নোটস: মার্চ ২০২২ [পার্ট ৩]

মার্চ ২১, ২০২২

– এনার্কিস্ট অ্যাজ অ্যা জমিদারের বাচ্চা –

বাংলাদেশে আপনি যদি পাওয়ারফুল লোক হন, তাইলে সেইটা পাবলিকরে বুঝানোর উপায়’টা কি?
আমি ভাইবা দেখলাম, সবচে সহজ উপায় হইতেছে, নিয়ম না মানা!* যে, রাস্তায় বামদিক দিয়া গাড়ি চালায়া যাওয়াটা হইতেছে নিয়ম, আপনি গেলেন ডাইনদিক দিয়া! এইটা খালি নিয়ম না-মানা না, নিজেরে পাওয়ারফুল হিসাবে দেখানোরও উপায়, যে দেখ! আমার নিয়ম মানা লাগে না। টিকেট কাটতে লাইনে কেনো দাঁড়াবো, আমি এলাকার মাস্তান না! টেন্ডারে আমি সিরিয়াল দিবো কেনো, পলিটিক্স কি এর লাইগা করি নাকি! এসপি, এমপি হইছি কি ট্রাফিক জ্যামে বইসা থাকার লাইগা নাকি! এইরকম। মানে, আপনি যে জমিদারের বাচ্চা একটা, এইটা বুঝাইবেন নিয়ম না মাইনা।

(একটু বাড়ায়া বলা মনে হইতে পারে, কিন্তু রিলিভেন্স মনেহয় না থাকার কথা না, যেই কারণে) বাংলাদেশের এনার্কিস্টদের নিয়ম না-মানা যতোটা না ফিলোসফিক্যাল চয়েস, তার চাইতে জমিদারের বাচ্চা হওয়ার খায়েশও কম বইলা মনেহয় না। আমি বলতেছি না যে, আপনি নিয়ম-মানা গোলাম হয়া উঠেন, কিন্তু এর কালচারাল সিগনিফিকেন্সটারে না মানলেও কন্সিডার করতে পারেন পয়েন্ট’টা।**
মানে, নিয়ম না-মানাটা অবশ্যই আমাদেরকে পাওয়ারফুল হিসাবে শো করে, কিন্তু এইটা ক্লাস-হেইট্রেটের ঘটনাও হয়া উঠতে পারে তো! আমি বলতে চাইতেছি, যে কোন আইডিওলজিক্যাল জিনিসরেই কালচারের কনটেক্সট থিকা বাইর কইরা দিয়া এবসুলেট জায়গা থিকা দেখাটা ঠিক হবে না। এই মিনিমাম জায়গাটার কথাই।

*মানে, আরো অনেক উপায় তো থাকতেই পারে। গেরামে বা ছোট শহরগুলাতে এইটা ছিল বাজারে গিয়া বড় মাছটা কিনা। পাড়ার সবচে সুন্দরী মেয়েটার লগে পিরিত করা। একটা মসজিদ বানানো, মাদরাসা দেয়া, আকিকা-খতনা-বিয়া-চল্লিশার বড় খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা, এলাকার মানুশের বিচার-করা, নানান কিছুই… মানে, আপনার যে টাকা আছে বা পাওয়ার আছে, সেইটা যদি শো না করতে পারেন, তাইলে তো সেইটা না-থাকার মতোই ঘটনা…

**ইন্দোনেশিয়ায় সুহার্তো সরকারের আমলে ৫ লাখ কমিউনিস্টরে যারা মারছিল, সেই মিলিশিয়া বাহিনির এক নেতা কইতেছিল, আমরা তো আউট-ল পারসন, একটু উরাধুরা (ভাগ্য ভালো এনার্কিস্ট বলে নাই)। একইভাবে ‘৮০ বা ইভেন ‘৯০-এর দশকে যারা পাড়ার মাস্তান ছিল, উনারা এইরকম আউট-ল, এনার্কিস্ট হিরোই ছিলেন। হুমায়ূন আহমেদের “কোথাও কেউ নেই”র বাকের ভাই’রে দেখেন। এনার্কিস্ট তো কারেক্টার’টা, জমিদারের বাচ্চা হইতে পারে নাই আর কি এরা… কিন্তু অনেকে পারছে তো… ফার্স্ট এনার্কিস্ট দ্যান জমিদারের বাচ্চা, ফার্স্টে কমিউনিস্ট দ্যান বাকশালি… এইরকম।

