপনারে, নিজের চিন্তা-ভাবনা এবং লিমিটেশনের ভিতর দিয়াই। বই যেমন লেখা লাগবে, ঢিলও মারতে হবে, ফুট-সোলজার না হইলেও। দুইটাই কাজ। কিন্তু কেউ বন্দুক নিয়া যুদ্ধ করতেছেন না মানে ট্রেটর/রাজাকার হিসাবে কাজ করতেছেন – এইটা একটা বাকশালি বয়ানই আসলে।

সেকেন্ড হইতেছে, জুলিয়ান বার্নসের একটা নভেল আছে, “দ্য নয়েজ অফ দ্য টাইম” নামে, অইটা হইতেছে রাশিয়ায় স্ট্যালিন আমলে এক মিউজিয়ানের (স্টয়কোভিচ?) কাহিনি; কেমনে সে সারভাইব করলো, অই টাইম’টা। পয়লা তো তারে ব্যান করা হইলো, পরে ব্রেজনেভ আমলে তারে রি-ভাইব করা হইলো; কিন্তু তার নিজের তেমন কোন পলিটিক্যাল এক্টই আসলে ছিল না। সে বিরোধীও হইতে চায় নাই, কারো পক্ষেও না; কিন্তু যেহেতু মিউজিশিয়ান হিসাবে সে পরিচিত, অই ক্রাইসিস’টার টাইমে তারে সাফার করতে হইছে। সে যা করছে, জাস্ট সারভাইব করতে চাইছে, নিজের এক্ট’রে সাসপেন্ড কইরা রাখছে। এইখানে খুবই ফাইন-লাইন আছে একটা, কিন্তু জায়গাটা কখনোই এতোটাই ব্লার না যে দেখা যায় না, বরং টাইম যত যাইতে থাকে, অই জায়গাগুলা ক্লিয়ার হইতে পারার কথা অনেক বেশি।

মানে, পলিটিক্যাল জিনিসগুলার কোন ‘সহজ’ বিচার নাই না, যে পক্ষ-বিপক্ষ আলাদা করা যায় না; বরং ‘সহজ প্যারামিটার’ দিয়া বিচার হয় না, বিচার যত সহজ, তত ভুল হওয়ার চান্স বেশি হওয়ার কথা। প্যারামিটারগুলা সবসময় কমপ্লিকেটেড এবং ক্রুশিয়াল, কিন্তু তাই বইলা কোন রায় না দিতে পারার ঘটনাও না কোন। যত বেশি প্যারামিটারগুলারে যাচাই করতে পারি আমরা, বিচার তত ‘সহজ’ হয় তখন।

 

ডিসেম্বর ১৬, ২০২১

সাউথ ইন্ডিয়া নিয়া বলতেছিলেন রমিলা থাপার যে, জৈন এবং বুদ্ধদের সরায়া অইখানে ভক্তিবাদ জায়গা কইরা নিতেছিল একটা সময়, ৭/৮ শতকের দিকে। তো, অইটার কথাতে এই অঞ্চলের কথা মনে হইতেছিল। একটা সময়ে বৌদ্ধধর্মের যেই স্ট্রেংথ ছিল, সেইটা তো একভাবে কমতে শুরু করে। ধরেন, ৭শতক – ১৩শতকের ভিতরে তো মোটামুটি নাই-ই হয়া যায়। তো, ঘটনা’টা কেমনে ঘটছিল? বৌদ্ধরা সব মুসলিম হয়া গেছিল, বা হিন্দু-ধর্মে ফেরত গেছিল? অনুমানগুলা কি কি এইখানে।…

(কিছু আলাপ তো থাকারই কথা। অইগুলা ব্রাউজ করার আগে নিজের কিছু অনুমান সাজাইতে চাইতেছি।) আমার একটা অনুমান হইতেছে, ধর্ম জিনিসটা রাজা-বাদশাদেরই জিনিস ছিল, এখনকার মতো পাবলিক আইডেন্টিটি’র ঘটনা ছিল না এতোটা। মানে, ধর্ম-বিশ্বাস বইলা কিছু ছিল না বা রীতি-নীতি ছিল না – অইটা না; এখনকার মতো কোন একটা দেশের নাগরিক হওয়ার কথা ভাবেন, মর্ডান স্টেট হওয়ার আগে ব্যাপারটা অইভাবে ছিল না, অইরকম অনেকটা। কিন্তু কি ছিল তাইলে?

