দুনিয়াতে তখনো ফেসবুক আসে নাই, কমিউনিটি-ব্লগও অইভাবে শুরু হয় নাই, ২০০৩/৪ সালের দিকের কথা। ব্রাত্য রাইসু তখন kabishabha নামে একটা ইয়াহু মেইলগ্রুপ খুইলা অইখানে দুই-তিনশ লোকের ইমেইল এড্রেস অ্যাড কইরা মেইল চালাচালি শুরু করেন, উনিই ছিলেন অই গ্রুপের মডারেটর। অইখানে সাহিত্য নিয়া অনেক তর্ক-বির্তক, কাইজ্জা-কাটি, ঝগড়া-ঝাটি হইতো। একটা টপিক নিয়া কেউ কোন ইমেইল লেখলো, তখন অন্য অনেকে এর রিপ্লাই দিলো, এইভাবে চলতে থাকতো। রোমান হরফে বাংলা এবং বাংলা হরফে বাংলায় লেখা হইতো ইমেইলগুলা। আমি অইখানে অনেক হাউকাউ করছি।
তো, এই ক্রাউডের অনেকে পরে সামহোয়ারইনব্লগে এক্টিভ হইছিলেন এবং তারওপরে ফেসবুকে। অই ক্রাউডের লগে আমি পারসোনালি যে খুব এসোসিয়েটেড ছিলাম – তা না; কিন্তু আমার পাবলিকলি কথা বলাবলির শুরু বলা যায়, কবিসভা yahoo!-ইমেইলগ্রুপে। তারও আগে ‘কবিসভা’ নামে একটা কবিতা লেখছিলাম, ১৯৯৯ সালের দিকে, যখন অই মেইল-গ্রুপ চালু হয় নাই। তখন এইসব কথা বলাবলি’রে তো এতো ইম্পর্টেন্ট বইলা ভাবতাম না, ভাবতাম যে কবিদের ইগোসিস্ট ব্যাপার-স্যাপার। অই পজিশন চেইঞ্জ হইছে আমার। চিন্তা করতে করতেই আমি বুঝতে পারছি যে চিন্তা সবসময় চেইঞ্জ হইতে পারার ঘটনাই। এখন ২০২১ সালে যেই চিন্তাগুলা আমি করতেছি, এইগুলাও আল্টিমেট কিছু না। কিন্তু চিন্তার এই ফ্লো বা ধারাটা একটা ঘটনা। অই জায়গা থিকা বইটার কথা ভাবছি আমি।
বইয়ের লেখাগুলা কবিসভা আমলের লেখা না, বরং সবচে আগের লেখাটা ২০০৮ সালের আর সবচে পরের ২০২১ সালের, এই ১৪ বছরে লেখা কিছু জিনিস এইখানে রাখা হইতেছে। সাবজেক্ট হিসাবে যেইখানে বাংলা-ভাষা ও সাহিত্যের আলাপ কম-বেশি আছে। (সব লেখা এইখানে মেবি নাইও।) লেখাগুলা আলগা জিনিস; মানে, একটা বইয়ের কথা মাথায় রাইখা বা একটা সেন্ট্রাল ধারণারে মনে রাইখা লেখা হয় নাই, বরং এই সাবজেক্টে যা কিছু লেখা হইছে, সেইগুলা কমপাইল করা হইতেছে। যার ফলে বইটা পড়তে গিয়া ইনকমপ্লিটনেসের একটা ফিলিংস হইতে পারে, কিন্তু একইসাথে একটা কমপ্লিট লিটারারি ক্যাননের দিশা পাওয়া না গেলেও একটা স্কেচ মেবি ভিজিবল হইতে পারে। মানে, এইরকমের একটা আশা আছে বইলাই বইটা ছাপানোর কথা ভাবা গেছে। যে, নানান সময়ে বিচ্ছিন্নভাবে এমন কিছু জায়গারে হয়তো হাইলাইট করা গেছে যেইগুলা খেয়াল করাটা দরকারি ব্যাপার হইতে পারে।…
মানে, নিজের বই নিয়া একজন রাইটার যতো কম কথা বলেন, ততোই তো বেটার 🙂
ই. হা.
অক্টোবর, ২০২১
Leave a Reply