মার্চ ২২, ২০২২

এই ঘটনাটারে একটা এনেকডোটস বা শোনা-কাহিনি হিসাবেই আমি জানি। ঘটনা হইতেছে, শিখা-গোষ্ঠী বা ঢাকার ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজের’ একজন কোর ফাউন্ডার, ঢাকা ভারসিটির ইকনোমিকসের টিচার আবুল হোসেন। যে চাকরি ছাইড়া দিয়া ঢাকা ছাইড়া কলকাতাতে চইলা গেলেন, এর পিছনে এই কাহিনিটা আছে বইলা বলাবলি আছে এখনো কিছু। আবুল হোসেন নাকি কইছিলেন, ব্যাংকের সুদ হারাম ঠিকাছে, কিন্তু মহাজনি-সুদের চাইতে বেটার। মহাজনি-সুদের হাত থিকা বাঁচতে হইলে ব্যাংকের কাছ থিকা টাকা ধার নিয়া সুদ নেয়াটা এই সময়ের জন্য (১৯৩০-৪০ এর দিকে) হারাম না। তখন উনার এই ‘ফতোয়া’ নিয়া ঢাকার নবাব বাড়িতে সালিশ বসানো হইছিল। কারণ ঢাকা ভারসিটি তো নবাবদেরই বাড়ির ইস্কুল, অইখানের মাস্টার যদি ইসলাম-বিরোধী কথা কয়, তাইলে তার ‘বিচার’ করার এখতিয়ার তো নবাবদেরই! অই বিচারে আবুল হোসেন’রে খালি মাফ-ই চাইতে হয় নাই, ভরা মজলিশে নাক খত দিয়া তার কথা ফিরায়া নিতে হইছিল।

এখন আমার কথা হইতেছে, এইটা ইসলাম-বিরোধী কথা কিনা – এইটা কোন ঘটনাই না, বরং লোকজন যদি মহাজনের বদলে ব্যাংকের কাছ থিকা টাকা নেয়ার রীতি-নীতিগুলা শিইখা ফেলে, মহাজনদের পথে বসতে না হইলেও, অই দাপট তো থাকবো না আর! সমাজে তো ‘বিশৃঙ্খলা’ 🙂 লাইগা যাবে একটা, ক্যাওস তৈরি যাবে! কেউ তো কারো কথা শুনবো না! (মানে, মহাজনদের কন্ট্রোল আর এতোটা থাকবো না।)

তার মানে এইটা না যে, ব্যাংক খুব ভালো সিস্টেম, গরিবের বন্ধু! বা সুদ-খাওয়া যে হারাম – এইটা যে সত্যি কথা না, তা তো না! [বাহাস তো হইতেই পারে,] কিন্তু এই সত্যি কথা কোন পারপাসটা সার্ভ করে আসলে, এই কনটেক্সটে? – এইটা খেয়াল না করার মতো সাচ্চা-মুসলমান হয়া থাকাটা কি আফিমের ঘটনাই?

না, এইটা হইতেছে পাওয়ারের তাবেদারি করার ঘটনা, পুরাপুরি।

২.
এখন আসেন বেরেক [BRAC] বা এনজিও’র মাইক্রো-ফাইনান্সের ঘটনাটাতে। একদল আবাল-বামপন্থী আছেন, যারা পাওয়ারের তাবেদারি করেন, একটা ইনোসেন্ট ভাব নিয়া। একই প্যারাডাইমের আলাপ দেন। যেন এনজিও’র কাজ হইতেছে, গরিবি দূর করা! যেমন মহাজন’রা বইলা বেড়াইতেন, ব্যাংকের কাজ হইতেছে সুদ খাওয়া! এই জিনিসগুলা যে নাই তা তো না; কিন্তু ব্যাংকের প্রাইমারি কাজ যেমন একটা মনিটরি সিস্টেমরে এস্টাবলিশ করা, এনজিও বা মাইক্রো-ফাইনান্সের কাজ অই জিনিসটারেই আরো ডিপে নিয়া যাওয়া।

গরিব’রে আপনারা ব্যাংকে ঢুকতে দেন নাই। এখন এনজিও’র লোনও নিতে দিবেন না। এইটা হইতেছে আসল কথা। গরিব যেন কিছু বুঝে না
– এইরকম একটা ভাব নিয়া উদাস লালন-গীতি শুনায়া বলবেন, গরিব থাকাটাই ভালো বুঝছো, পকরিতির কাছাকাছি থাকা যায়, অরগানিক হওয়া যায়! [ রিয়েল বাইনচোত এরা!]

মানে, এইখানে একটা কালচারাল ওয়ার সবসময় চলতেছে সোসাইটিতে। দেখবেন, যখন রানা প্লাজাতে মানুশগুলা, গরিবের বাচ্চাগুলা মারা গেছে, দরদ উথলায়া উঠছে মিডল-ক্লাস বলদদের, কবিতা লেইখা ভাসায়া ফেলছে যে, কেনো আসছিলি গারমেন্টসে কাম করতে, গেরামেই তো ভালো ছিলি! এইগুলা কোন ‘সহমর্মিতা’ না, গরিব’রে সারাজীবন বিষন্ন-গরিব কইরা রাখার কালচারাল দুশমনি এইগুলা। এই কারণে গারমেন্টসের মেয়েদের ঠোঁটে লিপস্টিকের লাল রং দেখলে এদের পুটকি জ্বলে। মোবাইলে কথা কইতে দেখলে মনে করে ফোন-সেক্স করতেছে। এরা গরিবের একসেসগুলারে আটকায়া রাখতে চায়।…