আমার ধারণা, জাত-এর ধারণাটাই বেইজ ছিল। বৌদ্ধধর্মের লোকজনও আলাদা একটা জাত ছিলেন।* মুসলমানদেরকেও দেখবেন আলাদা একটা জাত হিসাবেই মেনশন করা হইতেছে, পুরান টেক্সটগুলাতে। ধর্ম হিসাবে সনাতন-ধর্মগুলার (প্যাগান পোশ্নটারে এইখানে ডিল করা হয় না) হিন্দু-ধর্ম হয়া উঠতেও টাইম লাগছে। কারণ জাত দিয়াই জিনিসগুলারে মার্ক করা হইতো তখন। যেইটা এর পরের সময়ের হিন্দু-ধর্মের জাত-পাত, পেশা-অনুযায়ী জাত বা বর্ণ-প্রথার চাইতে আলাদা ঘটনাই।

মানে, যে কোন ধারণাই তো কন্সটেন্ট না, সমাজ ও সময়ের সাথে সাথে বদলাইতেছে। আর আমাদেরকে ডেফিনেশন বা টার্মগুলা দিয়া বুইঝা ফেলার জায়গা থিকা বাইর হইতে হবে। তা নাইলে এই জায়গাগুলারে বুঝতে রাজিই হইতে পারবো না আমরা।

তো, যেই জিনিসটা মনে রাখা দরকার যে, ধর্ম ছিল; কিন্তু তার ফাংশনগুলা ছিল আলাদা। রাজাদেরকে একটা ধর্মের ক্লেইম করতে হইতো মেবি; মানে, ধর্ম ছাড়া কোন রাজা বা রাজ্য হইতে পারতো না। রাজা আসলে ধর্মের ক্ষমতাবলে রাজা; ধর্ম ছিল একটা অথরিটির কনফার্মেশন; যে রাজা ক্ষত্রিয়, এই কারণে রাজা হইতে পারেন! উনি ধর্ম-পালন করেন, এই কারণে রাজা হিসাবে থাকতে পারেন। মন্দির এবং মঠগুলা এমনকি এডমিনেশস্ট্রিভ জায়গাও ছিল সময়। মানে, ধর্ম সমাজের ঘটনা ছিল না – তা না, এইটার ফাংশনাল জায়গাগুলা আলাদা থাকার কথা।

আমার এই অনুমানের উপ্রে বেইজ কইরা সেকেন্ড পয়েন্ট’টাতে আসতে পারি যে, হিন্দু বা বৌদ্ধ, ধর্ম হিসাবে যতোটা না পিপলের ইস্যু তার চাইতে রাজাদের বা রাজ্য চালানোর লগে এসোসিয়েট ঘটনা ছিল বেশি বইলা যখনই বৌদ্ধ-রাজার শাসন শেষ হয়া হিন্দু-রাজা বা মুসলমান-রাজার শাসন শুরু হইছে, তখন বৌদ্ধধর্মের মন্দিরগুলার ফাংশনালিটি কমতে শুরু করছে। আবার যখন ভক্তিবাদের পসার বাড়ছে পিপল-অরিয়েন্টেট জিনিস হিসাবে জাত-পাতের জায়গাগুলারে অনেকবেশি পাতলা কইরা দিতে পারার কথা, যার ভিতর দিয়া ১৪-১৫ শতকে খালি ইসলাম ধর্মই ছড়ায় নাই, হিন্দু-ধর্মও রিভাইব করছে। ধর্ম বরং অনেকবেশি পিপল-ইস্যু হইতে শুরু করছে। বেইজ পয়েন্ট হইতেছে অই জায়গাটা। যেইখানে বৌদ্ধ-ধর্মের নতুন মাজহাবগুলা অইভাবে এইখানে জায়গা কইরা নিতে পারে নাই। কারণ বেসিক ইন্সিটিটিউশনগুলা অন্যদিকে সইরা গেছে।

মানে, ইন বিটুইন আরো অনেক জিনিস তো আছেই।

কিন্তু হিস্ট্রিতে দেখতে গিয়া মেজর যেই প্রবলেমটা হয় ধারণাগুলারে আমরা বর্তমানের কনটেক্সটে দেখতে থাকি। সমাজ, ধর্ম, শাসন, রাজনীতি, কালচার, আর্ট, প্রডাকশন সিস্টেম… কোনটাই তো এখনকার মতো অবস্থায় ছিল না। কি রকমের অবস্থায় ছিল, বা থাকতে পারে – সেইটা অনুমানের বাইরেও অনেকদূর পর্যন্ত দেখা যাইতে পারে আসলে। কিন্তু দেখতে গেলে, অই জায়গাগুলা ভ্যারিয়েবল হিসাবে কেমনে চেইঞ্জ হইছে – সেইটা মেইন কনসার্নের জায়গা হওয়া দরকার।

আর যে কোন একটা ইভেন্ট ধইরা আগাইলেও এর লগে রিলেটেড আগের-পরের অনেক জায়গারে স্পষ্ট করা সম্ভব।

