১. বাক্যের ভিতর চমকাইয়া দেয়ার ক্ষমতারেই যারা কবিতা ভাবেন, তাদের কবিতা পইড়েন না। কবিতা ভাষার ভিতর দিয়াই লেখা হয়, কিন্তু ভাষার কসরতই কবিতা না।
২. তত্ত্ব-চিন্তা দিয়া কবিতা লেখা হয় না। কবিতার ভিতরে তত্ত্ব-চিন্তারে গুরুত্ব দিয়েন না। যাঁরা গুরুত্ব দিতে চান, তাঁদের কবিতার পছন্দরে সবসময়ই সন্দেহের ভিতর রাইখেন।
৩. কবি হইতে হইলে কারো সাথে বইসা মদ খাওয়াটা জরুরি না।
৪. আগে-যারা-কবিতা-লিখতেন-কিন্তু-এখন-লিখেন-না সেইসব মানুষদের সাথে মিইশেন না।
৫. ‘ধর্ম’ নিয়াও কবিতা সম্ভব। কিন্তু ‘ইসলাম’ লিখলেই যাঁরা আপনারে ‘মৌলবাদী’ মনে করে, সেইসব মৌলবাদীদের সাথে তর্ক করতে যাইয়েন না; ব্যাপারটা খামাখা।
৬. এথিকস মাইনা কবিতা লিইখেন না; আসলে লেখা যায়ও না।
৭. কবিতা লেখার সাথে কম-খাওয়া, পাতলা-হওয়া এবং গরিব-থাকার কোন সর্ম্পক নাই। বেশি-খাইয়া, মোটা-হইয়া এবং টাকা-কামাইয়াও কবিতা লেখা সম্ভব।
৮. কবিতা লেখার লাইগা প্রেম কইরেন না। কিন্তু প্রেমে পড়লে তো কবিতা লিখতেই হবে, এইটা নিয়া করার কিছু নাই।
৯. কবিতার সাথে নশ্বর বস্তুগুলার সর্ম্পক বোঝাটা দরকারি। নশ্বর বস্তুগুলার নশ্বরতাই কবিতার অমরতা।
১০. কম বয়সে মারা গেছেন বা নিখোঁজ হইছেন বইলাই কেউ ভালো কবি না।
১১. আপনার চে যাঁরা বয়সে বড়, সেইসব কবিদের কথায় কান দিয়েন না। উনাদের কবিতা উনাদেরই কবিতা। আর আপনার কবিতা হইলো আপনার কবিতা। এই দুইটা জিনিস আলাদা!
[এইটা সত্য যে কেউ আমার কাছে কোন পরামর্শ চান নাই। বোদলেয়ারের কাছেও কেউ চাইছিলেন কিনা জানি না, কিন্তু তিনি লিখছিলেন কিছু কথা-বার্তা, সেইটা দেইখা দুইহাজার এগারো সালে লিখছিলাম এইটা। এখন কিছুটা এডিটও করলাম। তবে এই লেখার উদ্দেশ্য ছিল যাঁরা কবিতা লিখবেন তাঁদেরকে একটু কনফিউজ করা, এই উদ্দেশ্যে কোন চেইঞ্জ হয় নাই।]
এডিটেড অন ১৬ই মে, ২০১৫।
Leave a Reply