এখন এনজিও থিকা লোন নিলেই গরিব মিডল-ক্লাস হয়া উঠতে পারবে না। কিন্তু মিডল-ক্লাসের বাড়িতে পেটে-ভাতে কাম করার চাইতে অন্য অপশনগুলারে ট্রাই করতে পারে অরা। এইটা গরিব লোকেরাও জানে যে, অন্য লোকের টাকা না মাইরা খুব কম মানুশ টাকা কামাই করতে পারে বাংলাদেশে।

কিন্তু গরিব মানে হইতেছে মানুশগুলা কিছু জানে না – এইটা হইতেছে বাংলাদেশে বামপন্থী গরিব-দরদি ইকনোমিস্টদের একটা বেসিক প্রিমাইজ; যেইটা মহাজনি কালচারেই আরেকটা ভার্সন হিসাবে আমাদেরকে দেখতে পারতে হবে। মানে, এনজিওদের এবং বামপন্থীদের আলাপের যেই বেইজ সেইখান থিকা বাইর হইতে পারতে হবে আমাদেরকে। গরিব মানে একটা উন্নয়ন-অপারচুনেটি না, গরিব মানে বিপ্লবের মেশিনও না।

৩.
যে কোন আইডিয়া বা কাজ একটা লেভেলে স্থির থাকে না, এইটা চেইঞ্জের ভিতর দিয়া সবসময় আরেকটা কিছুর দিকেই যাইতে থাকে। আমার ধারণা, ফজলে হাসান আবেদের বেরেক-এনজিও আর নাই। উনি মারা যাওয়ার আগেই এইটা মারা গেছিল। গরিবের এনজিও থিকা অনেক আগেই এইটা ডেভলাপমেন্ট-বিজনেস হয়া উঠছে। ফিউচারে একটা কালচারাল-বিজনেস হিসাবে শিফট করতে পারবে হয়তো।

মার্চ ২৩, ২০২২

– বাংলাদেশের সমাজে কবি-সাহিত্যিক হওয়া ব্যাপারটা কি রকম? –

বাংলাদেশের সমাজে কবি-সাহিত্যিক হওয়াটা হইতেছে (কয়েকটা মনে হইলেও আসলে) একটা গ্রুপের লোক হইতে পারার ঘটনা আসলে। মানে, কিছু লোক হল্লা-চিল্লা করবে, এই লোক ভালো লেখে, অই লোক ‘প্রমিজিং’ [কি যে নাখাস্তা জিনিস এইটা…], এইগুলা কইরা দলবাজি না কইরা, একটা দলের না হয়া কবি-রাইটার হইতে পারবেন-না না, ‘নিভৃতচারী’ হয়া থাকতে হবে। 🙂 এইরকম নাম-টাম নেয়ার এগেনেস্টে দেখবেন আবার ‘অবহেলিত কবি-সাহিত্যিক’ খুঁইজা বাইর করার স্কিম নেয় অনেকে।

তো, দুইটা জিনিসের কাজ একটাই – মিথ পয়দা করা। এই মিথিক্যাল জন্তুগুলা দেখবেন মরার আগেই মারা যায় বেশিরভাগ সময়। কিছুদিন হাউ-কাউ হয়, ‘পুনরাবিষ্কার’ও হয় মাঝে-মধ্যে, কিন্তু এই ভাব-তরঙ্গ, নাম-ডাক, একটা সোশ্যাল গ্রুপের মধ্যেই জন্ম নেয় এবং মারা যায়। পাবলিক এই সাহিত্য চুদে না, দরকারও নাই আসলে। ‘সাহিত্যিক’ মানে হইতেছে একদল লোক, যারা খালি লেখালেখিই করে না, সমাজে ‘সাহিত্যিক’ পরিচয় চাইতেছে। এখন এইটা নিয়া তো কোন সমস্যা নাই। আশেপাশের মানুশ-জন জানলো, উনাদেরকে ‘কবি-সাহিত্যিক’ বইলা ডাকলো। উনারাও দুয়েক্টা বই-টই ছাপাইলেন। এইরকম তো!