*বাংলার হিস্ট্রি নিয়া বঙ্কিমচন্দ্রের লেখাতে বুদ্ধের নাম না পাইয়া খুব হতাশ হইতেছিলাম, পরে জানলাম, উনি বুদ্ধ বা গৌতম বুদ্ধ লেখেন নাই, লেখছেন শাক্যসিংহ! কারণ বুদ্ধ ছিলেন হইতেছে শাক্য বংশের রাজকুমার।

 

ডিসেম্বর ১৭, ২০২১

১/১১’র সময় এই ফাইজলামি’টা চালু হইছিল। এর আগ পর্যন্ত সরকারি কোন ডিক্লারেশন না থাকলেও “বাংলাদেশ জিন্দাবাদ”-ই বলা হইতো, বিএনপি আমলে আর এরশাদ আমলে। ১৯৭১-এ শ্লোগান ছিল “জয় বাংলা” আর এরপরে কিছুদিন চালু ছিল। বাকশাল থিকা ব্যাক করার পরে আওয়ামী লীগের দলীয় শ্লোগান হিসাবে চালু হইছিল আবার।

“বাংলা” কইলে জিওগ্রাফিক্যালি যেহেতু পশ্চিমবঙ্গও বুঝায় (এখন তো অই প্রদেশের নাম-ই রাখছে – ‘বাংলা’), অই জায়গা থিকা বাংলা’র চাইতে বাংলাদেশ বলা’টা তো বেটার। কিন্তু মুশকিল হইতেছে আসলে “জয়” আর “জিন্দাবাদ” নিয়া। ইন্ডিয়াতে তো বলে “জয় হিন্দ” আর পাকিস্তানে বলে “পাকিস্তান জিন্দাবাদ”। তো, এই ‘বিভেদ’ দূর করার জন্য ১/১১’র সরকারের লোকজন কইতো হইতো “বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক!” অই সময়ের সরকারি স্পিচগুলাতে পাইবেন। খুবই মেন্দা-মারা একটা জিনিস, লোকজন অনেকে হাসতোও। শ্লোগানটা হয় নাই – তা না, এর কোন ফিলোসফিক্যাল, হিস্ট্রিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড তো নাই, আর সুরটাও ভারিক্কি।…

তো, ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ বলতে যেমন খালি বাংলাদেশি-জাতীয়তাবাদ না, এর বাইরে প্রো-পাকিস্তানি একটা ঘটনা হিসাবেও আইডেন্টিফাই করা হয়, একইভাবে ‘জয় বাংলা’ বইলা বাঙালি-জাতীয়তাবাদ না, প্রো-ইন্ডিয়ান এসোসিয়েশনও বুঝানো হয়। এইগুলা আছে। বাদ দেয়ার কোন উপায় নাই।

শব্দের মিনিং খালি তার নিজের অর্থ দিয়া তৈরি হয় না, হিস্ট্রিক্যাল কনোটেনশনগুলাও এর পার্ট হিসাবে থাকে। এইগুলাও মিনিংয়েরই ঘটনা। আর শব্দ দিয়া কোন মিনিং তৈরি হয় না, তৈরি হয় চিন্তা দিয়া, ঘটনা দিয়া, কানেকশনগুলার ভিতর দিয়া।

#########

ঘুমানোর একটা ঠিকঠাক ব্যবস্থা থাকলে শীতের সময়ের একটা ভালো-ফিচার হইতেছে – ঘুম। মানে, ঘুমায়া শান্তি আছে। রাত তো অনেক লম্বা (সন্ধ্যা ৬টার সময়ই রাত) আর সকালও শুরু হয় দেরিতে। আগে একদিনে ১৫/১৬ ঘন্টা ঘুমাইছি। কিন্তু নরমালি ১২/১৩ ঘন্টা ঘুমানো যায়। রাত জাগলেও অনেক সময় পাওয়া যায়। শীতে, নেচার তার ব্যাটারি রিচার্জ করে। একটু বেশি সময় আন্ধার থাকে। চিন্তার বীজগুলাও জমতে থাকে। নিজের ভিতরে অনেক সময় নিজেরে ফিল করা যায়। বা দরকারই পড়ে না তখন। ঘুমের ভিতর ডুইবা থাকা যায়। নদীতে সাঁতরাইলে যেমন মাঝে-মধ্যে ডুবসাঁতার দিতে হয়। অইরকম অনেকটা।

 

ডিসেম্বর ১৮, ২০২১

১৩০০ বছর আগে এই অঞ্চলে রাজা বানানো হইছিল ইলেকশনের ভিতর দিয়া!

