Facebook e torko kora moha genjamer kaaj. Ektar meaning arekta hoi. – Ritu Pakhi.
একটা ও আরেকটা
Sumon Rahman একটা নোট লিখছেন, অনেকে নোটটাতে লাইক দিছেন, কমেন্ট করছেন এবং নোটটা শেয়ার করছেন। সেইখানে একটা মন্তব্য করতে গিয়া Ritu Pakhi এই বাক্য দুইটা লিখছিলেন।
উনার এই ‘একটা’ কথার ‘আরেকটা’ অর্থ করার চেষ্টা করি।
‘meaning’ ত কখনোই একটা না; ‘একটা’ হওয়া তখনই সম্ভব, যখন সবাই ‘এক’ হয়া যাইবো; মানে, Ritu Pakhi’র কথা সবাই Ritu Pakhi’র মতোই ভাববো এবং পড়বো; এইটা ছাড়া ‘এক’ ঘটনা ‘এক’ হওয়া কেমনে সম্ভব?
যদি এইটা হয়ও সেইটা খুবই বাজে একটা ঘটনা হইবো। এই যে ‘আরেকটা’রে ঠেকাইতে চাওয়া, এইটা সব মানুষের চিন্তারে একই টাইপ করতে চাওয়ার আকাংখা, মিলিটারী-ভাবনা… হইতে পারে বর্তমান বাংলাদেশের কলাম-লেখকদের এক ধরণের বুদ্ধিজীবিতা।
কলাম-লেখকদের বুদ্ধিজীবিতা
কলাম-লেখক আনিসুল হক-এর অ্যাক্টিভিটিটারে মিনিমাইজ না কইরা তারে ক্রিটিক্যালি দেখার চেষ্টা করাটা জরুরি। উনার এই চেষ্টাটারে আমি একটা ‘প্রজেক্ট’ আকারেই দেখতে পাই। এই যে, একটা ঘটনা’রে রিপ্রেজেন্টেটিভ কইরা তোলা।
এর ভিতর দিয়া কলাম-লেখক আনিসুল হক ‘জাতি’রে ডিফাইন করার দায়িত্বটা নেন; মানে কি হইলে ‘জাতি’ ‘লজ্জায় অধোবদনলজ্জায় অধোবদন’ হয়, কোন এওয়ার্ড জিতলে ‘জাতি’র মুখ উজ্জ্বল হয়, এইগুলা এইটার সাথে রিলিটেড। এই যে ‘জাতি’ হিসাবে ‘উন্নত’ হওয়ার ‘মানদন্ড’ ঠিক কইরা দেয়ার চেষ্টা, এইটা এই আলাপের সবচে’ জরুরি পয়েন্ট। কিন্তু, এই প্রজেক্টটার উদ্দেশ্যটা কি? কেন তিনি এইটা করেন বা করতে চান? এবং কিভাবে? একজন ইন্টেলেকচুয়ালের কাজ খালি সাজেশন দেয়া না – ‘জাতি’র জাত মারা বা জাতে উঠানোটাই না; টোটাল ব্যাপারটারে রিভিল করার ট্রাই করাটাও। আর এই জায়গাটা টোটালি মিসিং একটা ঘটনা।
জাপানিস প্রফেসার এবং গরিব রাষ্ট্র ও সাহসী মিডিয়া
আবার সুমন রহমান জাপানি প্রফেসার সর্ম্পকে যা বলছেন, তা বরং কিছুটা উল্টা। উনি বলছেন,
“তিনি আহবান জানালেন চোরের কাছে কেবলমাত্র তথ্যগুলো ফেরত দেয়ার জন্য। এই উপহাসমূলক অরিয়েন্টালিস্ট আহবানের সাথে তিনি এও যোগ করলেন যে তিনি চোরের “ভোগান্তি” চান না!.. যে উপহাসটুকু তিনি এর আগে একটি রাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিকের দারিদ্র ও বিবেচনাবোধ নিয়ে করেছিলেন, চোরের শা্স্তি নিজে নিজে মওকুফ করে দিয়ে তিনি সেই রাষ্ট্রটাকেও বেওকুফ বানালেন! যেন তার গবেষণা-উপাত্তের ফেরত আসাকে স্বীয় দণ্ডবিধি কার্যকর হওয়া না-হওয়ার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভাবা উচিৎ এই গরিব রাষ্ট্রের!”