আমি বলতে চাইতেছি, যদি আসলেই কেউ লেখালেখি করতে চান বাংলাদেশে, এই গ্রুপটার বাইরে থাকেন। এর বাইরে গেলেই আপনি ‘কবি-সাহিত্যিক’ হয়া উঠবেন না, বা ভালো-রাইটার হয়া উঠতে পারবেন – এর কোন গ্যারান্টি নাই। কিন্তু এই গ্রুপটার বাইরে গিয়া যতোটা একসেপ্টেড আপনি হইতে পারবেন, ততোটাই কবি-সাহিত্যিক হইতে পারবেন আসলে। মানে, (অইরকম এবসুলেট বইলা তো কোন জিনিস নাই, কিন্তু এখনকার সময়ে) এইটারে একটা প্যারামিটার হিসাবে নেয়ার কথা ভাবতে পারেন।

মার্চ ২৬, ২০২২

যতদিন বাকশালি-শাসন আছে, ততদিন বাংলাদেশের মানুশের কোন স্বাধীনতা নাই। কিছু ফ্লাওয়ারি কথা-বার্তার নাম ফ্রিডম না।

অনেকেই বলেন, নিউজপেপার, টিভি-মিডিয়া, ভারসিটির টিচার, বুদ্ধিজীবীরা কেউ “বাকশাল” কয় না কেন, লেখে না কেন? আমি বলি, চোর’রে কোনদিন দেখছেন সাইনবোর্ড লাগায়া ঘুরতে যে, আমি চোর! এই মিডিয়া, বুদ্ধিজীবীরা, উনারা পার্ট অফ বাকশাল। উনাদের কাজ হইতেছে পাবলিকের হোগায় কারেন্ট ভইরা রাখা, নানান ইস্যু দিয়া। বাকশালের আকাম-কুকাম লুকায়া রাখা। বাকশালি-শাসনরে টিকায়া রাখা। এমন হাউকাউ দিয়া স্পেইসগুলারে অকুপাই কইরা রাখা যাতে “বাকশাল” টার্মটারেই আন-নোন আর ইন-অডিবল মনে হইতে থাকে আপনার।…

বাংলাদেশের মানুশের দুইবেলা খাওয়ার, মন খুইলা কথা-বলার, ভোট দিতে পারার, বিচার পাওয়ার স্বাধীনতা ছিনায়া না নিয়া বাকশাল ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। যতদিন বাকশাল আছে বাংলাদেশে, বাংলাদেশের মানুশের কোন স্বাধীনতা নাই। স্বাধীনতা দিবসে এই জিনিসটা ভাবতে পারা এবং বলতে পারাটা আমাদের দরকার।

“আইভি শোন, রউফ কি বলে!”

১৯৯১ সালে ইউনিক একটা এক্সপেরিয়েন্স হইছিল আমাদের। স্বাধীনতার ৩০ বছর পরে আজাদির একটা বসন্ত-বাতাস পাইছিলাম, অই সময়ে আমরা যারা ইয়াং ছিলাম। ১৫-১৬ বছর বয়স ছিল আমাদের।

দেশে ইলেকশন হবে, ভোট হবে, মিছিল-মিটিং হইতেছে। সবাই যার যার কথা বলতেছে, কোন ডর-ভয় ছাড়াই। অনেক ‘গোপন-কথা’ও বাইর হয়া আসতেছে! আমাদের এলাকার অবস্থা ছিল আরো ইউনিক। “বাম গণতান্ত্রিক মোর্চা” নামে একটা পলিটিক্যাল এসোসিয়েশন হইছিল যারা আওয়ামী লীগের কেন্ডিডেটরে সার্পোট না দিয়া নিজেরা কেন্ডিডেট দিছিল। সারা বাংলাদেশে ১৭টা এলাকায় কেন্ডিডেট দিতে পারছিল মনেহয়, আর অইখান থিকাও ১২/১৩ জন আওয়ামী লীগের কেন্ডিডেটরে সমর্থন দিয়া বইসা পড়ছিল। যেই ২/৩ জন কেন্ডিডেট সারেন্ডার করেন নাই, আমাদের এলাকা ছিল অইগুলার একটা। আমরা কমান্ডার আবদুর রউফের ইলেকশন করছিলাম। আমাদের তখন মেট্রিক পরীক্ষা শেষ। নতুন নতুন দাড়ি-গোফ (ও ইন্টেলেকচুয়াল শিং) গজাইতেছে।

তো, রউফ সাব’রে শহরের অনেকেই চিনেন, উনার খানদানি বংশের কারণে; কিন্তু গেরামের দিকে তো কেউ চিনে না। উনার পরিচয় কি? পোস্টারে তখন লেইখা দেয়া হইলো, উনি হইতেছেন “আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার” (৩৫ বা) ৩৬ নাম্বার আসামী। মামলার টোটাল আসামী ছিল ৩৬ জন আর এক নাম্বার আসামী ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তো, মিছিল-মিটিংয়ে আলাপের বিষয় হয়া উঠলো, “ষড়যন্ত্র” কি আসলেই হইছিল?