“The earliest Pala ruler of importance who became king in the eight century did so in an unusual way. Gopala attained renown because he was not hereditary king, but was elected, and his son maintained that the election terminated the state of anarchy in the land. The sixteenth-century Tibetan Buddhist monk Taranatha, referring to this event in the history of Buddhism, states that Bengal was without a king and suffered accordingly.” (Early India, page 409-410)

এইটা ঠিক ডেমোক্রেসি না, সর্দার’রা মিইলা ভোটাভুটি কইরা রাজা বানানোর একটা নিয়ম ছিল। বু্ড্ডিজমের লগে হিন্দুজমের বেসিক ডিফেরন্স ছিল এই জায়গাটাতে যে, হিন্দুমতে “দেবতাদের আর্শিবাদ” ছাড়া, বা তাদের বংশধর হওয়া ছাড়া, বা ব্রাহ্মণদের দিয়া পূজা করানো ছাড়া, কেউ রাজা হইতে পারে না; সেইখানে বুদ্ধের ন্যারেটিভে এই দেবতাদের ঘটনাগুলা পুরাটাই মিছা-কথা। কিন্তু ইন প্রাকটিস বুদ্ধ-ধর্ম রাজাদের হেল্প-ই করতেছিল ধর্ম-পালনের জায়গা থিকা, একটা এডমিনিস্ট্রিটিভ স্ট্রাকচার তৈরি করার ভিতর দিয়া।…

অই স্ট্রাকচারগুলা তখন সারভাইব করতেছিল রিজিওনাল পলিটিক্সের ভিতর দিয়া। ধর্মের জায়গা’টাও মোর লোকাল হয়া উঠতেছিল। গোপালের আগে যারা রাজা হিসাবে ইলেক্টেড হইতেছিল, তাদেরকে মাইরা ফেলা হইতেছিল। (কোন demoness মাইরা ফেলতেছিল।) কিন্তু গোপাল হইতেছে একজন দেবী’র ‘অনুগ্রহ’ পাইছিলেন, মানে, অই দেবী’র সার্পোটার’রা তারে প্রটেকশন দিছিল। রাজা হয়া উনি লোকাল ও রিজিওনাল পলিটিক্সের ভিতর দিয়া টিইকা থাকতে পারছিলেন।

##########

বাংলাদেশে স্লেভারি বা গোলামির জায়গাটা ভ্যাকেশন বা ছুটির দিনে ঘুরা-ফিরা’র ভিতর দিয়াও টের পাওয়া যাবে আসলে। এইটা মনে হইলো, কক্সবাজারে লোকজনের ভীড় দেইখা লোকজনরেই গালি-গালাজ করার ব্যাপারটা দেইখা। মানে, কিছু লোক তো আছেই যারা হইতেছেন ‘সব দোষ পাবলিকের’, ‘পাবলিকের কমনসেন্স নাই’, এই-সেই।… তো, কমনসেন্স জিনিসটারে তৈরি করার এবং প্রাকটিস করার ঘটনা তো আছেই। কিন্তু সরকারি ছুটির বাইরে কারা ভ্যাকেশনে যাইতে পারেন? ইকনোমিক সামর্থ্যের বাইরেও কিছু ‘অফিস-কালচারের’ ঘটনা এইখানে আছে আসলে।

ঈদ বা অন্যসব সরকারি ছুটিতে একদিন-দুইদিন লাগায়া ছুটি নেয়ার একটা ‘কালচার’ গত কয়েক দশকে তৈরি হইছে। কিন্তু কোন সরকারি এবং বেসরকারি অফিসেই ‘ছুটি নেয়া’ জিনিসটারে ‘ভালো এমপ্লয়ি’র ক্রাইটেরিয়া হিসাবে দেখা হয় না। মানে, আপনি ছুটি নিতে পারবেন না – ব্যাপারটা এইরকম না, কিন্তু আপনার কোন পারসোনাল সমস্যা না থাকলে ছুটি কেন নিবেন! অফিসগুলাতে ছুটির ডেটা নিয়া খেয়াল কইরা দেখেন কতোজন এমপ্লয়ি তাদের বছরের পাওনা ছুটি (২৪ দিন মনেহয়, আইন অনুযায়ী?) কাটাইতে পারছেন? মাল্টি-ন্যাশনাল কয়েকটা কোম্পানি বাদ দিয়া স্যাম্পেল বেসিসে দেখেন, (আমার একটা অনুমান) পারসেইন্টেইজ’টা কোনভাবেই ৩০%-এর বেশি হওয়ার কথা না, এবং উনারা দেখবেন ‘প্রব্লেমেটিক এমপ্লয়ি’ বা কোন না কোন পারসোনাল সমস্যার কারণে ছুটি নিতে বাধ্য হইছেন।