জাপানি প্রফেসারের আহ্ববানটারে আমি পুরাপুরি ‘উপহাসমূলক’ এবং ‘আরিয়েন্টাল’ বইলা মনে করি না। এইটা ‘উপহাসমূলক’ এবং ‘অরিয়েন্টাল’ হয়া উঠছে তখনই যখন মিডিয়া তারে ‘নিউজ’ হিসাবে ‘বাজারজাত’ করছে, এইটা মিডিয়ার সিদ্ধান্ত; জাপানি প্রফেসারের না। আমার জিনিস চুরি-ডাকাতির ঘটনা নিয়া আমি থানায় মামালা করতে পারি, পত্রিকাতে প্রেসনোট আকারে দিয়া সাহায্য চাইতেই পারি, বরং মিডিয়া যখন এই প্রেসনোটরে ‘বাজারজাত’ করার সিদ্ধান্তটা নেয়, তখন সেইটার ভিতর ‘অরিয়েন্টাল’ এলিমেন্ট এক্সপোজড আকারে দেখা যায়।
এইখানে জাপানিস প্রফেসাররে কেন্দ্রে রাখাতে অথরিটি’রে প্রশ্নের বাইরে রাইখা দুর্বলরে আঘাত করার চেষ্টা করা হইছে। করা যে যায় না, সেইটা না; কিন্তু এইটা এই ধরণের প্রজেক্টরে সন্দেহের বাইরে রাখার স্পেসটা তৈরি করতে সাহায্য করে এবং এইটা করতে গিয়া রাষ্ট্র ও মিডিয়ারে পরস্পর-বিরোধী একটা জায়গাতে নিয়া আসে। রাষ্ট্ররে ‘গরিব’ বানায় এবং ‘মিডিয়া’রে ‘সাহসী’ কইরা তোলে।
কিন্তু বাংলাদেশে মিডিয়া একটা ‘গরিব’ জায়গা।
একই টাইপের ঘটনা নিয়া ইন্ডিয়ার টিভি চ্যানেলগুলাতে একটা বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়, ফিল্মষ্টার আমির খান সেইখানে দৃশ্যের পিছনে কণ্ঠ দেন। দৃশ্যগুলা দেখা যায়, কেউ কেউ বিদেশী পর্যটকদের হেল্প করতাছে, কেউ কেউ তাদের কাছ থিকা চুরি করতেছে, এইসব… ত, শেষে বলে যে, আপনি পক্ষে থাকতে চান? আমার ধারণা, বাংলাদেশের মিডিয়া এই বিজ্ঞাপন থিকা ইন্সপার্য়াড হয়া থাকতে পারে, কিন্তু ঠিকমতো টুকলিফাই করতে না পাইরা ‘জাতি’র উপর ধইসা পড়ছে… এইটা অ্যাজ এ হোল, এইটা মিডিয়ার গরিবি, কোন ঘটনারে ঠিকমতো সামারাইজ করতে না পারার।
চিন্তা ও নৈতিকতা/চুরি বিষয়ে আমার বিদ্যা
রাষ্ট্র ও মিডিয়া বা প্রতিষ্ঠান বিষয়ের ধারণা থিকা ব্যক্তিতে আসি এইবার।
চুরি এবং ছিনতাই এই দুইটা অ্যাক্টিভিটির মধ্যে একটা পাথর্ক্য হইলো যে, চুরির ক্ষেত্রে যিনি অ্যাক্টিভিটিটা করেন, তিনি গোপন থাকতে চান আর যিনি ছিনতাই করেন, তিনি প্রকাশ্য হওয়ার রিস্কটা নেন। এই কারণে যিনি গোপন থাকতে চান, তারে প্রকাশ্যে আহ্ববানের সিগনিফিকেন্সটা কি হইতে পারে? একটা মাস কমিউনিটি জানলে কি চুরি হওয়া জিনিসটার ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনাটা বাড়ে? বা চোরের উপর ‘নৈতিক চাপ’ তৈরি করার মাধ্যমে তারে ‘শোধরানো’তে উদ্বুদ্ধ করা যাইতে পারে?
প্রথমত, যার জিনিস চুরি গেছে, তার পক্ষে পরিচিতজনরে বলা, এডভাইস চাওয়া, পারসু করাটারে ‘অনৈতিক’ কোন কাজ বইলা মনে করি না। রাষ্ট্রের আইনি প্রক্রিয়ারে চ্যালেঞ্জ না কইরা কেউ এইটা চাইতে পারেন। এইটাতে কোন বিরোধ নাই। ব্যক্তির সমস্ত চাওয়াই রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার অর্ন্তভুক্ত হইতে হবে – এইটা খুবই জবরদস্তিমূলক চিন্তা। নৈতিকতা ত সবসময় আইনের অর্ন্তভুক্ত না। অন্যদিক দিয়া, যিনি চুরি করছেন তার ‘নৈতিকতা’ রাষ্ট্রীয় আইনের অর্ন্তভুক্ত একটা ব্যাপার। যার জিনিস চুরি গেছে তিনি চাইলেই এই ঘটনাটারে আইনের অর্ন্তভুক্ত করতে পারেন। তখন এইটা আইনি একটা ব্যাপার।
মানে, এইখানে ‘নৈতিকতা’র কোন আলাপই নাই। চিন্তার ভিতরে নৈতিকতা’রে যারা ইম্পোজ করতে চান, তারা একভাবে চিন্তারে আটকাইয়াই দিতে চান। খালি চোরে’র কারণেই এইক্ষেত্রে তাদের পক্ষে এইটা করা সম্ভব হইতেছে না।
চোর’রে আমার সালাম!
————————-
ফেইসবুকের নোট এবং কমেন্টস: http://on.fb.me/1kp1pyb
আনিসুল হক-এর কলাম: http://bit.ly/1YKrGKb
Leave a Reply