Suits পছন্দ হওয়ার একটা কারণ হইতেছে ডায়ালগে একটু পরে পরে মুভি-কোটস ইউজ করে অরা। সিনেমাগুলা না দেখলে বা না জানা থাকলে সবসময় ‘ফান’টা টের পাওয়া যাবে না; কিন্তু খেয়াল করা যায়, মুভি বা আর্ট দিয়া যে লাইফ’রে ভালোভাবে বুঝি বা রিলেট করতে পারি আমরা।
যেমন সিজন ৭-এ অ্যালেক্স নামে হার্ভি’র এক ফ্রেন্ড জয়েন করে অর ল’ফার্মে; জয়েন করার পরেই বুঝে লুইসের কোন ঝামেলা আছে হার্ভির লগে। তো, একদিন বিয়ার বা কফি খাইতে খাইতে হার্ভি’রে জিগায়, ঘটনা’টা কি? হার্ভি হাসে, কয়, ব্যাপার’টা কমপ্লিকেটেড; লুইস লোক খারাপ না, হার্ভি’রে হেইট করে, আবার চায় হার্ভি তারে পছন্দ করুক, একটু উইয়ার্ড আছে সে কিন্তু ভালো ফ্রেন্ডই… মানে, বইলা বুঝাইতে পারে না; পরে কয়, আরে, অই সিনেমার অই কারেক্টার’টার মতো আর কি! তখন অ্যালেক্স সাথে সাথে বুঝতে পারে; আরে, আগে বলবা তো! এতো কথা বলার কি আছে, এইটা কইলেই বুঝা যাইতো! এখন তো ক্লিয়ার পুরা!…
মানে, সংজ্ঞা দিয়া কোন জিনিস বুঝতে পারবেন না আপনি ঠিকঠাক, বরং উদাহারণ দিয়া বুঝতে পারবেন। 🙂 আর্ট বা সিনেমা হইতেছে উদাহারণ’টা, লাইফের। বেটার ওয়ে, লাইফ’রে বুঝার, এক্সপ্লেইন করারও।
তবে, সিনেমা দিয়া লাইফ’রে বুঝতে গেলে ঝামেলাও আছে; উদাহারণ’টা যদি ঠিকঠাক না হয়, না মিলে, বা আন্ডারস্ট্যান্ডিং যদি সেইম লেভেলে না থাকে। যেমন, লুইস’রে একবার তার সেক্রেটারি কয়, তোমার তো কয়দিন আগে ব্রেকাপ হইছে, একটা ভ্যাকেশন নাও, ঘুইরা আসো; ভাল্লাগবো। লুইস মুখ গোমড়া কয়, না, যামু না! কেন? তখন সে কয়; আগেরবার সে যখন ঘুরতে যাইতে চাইছিল, তখন তার ট্রাভেল এজেন্সি তারে বাংলাদেশ পাঠায়া দিছিলো; স্লামডগ মিলিওনিয়ার দেইখা সে ভাবছিলো বাংলাদেশে খালি ফ্রিদা পিন্টো ঘুরতেছে; কিন্তু আসলে তো তা না! সেক্রেটারি কয়, ফ্রিদা পিন্টো তো লন্ডনে থাকে! লুইসের তো আরো মেজাজ খারাপ হয়; কোন জায়গায় যে সে ধরা খাইছিল, সেইটা তো আরো বুঝাইতে পারে না! 🙁
তো, ইটস কমপ্লিটকেটেড! 😛
Leave a Reply