একসেপশন যে নাই – তা না, অনেক কোম্পানিতে মিড-লেভেলে, টপ-লেভেলে ‘ভালো’ বস’রা আছেন বা থাকার কথ; মানে, ব্যাপারটা পারসন হিসাবে ভালো বা খারাপের না। ওভারঅল পারসেপশন হইতেছে, বছরের মাঝখানে ছুটি নেয়াটা চাকরির প্রতি ‘প্যাশন’ না থাকার একটা প্রমাণ। মানে, আমি বেশ ভদ্রভাবেই বলার ট্রাই করলাম। এমনো কোম্পানি আছে যেইখানে আপনার পারসোনাল-লাইফ বইলাই কিছু থাকতে পারবে না, ১২/১৩ ঘন্টা ‘অফিস’ করাটাই হইতেছে নরমাল ঘটনা! আর মিড-লেভেল বসদের কাজই হইতেছে অই পেইন’টা এনশিওর করা।…

উল্টা দিক দিয়া, কোথাও ‘ঘুরতে যাওয়া’ বা ভ্যাকেশন কাটানো তো একটা সোশ্যাল নিড একটা! অইটা না-করা মানে আপনি ‘পিছিয়ে পড়া’ না, বরং ব্যাকডেটেড এবং নার্ড! মানে, ভ্যাকেশন তো কাটানো লাগবে বছরে একটা বা দুইটা, তা নাইলে সোশ্যাল হওয়ার মাইলস্টোনগুলা তো এচিভ করা যাবে না! কয়দিন আগে দেখলাম, একটা ফটোগ্রাফি কোর্সও হইতেছে, ঘুরতে গিয়া মোবাইল ফোনেই কেমনে ভালো ছবি তুলতে পারেন – সেইটা নিয়া।…

মানে, আমি বলতে চাইতেছি, সরকারি ছুটির দিনগুলাতে কক্সবাজারে লোকজন যে বিজয় সরণির জ্যাম বাঁধায়া দিতেছে, এইটা সিম্পলি এই ঘটনা না যে, লোকজনের কমনসেন্স নাই! আরো অনেক জিনিসের লগে প্রাইভেট সেক্টরের স্লেভারি-কালচারও রিলেটেড একটা ঘটনা।

 

ডিসেম্বর ১৯, ২০২১

রিলেশনশিপ নিয়া প্যারা থাকেই, কম-বেশি। অনেকেই লাকি, স্পেশালি যারা হাইস্কুল-সুইটহার্ট, মানে ফার্স্ট-লাভই আল্টিমেট-লাভ যাদের। ভার্সিটি লাইফের অনেক হ্যাপি কাপলও দেখছি আমি, সেটেল ম্যারেজেরও। অনেকে সাফার করছেন, একটা ভালো-রিলেশন শুরু কইরা ধইরা রাখতে পারেন নাই। অনেকে আবার একটা সার্টেন এইজের পরে, ৪০-৫০ বছর বয়সে গিয়াও ‘মনের-মানুশ’ খুঁইজা পাইছেন। কিন্তু এমন আনফরচুনেট লোকও আছেন, যারা এর হ্যাপিনেসটা ফিলই করতে পারেন নাই। আবার এমন ফরচুনেট লোকও আছেন, সারাজীবনে যাদের এর প্যারা নিতে হয় নাই। আর কিছু লোক সারাজীবন ঝামেলা পাকাইয়াই যাইতেছেন।…

মানে, নানান কিসিমের জিনিস এইখানে আছে, ঘটতেছে। নানান ড্রামা চলতেছে। কিন্তু একটা বিষয়ে আমি মোটামুটি শিওর, যারা একটা সার্টেন এইজের (বাংলাদেশের এখনকার কনটেক্সটে ধরেন, ৩০/৩৫ বছর) হওয়ার পরেও রিলেশনশিপ নিয়া চিন্তায় থাকেন, উনারা আসলে রিলেশনশিপ নিয়া ঝামেলায় আছেন বইলা মনেহয় না, বরং বেশিরভাগ কেইসে লাইফের কোন পারপাস খুঁইজা পাইতেছেন না আসলে। আর এর বোঝা’টা সবসময় তাদের রিলেশনশিপের উপর চাপাইতে থাকেন। এর থিকাও আমাদের সবসময় সাবধান থাকা দরকার।

মানে, কাউরে ভালোবাসতে পারা এবং কারো ভালোবাসার মানুশ হইতে পারা সবসময়ই সুন্দর একটা জিনিস। কিন্তু এইটারে লাইফের পারপাস বানায়া ফেলাটা যতোটা না ইনোসেন্ট, রোমান্টিক বা স্পিরিচুয়াল কোন জিনিস তার চাইতে অনেক বেশি ট্রমাটিক একটা জিনিসই হওয়ার কথা, এস্কেইপ পয়েন্টও অনেক সময়। মানে, একটা রিলেশন দিয়া (মা-বাপ, বোন-ভাই, ফ্রেন্ডও ইনক্লুডেড) কেউ টরমেন্ট হয়া যাইতেছেন – এইটা সত্যি না, তা না; বরং আমাদের চারপাশে এইরকম ব্রোকেন মানুশ-জন অনেক দেখি আমরা। উনারা সিনেমা, গল্পের কারেক্টারের হইতে গিয়া এই অবস্থায় পৌঁছাইছেন, এই অনুমান করাটা বে-দরদী একটা কাজই হবে। কিন্তু একটা এগজিসটেনশিয়াল ক্রাইসিস যে কোন রিলেশনশিপের ব্রিজ বানায়া পার হওয়া যায় না, এই জিনিসটা ফিল করতে পারাটা এইখানে ফার্স্ট একটা স্টেপ হইতে পারে।

