১৭ অগাস্ট, ২০২০
“একটু সুন্দর করে লিখতে পারলে… খুবই সুন্দর করে ফেইক করা যায়” –
অগাস্ট ১৯, ২০২০
মেমোরি জিনিসটাও খারাপ বা ভালো বইলা আমরা মনে রাখি না; মনে থাকে এর ইনটেনসিটি’টা, এটাচমেন্ট’টা।…
অগাস্ট ২৭, ২০২০
এক্টা জিনিস, বেশ অফ-টপিকই, তারপরেও যেহেতু মনে হইলো, বইলা রাখি; যারা সাহিত্য করেন, এইরকম ভাবতে পারার ভুল’টা কইরেন না যে, আপনার প্রেমিক/প্রেমিকা আপনার ‘কবিতা’রে বাঁচায়া রাখতে পারবে; যেহেতু আপনি তারে নিয়া বা তার লাইগাই লিখতেছেন, মনে হইতে তার পছন্দ করাই যেন ব্যাপারটারে ‘আর্ট’ কইরা তুললো, আপনাদের নিজেদেরকেও মিথ বানায়া তুলতে পারলো! কিন্তু ব্যাপারটা এইরকমভাবে ঘটে না আসলে খুবেক্টা, বরং হইলে, উল্টা’টা হয়; যেইরকম বুকোউস্কি’রে তার পাবলিশার কইছিল, হেই হ্যাঙ্ক! ৫০ বছর পরে যখন এই মহিলারা মারা যাইবো, তোমার কবিতা’তে অরা তখনো বাঁইচা থাকতে পারবো! তবে আনফরচুনেটলি, কোনকিছুই বাঁইচা থাকে না, কিছু বুদ বুদ ছাড়া…
অগাস্ট ৩০, ২০২০
দুইটা প্রশ্ন আছে এইখানে; একটা হইতেছে, আপনার কাছে যদি কোন প্রমাণ না থাকে, তাইলে সেই ঘটনার কথা আপনি পাবলিকলি বলতে পারবেন কিনা? মানে, আপনি ফিল করতেছেন একটা অন্যায় হইছে, বা আপনার খারাপ লাগছে; কিন্তু ছবি তোলেন নাই কোন, অডিও রেকর্ড করেন নাই, ঘটনা’টা ভিডিও করেন নাই, স্ক্রীণশটও নাই কোন… তো, সেইরকম কোনকিছুর কথা পাবলিকলি কি বলতে পারবেন না আপনি?
দুসরা হইতেছে, (তথ্য-প্রমাণ থাকলেই) কাউরে কি পাবলিকলি হিউমিলেট করতে পারেন আপনি? আদালতে প্রমাণ হওয়া দোষীরেও কি পাবলিকলি গালি-গালাজ করা যায়? এই রাইটস কি আছে আপনার?
তো, মনে হইতে পারতে, এই দুইটা কোশ্চেন খুবই কনফ্লিক্টিং; কিন্তু আসলে তা না। ব্যাপার’টা সত্য-মিথ্যা বা ন্যায়-বিচারের লগে যতোটা রিলেটেড না তার চাইতে অনেক বেশি পাবলিক পারফর্মেন্সের লগে রিলেটেড এক্টা ঘটনা। পাবলিকলি কি বলতে পারেন আর পারেন না – এর ক্লিয়ার-কাট কোন আইন নাই, বরং কিছু সোশ্যাল প্রাকটিস আছে যে, নরমালি এইগুলা লোকজন বলে, নরমালি এইগুলা বলে না, এইরকম। এখন এইগুলা না মাইনা অনেকে বিপ্লবী তো হইতেই পারেন; কিন্তু চালু কোন রীতি বা প্রাকটিস নাই – এইকথা বলতে পারার কথা না। আমরা কথা এইটা না যে, এই রীতি আপনারে মানতে হবে, বরং উল্টাটা; আপনার বলা আর আপনার ইন্ডিভিজ্যুয়াল বলা হিসাবে থাকে না; বরং যখনই পাবলিকলি কিছু আপনি বলতে যাইতেছেন, সেইটা সবসময়ই পারফর্মন্সের লগে রিলেটেড একটা ঘটনা হয়া উঠে।
যেমন ধরেন, কয়দিন আগে সাকিব আল হাসানের বাচ্চা-মেয়ে’র ছবি’তে কয়েকটা কমেন্ট যে করা হইছিল, সেইগুলা সাঁটায়া যে ‘প্রতিবাদ’টা করা হইলো; বা বরিশালে এক পোলা ন্যাংটা হয়া যে এক মেয়ে’রে রেইপের থ্রেট দিতেছিলো – বাজে ঘটনা-ই এইগুলা, কোন ডাউট ছাড়াই, কোন ‘কিন্তু, তবু…’ বাদ দিয়াই। আর এর যে ‘প্রতিবাদ’, এইটা এক্টা অন্যায়-অবিচারের ফিলিংসের জায়গা থিকা করা হইতেছে না – তা-ও না; কিন্তু দেখবেন “প্রতিবাদ” করার ঘটনাটা সবসময় একটা আদর্শ বা আইডিওলজি’র জায়গা থিকা এমার্জ করতেছে; আর সেইটা থিকা এক্টা আর্জ সবসময়ই ক্রিয়েট হইতেছে, থাইকা যাইতেছে, “প্রতিবাদ করার”। বিফোর সানসেট সিনেমা’তে ফরাসি নায়িকা ফ্রাস্টেটেড হয়া আম্রিকান নায়ক’রে কইতেছিল, আমার বাপ-মা ১৯৬৮’র স্টুডেন্ট মুভমেন্ট করছে, এখন আমার কোনকিছু নিয়া মুভমেন্ট করার কিছু নাই! তো, ব্যাপারটা পুরাপুরি এইরকম না যে, “প্রতিবাদ করার” ইস্যু নাই, বরং ইস্যুগুলারে আমরা এক্টা সলিউশনের জায়গাতে এতোটা নিয়া যাইতে পারতেছি না, ব্যাপারগুলা পারফর্মেন্সর ভিতরই আটকায়া থাকতেছে।
কেন? আমার ধারণা, আউডিওলজি বা আদর্শের ইনহেরিয়েট একটা প্রব্লেম এইটা। সব পার্টিতে বা আদর্শেই ব্যানারেই কিছু খারাপ লোক থাকে – ব্যাপারটা এইরকম না; বরং আমাদের যে ‘খারাপ’ বা ‘ভালো’ দোষ-গুণ আছে, সেইগুলারে কোন না কোন আইডিওলজির লগে রিলেট কইরাই ‘প্রমাণ’ করা লাগে। মানে, আপনি ভালো লোক, সেইটা কোন এম্পটিনেসের ভিতর দিয়া তো ‘প্রমাণ’ করা যাবে না; কোন না কোন আদর্শের ভিতর দিয়া এইটা করা লাগবে; হইতে পারে, আপনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন বা আপনি ধর্মের বেসিস মানুশ’রে যাচাই করেন না; মানে, যতো অপজিটই হোক, এক্টা আদর্শের জায়গা এইখানে আছে। কিন্তু এই আদর্শগুলা তো কখনোই পুরাপুরি আপনি না! মানুশের এগজিসটেন্স বা অ্যাক্টরে কোন ধারণা দিয়া আটকাইতে গেলেই দেখবেন, এইটা ঠিকঠাক হইতেছে না, ফাঁক এক্টা থাইকাই যাইতেছে। আমার ধারণা, এইটারে এই পারফর্মেন্সের জায়গাটা দিয়া আমরা ভরাট করার ট্রাই করি। কিন্তু এইটা তা করতে পারে না।
তো, এই দুইটা প্রশ্নে আমার সাজেশন হইলো, যে কারো কথা বলা’রে আটকাইয়েন না; কথা বলার জন্য ‘প্রমাণ’রে মেন্ডেটরি করাটা ঠিক না; বরং এইটা এক্টা ট্রাপ, ছবি, অডিও, ভিডিও… এইগুলা প্রমাণ তো অবশ্যই; কিন্তু এইগুলা যেইভাবে ‘প্রমাণ’ হয়া উঠে, সেই জায়গাটার ইনকোয়ারি’টা বরং আরো বেশি জরুরি। আর দুসরা ঘটনা হইলো, হিউমিলিয়েশন কখনোই কোন ভালো জিনিস না; আপনি যদি সত্যি কথাও বলেন, সত্যি কথা বইলা কাউরে অপমান করতে পারাটারে আমার কাছে সার্পোট করার মতো কোন জিনিস বইলা মনেহয় না। মানে, দেশে বিচার নাই, বিচার আমি পাবো না, এই কারণে আমি পাবলিকলি হিউমিলেট কইরা রিভেঞ্জ বা শোধ নিতেছি, এই রিভেঞ্জের স্ট্রাট্রেজিটা বিচারের রাস্তাটারেই আরো ব্লক কইরা রাখার কথা, বেশিরভাগ সময়।
অগাস্ট ৩১, ২০২০
কথা দিয়া, কাজ-কাম দিয়া, ছবি দিয়া, ইন্টার-অ্যাকশনের ভিতর দিয়া ওভারঅল একটা ইমেজ-ই বানাই আমরা আমাদের; আমার কথা হইলো, অই ইমেজের ফান্দে পইড়া যাইয়েন না। এই ইমেজটাই আমাদের এগজিসটেন্স না, ‘সত্যি’টা না; এইটা জাস্ট আমাদের অ্যাপিয়েরেন্স। এইটা সত্যি কথা যে, অ্যাপিয়েরেন্সের ভিতর দিয়াই সত্যি জিনিসটারে টের পাইতে হবে আমাদের; কিন্তু অ্যাপিয়েরন্সটারেই সত্যি বইলা ধইরা নিলে, সেইটা ভুল-ই হবে একটা।
Leave a Reply