রউফ সাব সুন্দর ভাষণ দিতেন। ইলেকশনের মিটিংগুলাতে উনি কাহিনি’টা কইতেন। শোনেন, আওয়ামী লীগ তো স্বাধীনতা চায় নাই। উনারা যারা মিলিটারিতে, নেভি’তে ছিলেন, বুঝতে পারছিলেন সেপারেশন ছাড়া, স্বাধীনতা ছাড়া আর কোন রাস্তা নাই। মিলিটারির লোকজন প্রিপারেশন নিতে চাইছিলেন কয়েকজন। রউফ সাব গেছিলেন জিল্লুর রহমানের বাসায়, ১৯৬৭-৬৮ সালের দিকে। গিয়া কইলেন, যুদ্ধের প্রিপারেশন তো নেয়া দরকার! আপনারা পলিটিক্যাল ফ্রন্টের লোকজন, আপনারা কি বলেন? এই কথা শুইনা জিল্লুর রহমান সাহেব এমনই ভয় পাইলেন যে, চেয়ার থিকা পইড়া যাইতে নিছিলেন, চিল্লায়া বউরে ডাক দিলেন, “আইভি শোন, রউফ কি বলে!” রউফ সাব বলতেছিলেন, উনার এই সাহস দেইখা সেকেন্ড-টাইম কথা-বলার কথাই আর ভাবতে পারেন নাই। আর আজকে উনারা হইতেছেন স্বাধীনতার বীর সেনানী!

[কমান্ডার আবদুর রউফ বেশ কিছু বই-টই লেখছেন, কিন্তু এই ঘটনার কথা কোন বইয়ে লেখছেন কিনা আমার জানা নাই। উনি মারা গেছেন ২০১৫ সালে। লেখা থাকলে ভালো, তা নাইলে আমার এই শোনা-কথারে ভেরিফাই করার জন্য এখনকার সময়ে লোকজন যোগাড় করা টাফই হইতে পারে আমার জন্য। বাকশালি-গোলামি থিকা দেশ স্বাধীন হইলে অনেকেই বলতে পারবেন – এই বিশ্বাস আমার আছে অবশ্য।]

এই এক ভাষণেই জিল্লুর রহমান ফেইল করছিলেন।

কিন্তু এতে কইরা রউফ সাবেরও মনেহয় মন-খারাপ হইছিল, আমাদের বাপ-চাচাদেরও গিল্টি-ফিলিংস তৈরি হইছিল। যার ফলে পরেরবার (১৯৯৬) সালের ইলেকশনে এই ভুল আর উনারা করেন নাই।… তো, আমি যেইটা বলতে চাইতেছি, জিল্লুর রহমান’রা কলকাতা’তে বইসা যেমন দেশ স্বাধীন করেন নাই, রউফ সাব’দের মিলিটারি যুদ্ধও নন-পলিটিক্যাল কোন ঘটনা ছিল না। কিন্তু সবগুলা ন্যারেটিভরে আমলে নেয়ার দরকার আছে আমাদের।

আর আওয়ামীলীগের এতো পাদ-ডরাইল্লা পজিশনের পরেও উনারা অল্টারনেটিভ কোন পলিটিক্যাল পজিশন তৈরি করতে পারেন নাই, যেইখান থিকা ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার’ জায়গাটারে মোকাবেলা করতে পারবেন। তা না কইরা উনারা সেইম ন্যারেটিভের সোলজার হয়া বিএনপিরে “রাজাকারের দল” বানায়া দিছেন। বাম হইতে চাইছেন, ‘স্বতন্ত্র’ হইতে চাইছেন। এই জিনিসটারে উনাদের অহংকার না, বরং না-পারা হিসাবেই ভাবতে পারতে হবে আমাদেরকে।…

আমার জাস্ট মনে হইতেছিল, কমান্ডার আবদুর রউফ তো অনেক সাহসী লোক ছিলেন, কিন্তু তারপরও এই সময়ে এইরকম সত্যি-কথাগুলা বলতে ডরাইতেন কিনা উনি, বলতে পারতেন কিনা – “আইভি শোন, রউফ কি বলে!” কাহিনিটা? না ডরাইলেও ভাবতেন কিনা, এইসব কথা বলা তো ঠিক না এতোটা এখন? মানে, আমাদের দেখাদেখি, বলাবলি এবং বোঝাবুঝির জায়গাগুলা পলিটিক্যাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং দিয়াই লিমিট কইরা রাখার ঘটনাই তো একটা।…

মার্চ ২৭, ২০২২

মুর্শীদা গান নিয়া আলাপে জসীম উদ্দীন ৩টা ইম্পর্টেন্ট জিনিস হাইলাইট করতে পারছেন:

১. মুর্শীদা গানের কথায় ছন্দমিল বা অন্তমিল নাই কোন!*
এইটা মেজর একটা আবিষ্কার। এতো বড় আবিষ্কার যে জসীম উদ্দীন নিজেও আন্দাজ করতে পারেন নাই, বরং এইটারে একটা দোষ হিসাবেই দেখছেন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ও যেমন গদ্য কবিতা লেখতে গিয়া হেসিটেট ফিল করতেছিলেন যে, এইগুলা তো কবিতা হয় নাই তেমন, কারণ ছন্দে লিখি নাই! কিন্তু উনার ইন্টেলেকচুয়াল সাহসের কারণে ক্লেইম করতে পারছিলেন, ভাষার মধ্যে যে সুর আছে সেইটা দিয়াই কবিতা লেখা পসিবল তো অনেকসময়! উদাহারণ না হয় নাই তেমন। উনি খুবই কাছাকাছি ছিলেন এই ক্লেইম করার জায়গাটাতে যে, ভাষার সুরই হইতেছে কবিতার ছন্দ! কিন্তু নিজেরে কবি ভাবতে পারেন নাই বইলা এই কথা-বলাটা উনার এখতিয়ারের জিনিস ভাবেন নাই।

জসীম উদ্দীনও অথরিটির জায়গাটাতে নিজেরে বসাইতে রাজি হন নাই। উনি ধইরা নিছেন এইটা ভুল। উনি দেখার চোখ বন্ধ কইরা রাখছেন, কিন্তু কান যে বন্ধ কইরা রাখেন নাই – এইটার কারণে জানতে পারতেছি আমরা, ছন্দ-মিলের বাইরে গান বান্ধা যায়! সুরই সুররে মিলায়।…

২. সেকেন্ড হইতেছে, বাংলাদেশের বাংলা ডিফরেন্ট – এইটা উনি মানছেন। ইউজও করছেন উনার সাধ্যমতো।**

কিন্তু মুহাম্মদ শহীদুল্লাদের লিগাসি মাইনা “পূর্ববঙ্গের ভাষা”রে “আঞ্চলিক ভাষা”-ই ঠাউরাইছেন। অথচ হিস্ট্রিক্যালিও যদি অঙ্গ, বঙ্গ আর কলিঙ্গের কথা মনে রাখেন, বঙ্গ ছিল সবসময় এই পুববাংলাই। বিদেশরে দেশ বানায়া, দেশের ভাষারে ‘আঞ্চলিক’ বানাইছেন উনারা। কিন্তু এইটুক সততাও বিরল বাংলা-সাহিত্যে। ফোকলোর সংগ্রহের নাম দিয়া দীনেশচন্দ্র সেন ও আবদুল করিমের সাগরেদ মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন, আশরাফ সিদ্দিকী এবং আরো অনেকে ‘প্রাচীন-সাহিত্য’ ‘রক্ষা’ করতেছেন। আর জসীম উদ্দীনও অই লিগাসিতেই শামিল হইছেন। কিন্তু কবি বইলা এমন কিছু জিনিস উনি খেয়াল করতে পারছেন, যেইটা অন্যদের চোখে পড়ে নাই।

৩. আরেকটা ক্রুশিয়াল জিনিস হইতেছে, ডিফরেন্সগুলারে হাইলাইট করা, যে, বাউল আর ফকির একই জিনিস না।***

যে কোন ধারাতেই অনেকগুলা ঘটনা আছে – এইগুলা দিয়া খিচুড়ি পাকায়া ফেললে মুশকিল। জসীম উদ্দীন ট্রাডিশনাল সাহিত্য-ধারণার জায়গা থিকাই ঘটনাগুলারে দেখতে চাইছেন, কিন্তু এইটা খুব ভালোভাবেই আইডেন্টিফাই করছেন যে, জিনিসগুলা একই না। এই সেন্স অফ ডিফরেন্সটারে আরো নানানভাবে থিওরাইজ করাই যায়, করছেনও অনেকে কিন্তু ক্যাটাগরি করার ঘটনাটা নন-পলিটিক্যাল কোন জিনিস না আর কি…

জসীম উদ্দীনের বয়ান খুব ভালো এথনোগ্রাফিও হইছে আসলে। আর এইটা হইতে পারছে উনার কবি-হৃদয়ের কারণে। আর যা কিছু খারাপ সেইটারে “কুসংস্কার ভার্সেস বিজ্ঞানমস্কতা”র রোগ হিসাবেই রিড করতে পারছি আমি।

*”পাঠক লক্ষ রাখিবেন গানের প্রথম খাদের সঙ্গে পরবর্তী খাদের মিল নাই… খাদের শেষ অক্ষরের সঙ্গে অন্যান্য খাদের শেষ অক্ষরের মিল থাকে না। যেমন,
আগা ডুবল পাছারে ডুবল
ডুবল পারের গুড়া
দিনে দিনে ডুবিলরে নৌকার
মাস্তুলের চূড়ারে
নৌকা ডুবিলরে।
[মুর্শীদা গান (১৯৭৭, ২০০৩), পেইজ ১২]

**”কলিকাতার ভাষা যেমন এক প্রকারের ভাব প্রকাশের সহজ পন্থা, সেইরূপ পূর্ববঙ্গের ভাষায়ও একরূপ ভাব প্রকাশ করা যাইতে পারে যাহা অন্যরকম ভাষায় হইবার জো নাই।” [মুর্শীদা গান (১৯৭৭, ২০০৩), পেইজ ২৩৩]