লাইফে রিলেশনশিপ ইস্যু যেমন আছে, এগজিসটেনশিয়াল ক্রাইসিসও আছে। আর একেকটা সময়ে এবং একেকটা সমাজে এর কিছু প্যাটার্নও আছে। এর বাইরে গিয়া একসপেশনাল হইতে পারলে তো ভালো, কিন্তু এইসব জিনিসের ভিতর দিয়া আমাদেরকে যাইতে হবে – এইটা ধইরা নিতে পারাটা বেটার এপ্রোচ না হইলেও ম্যাচিউর অবস্থা, সবসময়ই।

#########

ফেইসবুকের হাহা-রিঅ্যাক্ট’টা যে কেমনে ‘ডিস-লাইক’ বাটন হয়া উঠলো, অইটা নিয়া ভাবতেছিলাম। মানে, সিরিয়াস কোন আলাপে/পোস্টে ‘হাহা’ দিয়া তো ডিস-লাইক মেনিফেস্ট করা যায়, খুব ভালোভাবেই। কিন্তু যদি সত্যি সত্যি ‘ডিস-লাইক’ বাটন থাকতো, সেইটা আরো ভয়াবহ ব্যাপার হইতো।

মানে, আমরা সবসময় ফরম্যাটের ভিতর দিয়াই রি-অ্যাক্ট করি – তা না, কনটেন্ট বানাই বা পোস্ট দেই কিন্তু রি-অ্যাক্টগুলার কথা ভাইবাই অনেক সময়। দেখবেন ‘হাহা’ আসার আগে আর পরে ফেসবুকে ‘ফানি’ পোস্টের হিউজ ডিফরেন্স আছে, বাড়ছে অনেক। বা আগে যে মানুশ মরা’র খবরে ‘লাইক’ দিতো, স্যাড রিঅ্যাক্ট আসার পরেও কিছুদিন চালু ছিল অইটা।

বা দেখবেন অনেক সময় “কি রি-অ্যাক্ট দিবো বুইঝা পাইতেছি না!” বা “কয়েকটা রি-অ্যাক্ট দেয়া দরকার” – এইগুলা খুব প্রেইজ করার ঘটনাই। যে, ফরম্যাটের ভিতর কাভার করা যাইতেছে না। আবার, সবসময় যে রি-অ্যাকশন’রে মাথায় রাইখাই আলাপগুলা করা হইতেছে – তা না, কিন্তু কোন না কোন রি-অ্যাকশনের ভিতর দিয়া কানেক্ট করা যাইতেছে।

এখন ফেসবুকের এই ৫/৭টা রি-অ্যাকশনই খালি আমাদের আছে – তা না, বরং লাইকের মিনিং তো অনেকগুলা। আগে, সব-ই ছিল – ভাল্লাগছে, এনগেইজ হইতে চাইতেছি, ভালো-না-লাগলেও ফলো করতে চাইতেছি, অনেককিছু, মানে সবকিছুই। এখনো একেকটা রি-অ্যাকশন এতোটা স্পেসিফিক না আসলে। একটা ওয়াইড ভ্যারাইটি না হইলেও অনেককিছু কাভার করতে পারে আসলে।…

২.
এই জায়গাতে আইসা মনে হইলো, কবি-সাহিত্যিকদেরকে যে মানুশ মনে রাখে, এইখানে ইমোশনরে কন্সট্রাক্ট করার একটা ব্যাপার আছে। স্পেশালি শেক্সপিয়ারের কথা মনে হইতেছিল, উনার আগে ট্রাজেডি তো ছিল গ্রিক নাটকগুলাতে, অইখানে ট্রাজেডি মানে নিয়তির একটা জিনিস; কিন্তু শেক্সপিয়ারে সেইটা হিউম্যান সাইকোলজিতে ন্যারো না হইলেও দেখা যাইতেছে, এইটা ঘটতেছে মানুশের ভিতরে এক ধরণের ভুল-বুঝাবুঝির ভিতর দিয়া। এইটা, আমি শিওর না শেক্সপিয়ারের আগে এইভাবে ছিল কিনা। মানে, ঘটনা’টা ট্রাজেডি-ই, কিন্তু নিয়তিই না খালি, যেইটা আগে থিকা ঠিক করা, বরং আমাদের এক্টিভিটি, যেইটা আমরা অবভিয়াস কইরা তুলতেছি আমাদের কাজ-কামের ভিতর দিয়া।

