ফ্যামিলিম্যান (দ্য এক্সপেক্টেড ভার্চু অফ নোয়িংনেস)

এখনকার গে বা লেসবিয়ান কাপল’রেও যে সোশ্যালি একসেপ্ট করা যাইতেছে এর একটা কারণ হইলো যে, এরা বিয়া করতে রাজি আছে। সোশ্যাল ইউনিট হিসাবে এরা ফ্যামিলি’তে বিলিভ করে। একটু ভাবেন, যদি ফ্যামিলি না থাকে তাইলে আপনি সম্পত্তি কই থিকা পাইবেন? বা মরা’র পরে কারেই বা দিয়া যাবেন? কেমনে দিবেন? ফ্যামিলি ইজ নট ইর্ম্পটেন্ট, বরং ফ্যামিলি ইজ এভরিথিং! ক্যাপিটালিজমরে যদি সিস্টেম হিসাবে সারভাইব করাইতে চান এইটা ছাড়া কোন উপায়ই নাই।

এই বছর মেক্সিকো’র বার্ডম্যান  যে অ্যাকাডেমি এওয়ার্ড পাইলো আম্রিকার বয়হুড না পাইয়া এইটারও মূল কারণ এই ফ্যামিলি। বয়হুড দেখায় যে, সোশ্যাল বইলা যেইটা আছে সেইটা আসলে ইন্ডিভিজ্যুয়াল। আর বার্ডম্যান দেখায় যে, ইন্ডিভিজ্যুয়াল আবার কেডা, যদি ফ্যামিলি না থাকে! অন্য বেটিদের সাথে সেক্স করলেও সে বউ-এর কাছে থিকাই প্রেমিকের রিকগনিশন চায়; তার মে’র কাছে হিরো হইতে পারলেই সে পিপলের হিরো হইতে পারে; এমনকি লাস্ট সিনে সে যখন উড়াল’টা দিতে পারে, তার মে’রেই সেইটা দেখা লাগে।

আর তার মে হইলো এইরকম ভালো একটা মাইয়া যে বুঝতে পারে, সবচে ভালো অ্যাক্টটিং হইলো হোয়েন ইউ আর নট অ্যাক্টটিং অ্যাট অল! এইটাও সে কো-আর্টিস্টের কাছ থিকা শিখতে পারে না, থ্রু হিজ ডটার তারে এইটা রিয়ালাইজ করতে হয়।

হলিউডি মুভিগুলা অ্যাজ অ্যান আইডিয়া ফ্যামিলিরে কোন না কোনভাবে আপহোল্ড করে এবং এই আইডিয়াতে সাবস্ক্রাইব না কইরা অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড পাওয়াটা খুবই রেয়ার ঘটনা হওয়ার কথা। মানে ভালো সিনেমা তো হইতেই হবে তারপরে ফ্যামিলিও থাকা লাগবো লগে।

ইনারিতু (উচ্চারণ ভুল হইতে পারে) তো এর আগে আরো চাইরটা সিনেমা বানাইছেন; কিন্তু ‘এপিক’ বানানোর ডিজায়ার উনি ছাড়তে পারেন নাই কখনোই, যেই এপিক-এর দুনিয়া আমাদেরকে অ্যাবানডান কইরা রাইখা গেছে বহুত আগেই, সেই চার্লস ডিকেন্সের আমলে। এই কারণে উনি যখন চাইরটা-পাঁচটা জায়গাটারে মিলাইয়া দিয়া পুরাটাই বইলা ফেলতে চান তখন সেইটারে গোঁজামিলই লাগে; কারণ আমাদের এপিক’গুলা এতোটাই স্কেটারড যে পুরাটা বইলা কোনকিছু আর এগজিস্টই করে না! এইটারে উনি মানতে পারেন না। উনি এইরকমও ভাবতে পারছেন যে, একটা অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড হয়তো উনারে বাঁচাইয়া দিতে পারবে। না-পারতে পারতেই উনি এই সারেন্ডারও কইরা ফেলতে পারছেন আসলে!

আসলে বাঁইচা থাকতে হইলে কিছু না কিছু অ্যাচিভমেন্টও দরকার। তা নাইলে খালি খালি সাকসেসফুল আর্ট পয়দা করাটা তো বোরিং একটা ব্যাপার!

 

Leave a Reply