***রবীন্দ্রনাথ হইতে আরম্ভ করিয়া বহু চিন্তাশীল লোকই বাউলদিগকে কবি বলিয়ার আখ্যা দেন।… কিন্তু আমরা বলিব বাউলরা কবি নন, তার্কিক, দার্শনিক, যুক্তিবাদী।… কিন্তু মুর্শীদপন্থী ফকিরেরা সত্য সত্যই কবি, তাঁহারা অত তত্ত্বসস্তু বোঝেন না।” [মুর্শীদা গান (১৯৭৭, ২০০৩), পেইজ ১৬ – ১৭]

মার্চ ২৮, ২০২২

আমি খেয়াল কইরা দেখছি, লেখালেখিতে যেইসব টেকনিক আমি শিখছি বা ইউজ করছি, তার সবটাই নিছি বাজারের লোকদের কাছ থিকা। আমার জন্ম একটা ছোট শহরে, বাজারটাই যেইখানে শহর। পড়াশোনা, চলা-ফেরা, চাকরি-বাকরি বাজারেই মোটামুটি সবসময়।… বাজারের লোকের মুখে কোন বাংলা-ইংলিশ, উর্দু-হিন্দি নাই। একেক জন মানুশ একেকভাবেই কথা কয়, একেকভাবেই বুঝায়। নানান রংয়ের লোক, নানান রংয়ের ভাষা। নদীর পানির মতো। অনেকগুলা পানির ফোটা, একটা স্রোতরে বানাইতেছে।…

বই পইড়া যে এইগুলা শিখা যায় না – তা না, কিন্তু অই জিনিস আমার কখনো হয় নাই। বই পড়ছি একটা প্লেজারের জিনিস হিসাবে, যেইরকম সিনেমা দেখছি। সবকিছুর পরে বই একটা এন্টারটেইনমেন্ট ম্যাটেরিয়াল। এই জিনিস আমি খেয়াল করতে পারছি। এতে কইরা বই জিনিসটা অ-পবিত্র হয়া যায় নাই বা কম-দামি মনেহয় নাই।…

মানে, মানুশের কথারে বইয়ে লেখার কোশিশ আমি করছি, কিন্তু বইয়ের জ্ঞান দিয়া মানুশরে বুঝার ট্রাই আমি কম-ই করছি মনেহয়।

মার্চ ২৯, ২০২২

সকালে নাশতা করতে গিয়া কইলাম, একটা ডিম-ভাজি দেন! কারিগর খুবই কনফিউজড, কইলো, অমলেট দিবো? আমি কইলাম, হ্যাঁ।
এখন বাংলা-জানা বাইনচোতদের কাছে মনে হবে, আরে, বাবুর্চি আবার ইংলিশ কয়!

কিন্তু রাস্তার ধারের ছাপড়া হোটেল হইলেও জিগানোর কথা, পোচ না মামলেট দিবো, মামা! মানে, ডিম-ভাজি জিনিসটা বুঝে না কেউ – তা না, জিনিসটা কনফিউজিং, কারণ সবকিছুই তো ভাজি!

ইভেন, স্ক্রাম্বলড এগ বা ডিম-ঝুরিও ভাজিই তো করা লাগে। এইখানে আমি যে, ডিম-ভাজি কইয়া খানিক বাংলা চুদাইলাম, সমস্যা আমারই বরং।

নাশতার দোকানের ল্যাঙ্গুয়েজ হইতেছে, ডিম-পোচ আর ডিম অমলেট/মামলেট (ভুল হইলেও এইটা কি জিনিস সবাই বুঝে)। এইগুলা ইংলিশ-শব্দ নাকি বাংলা-শব্দ – এই জাতীয় ব্রাহ্মণবাদী/আশরাফি (ভাষার ক্লাস কনশাসনেসের জায়গা থিকা দুইটা একই পজিশন আসলে) ভাব আমলে নেয়ার টাইম নাই উনাদের।

আমারও নাই আসলে। ‘শিক্ষিত’ হওয়ার কারণে এইরকম ভুল মাঝে-মধ্যে কইরা ফেলি আর কি।

– বাংলাদেশের ইংলিশ-রাইটার: মক্কাবাসী নন-মুসলিম –

অনেকেই আছেন, যারা বুঝতে পারেন এবং মানতে পারেন যে, ‘শুদ্দ বাংলা’ হইতেছে একটা কলোনিয়াল প্রজেক্টের ঘটনা। তো, বুঝার পরে উনারা আর শুদ্দ-বাংলায় লেখেন না, ইংলিশে লেখেন! 🙂

ওয়েল, এইটা একটা ইন্টারেস্টিং ঘটনা। এর ভিতর দিয়া কি হয়? একটা হায়ার-গ্রাউন্ড উনারা ক্লেইম করেন বা ইন্টারন্যাশনাল অডিয়েন্সরে তাদের টেক্সটের কনজুমার বা গাহেক বানাইতে চান – এইগুলা তো আছেই।

এর লগে যেইটা করেন, এইরকমের “ছোটলোকি তর্কে” উনারা পার্টিসিপেট করেন না বইলা কনফার্ম করেন আসলে। যে, এইগুলা তো কোন আলাপের বিষয় না! ভাষা একটা হইলেই হয়, দেখেন না, ইংলিশে লেখতেছি আমি, সমস্যা হইতেছে কোন!