এই যে একটা ফিলিংস, ট্রাজেডির, হাইরা-যাওয়ার, তারে নতুন একটা এভিনিউ দিছেন শেক্সপিয়ার। এইটা আর্টিস্টদের ইউনিকনেসের একটা জায়গা। সব গ্রেট আর্টিস্টই হিউম্যান ইমোশনরে নতুন দিশা দিছেন, একভাবে। এইটা মনেহয় কম-বেশি আছে।

৩.
মানে, এইখানে কিছু ফরম্যাট আছে। ফেসবুকের বাইরেও। সোসাইটিতে। এই ফরম্যাটগুলারে আমরা আমাদের কাজকামের ভিতর দিয়া রি-কনফার্ম করতেছি, আবার ডিসপ্লেইসও করতেছি, অনেকসময়।

 

ডিসেম্বর ২০, ২০২১

জ্ঞান বা পড়াশোনা জিনিসগুলা সবসময়ই ভাষা, কোড বা টার্মের আড়ালেই ছিল মনেহয়। এইটা মনে হইলো, মন্দিরে এবং সংস্কৃত-ভাষায় পড়াশোনা, জ্ঞান-চর্চা চালু থাকার ব্যাপারটার কথা ভাইবা। সবাই তো সংস্কৃত-ভাষা শিখতে পারতো না, অই অধিকার সবার ছিল না। অইগুলা নিয়া অনেক কাহিনিও আছে।

এখনো বাংলা-ভাষার যা কিছু মান-ইজ্জত আছে, অইটা ‘সংস্কৃতির দুহিতা’ 🙂 দাবি কইরাই। এই কারণেই অনেক লেখা ইংলিশে লেখেন অনেকে, বাংলায় লেখতে গেলে অইসব আল-বাল শব্দ না লেইখা কথা কইলে জ্ঞান প্রকাশও হয় না।

এইখানে দুইটা জিনিসই আছে। এক হইলো “সহজ কইরা বলেন!” – ব্যাপারটা হয় না, নতুন-জানা’র জিনিসগুলা জটিল না হইলেও কমনসেন্স বা জেনারেল নলেজ হিসাবে চালু হইতে সময় লাগে। মানে, জ্ঞানের স্তর বা লেভেল আছে, এডভান্স চিন্তার জায়গা আছে। যার ফলে “সহজ কইরা বলেন” বা “মাথার উপর দিয়া গেছে” বা “আপনার লেখা পড়তে পারি না” হইতেছে এই দাবি যে আমি নতুন কিছু জানতে চাই-না না, আপনি কেন আমার জানার লেভেলে নাইমা আসতেছেন না!

তো, এর এগেনেস্টে আরেকটা পজিশন হইতেছে, কোডিং, ভাষা বা এমনকি ভঙ্গিমা, যেইটা এখনকার একাডেমিক দুনিয়াতেও পাইবেন। এই জিনিসগুলা মেথড হিসাবে যে হেল্প করে না – তা না, কিন্তু মাস্ট একটা জিনিস হয়া উঠার ভিতর দিয়া, চিন্তার যে কোন এডভেঞ্চার’রে রেগুলেট করার ভিতর দিয়া তারে মাইরাও ফেলে।

মানে, দুইটা জিনিস পুরাপুরি আলাদা হইলেও মোটামুটি একই বা কাছাকাছি জিনিস।

এক দিক দিয়া তো চান না, আরেকদিক দিয়া মোটামুটি সম্ভবও না! আমি যে ‘জ্ঞানের কথা’ কইতেছি, দুইটা টার্ম না দিয়া, দাঁত-ভাঙ্গা শব্দ না দিয়া কইলে সেইটা কি মিনিংফুল কোন আলাপ হইতে পারবে?

পারবে হয়তো, একটু টাইম লাগবে আর কি…

#########

যে কোন চিন্তার বেইজটা হইতেছে ফার্স্টে খেয়াল করার মতো একটা ঘটনা। যে, আপনি কার জন্য চিন্তা করতেছেন, কোন জায়গাটা থিকা চিন্তা করতেছেন। যার চিন্তার কেবলা হইতেছে কলকাতা, তারে নিয়া বাংলাদেশে মানুশ কি কথা বলতে পারে আসলে? মানে, বাংলাদেশের মানুশের কাছে বদরুদ্দীন উমর হইতেছেন একটা ‘অতীত-ঘটনা’, যেইটা দিনে দিনে ইরিলিভেন্ট হইতেছে আরো। আর এইটা হইতেছে উনার বেইজটা থিকা সরতে না পারা’র কারণে।

এখন বাংলাদেশের সাহিত্যিক-মাতমের ভিতর দিয়া কলকাতা যতটুক রিলিভেন্ট আছে, বদরুদ্দীন উমরের রিলিভেন্স অইটুকই। উনি সৎ-মানুশ, ভালো-লোক, এই কারণে উনার পায়ে ধইরা সালাম করতে পারি আমরা। কিন্তু ভালো-মানুশ আর জরুরি-চিন্তা দুইটারে ঘুটা দিয়া মিলায়া ফেললে তো হবে না!

মানে, উনার কোন চিন্তাটারে কনফ্রন্ট/মোকাবেলা করা দরকার আমাদের, এখনকার বাংলাদেশে, যেইটা মিস কইরা যাইতেছি আমরা? এনি সাজেশন, আইডিয়া?

##########

গত সপ্তাহের ঘটনা এইটা। আমার এক কলিগ অফিস শেষে বাসায় ফিরার পথে ট্রাফিক জ্যামে গাড়িতে বইসা থাকতে থাকতে টায়ার্ড। গাড়ি পার্কিং করারও জায়গা থাকে না অফিসের পার্কিংয়ে। আশে-পাশের গলিতে রাখলেও পুলিশ ধরে, টাকা দিতে হয়। তো, ঠিক করলেন হাঁইটাই বাসায় ফিরবেন! কিন্তু থার্ড ডে’তে-ই গিয়া ধরাটা খাইলেন, রাস্তায় এক মোটর সাইকেল তার পায়ের উপরে চাকা তুইলা দিলো। খুববেশি ব্যথা না পাইলেও, বুঝলেন যে, ঢাকা শহরের রাস্তায় হাঁটা’টা সহজ কাজ না।

আমার আরেক ফ্রেন্ড পাঠাও/উবারের মোটর সাইকেলে চড়তে গিয়া বাসের চিপায় পড়ছিলেন, ডান হাতের আঙুল ঠিক হইতে তিন মাস লাগছিল। এর পর থিকা ডরের চোটে মোটর সাইকেলে উঠেন না আর।

বিজনেসের কারণে নিয়মিত মোটর সাইকেল চালাইতে হইতো আমার পরিচিত একজনের। সিএনজি’র চিপা-খায়া একসিডেন্ট কইরা হাত-ভাঙ্গা নিয়া ছিলেন ছয়মাস।

একজন ফেসবুক ফ্রেন্ডরে দেখলাম কয়দিন আগে ফেসবুকে পোস্ট দিছেন, ফুটপাতে হাঁটতে গিয়া এক বাই-সাইকেলের ধাক্কা খাইছেন। কিন্তু দোষ ভাবতেছেন অই সাইকেলঅলার! এইটা অবাক করছে আমারে।

মানে, ঢাকা শহরে আছেন, কিন্তু কোন রোড-একসিডেন্টে পড়েন নাই, এইটা রেয়ার ঘটনাই। কারণ ঢাকা শহরের রাস্তাগুলাতে হাঁটার কোন জায়গা নাই। মানুশ হাঁটবে – এইটা ভাইবা কোন রাস্তা বানানো হয় নাই, এখনো হয় না।

ফুটপাতের হকার, সিভিক-সেন্স, ট্রাফিক নিয়ম – এইগুলা অ-দরকারি না, কিন্তু সেকেন্ডারি আলাপ। ঢাকা শহরের রাস্তায় মানুশ হাঁটবে – এইটাই উদ্দেশ্য হিসাবে নাই। যার ফলে, কেউ হাঁটতেছে দেখলে মনেহয়, মানুশগুলা হাঁটতেছে কেনো! সব গরিব নাকি! 🙂

#########

“এখানে যেমন কমিউনিস্টরা সবকিছু মাওলানা ভাসানীর হাতে তুলে দিয়েছে।” – বদরুদ্দীন উমর।

এইটা পুরাপুরি মিছা-কথা, হিস্ট্রিক্যাল লাই। ১৯৭২ সালে ভাসানী বরং দাবি করছেন কমিউনিস্টরা উনার দল/সংগঠন হাইজ্যাক করছে। (উনার লেখার লিংক কমেন্টে দিতেছি।)

কৃষক সমিতি, ন্যাপ ছিল ভাসানীর দল। মনি সিং, মোজাজফর আহমদ’রা একই নামে আরেক দল বানায়া ভাসানীরে অই সংগঠনগুলা থিকা বাইর কইরা দিছিল। ভাসানী’রে কমিউনিস্টরা সাইনবোর্ড বানায়া বেচতো, এখনো দেখবেন রেড মাওলানা নাম দিয়া বেচতেছে।

 

Leave a Reply