আসলেই সমস্যা নাই কোন। মনে চাইলে গ্রিক, ল্যাটিন, সংস্কৃতেও লেখতে পারেন আপনি। নতুন-ভাষাও বানাইতে পারেন।

কিন্তু শুদ্দ-বাংলার মতোই এই ইংলিশে-লেখা যেইটা করে মানুশের মুখের কথারে বাতিল করে, ছোটলোকি বইলা জ্ঞান করে। এইভাবে জিনিসটারে ‘আজাইরা’ এবং ‘অ-দরকারি’-ই বানায়া তুলেন না উনারা, ভাষার ভিতরে নিজেদের ক্লাস-পজিশনরেও ধইরা রাখতে পারেন একভাবে। এইরকমের একটা আন্দাজ করতে চাই আমি।

মানে, ইংলিশে লেখা যাবে না – ঘটনা এইটা না, আবারও বলি। কিন্তু ভাষা-প্রশ্নে এইটা শুদ্দ-বাংলারই অনুসারী।
উনারা আবু জাহেল না, তাই বইলা আবু তালেবও না। উনারা জাস্ট মক্কাবাসী বইলাই মুসলিম হইতে রাজি না।

মার্চ ৩১, ২০২২

হিজাব নিয়া আলাপে মেবি এখনো এর ফ্যাশনাবিলিটির জায়গাটা মিসিং-ই থাকে।

বোরকা-পরা নিয়া আলাপ’টা মেবি ছিল যে, বোরকা পিন্দতে বাধ্য করা যাবে না। কিন্তু পরা লাগতো আসলে, অনেক পাবলিক প্লেইসে এইরকমের সিচুয়েশন ছিল। তো, বোরকা থিকা হিজাবে আসতে পারাটা একটা চেইঞ্জের ঘটনা হিসাবে মিস করার একটা ব্যাপার আছে।

হিজাব বাংলাদেশে মোটামুটি রিসেন্ট ফেনোমেনা, একটা বা দুইটা জেনারেশনের জিনিস। আগে এই জায়গাটাতে ছিল ঘোমটা-দেয়া, মুখ ঢাইকা রাখা। মানে, আগে যখন বোরকা-পরা ছিল ‘শরিয়া-সম্মত’ ঘটনা সেইখানে হিজাব পরলেও যে হইতেছে – এই জায়গাটারে মেবি খেয়াল করা হইতেছে না।

মানে, এইটা খালি ধর্মীয় বিধি-নিষেদ না, অইটা তো আছেই, এইটা বাদে বা এইটাসহ-ই হিজাব একটা ফ্যাশনেবল ঘটনাও হয়া উঠতে পারছে। হিন্দু বা খ্রিষ্টান মেয়েরা এখনো হিজাব পিন্দে না, কিন্তু মাঝে-মধ্যে উনারাও পরতে পারেন – এইরকমের একটা কালচারাল বেইজ আসলে তৈরি হইছে। শুরু হয় নাই আর কি অইভাবে।

তো, আমার কথা হইতেছে, এইটা হইতেছে থ্রেটনিং ঘটনাটা। এর অন্য পারসপেক্টিভগুলার বাইরে। অনেকেই রিলিজিয়াস কারণে হিজাব পরতেছেন, অনেকরে মেবি ফ্যামিলির প্রেশারের কারণে পরতে হইতেছে। কিন্তু হিজাব পইরা যে ফ্যাশনও করা যাইতেছে এইটা ফেনোমেনা হিসাবে ইন্টারেস্টিং। বোরকা’তে এই অপশন ছিল না, বা এখনো তেমন একটা নাই।

[অ্যাড অন হিসাবে আরো দুইটা কথা বইলা রাখা যায়। এক হইতেছে, পোশাক মানেই একটা কালচারাল ডেমোনেস্ট্রেশন। তো, কিছু আলগা মিনিং এইখানে থাকারই কথা সবসময়।…

সেকেন্ড হইতেছে, পোশাক নিয়া একটা প্রেশার সবসময়ই আছে। আপনি চাইলেই লুঙ্গি পিইন্দা পাবলিক প্লেইসে যাইতে পারেন, আর এইটা একটা পলিটিক্যাল ঘটনা হিসাবে ঠিকাছে, কিন্তু অই তো ফ্যাশন হয়া উঠা’টা একটু কমপ্লেক্স ঘটনাই।]

Leave a Reply