ভাষা ও কনটেক্সট
বিস্টির ফোঁটাও
জমিনে
একটু তেরছা হয়া পড়ে
এক্সপেরিয়েন্স
তামার তার হওয়ার পরে
লোকটা বলতেছে তার নিচের দিকে তাকায়া
হে বাল, তুমি পাইকো না আর!
কনটেক্সট অফ ফ্রিডম
আমরা কথা বলতেছি,
কিন্তু কেউ কারো কথা শুনতেছি না
কারণ কথাগুলারে ট্রান্সমিট করার লাইগা
এইখানে কোন বাতাস নাই
রইদের দিন
আমি হইতেছি রইদের দিনে
রাস্তায় শুইয়া থাকা কুত্তাটা
তুমি আমার মাথার নিচের পাত্থরটা
বাবল-লাইফ
বড় একটা বাবলের ভিতর বইসা
ছোট ছোট বাবল ফাটাই
মনেহয়, “এই জীবন তো মিছে নয়”…
রিয়ালিটি-চেক
আমার রিয়ালিটি থিকা আমি একটু দূরে দূরে থাকি
কিন্তু শে আইসা আমার সামনে দাঁড়ায়
সিঁড়িতে, করিডোরে, রাস্তায়
আমার চোখের দিকে তাকায়া বলে,
শোন, আমি কিন্তু আছি!
আমি বলি, হ, তুমি আছো তো,
অন্য আরেকটা রিয়ালিটি হয়া আমার মনের ভিতরে!
কিন্তু শে মানে না এই কথা,
আরো কাছে আইসা দাঁড়ায়, আমার হাত ধরতে চায়
আমার লগে কথা কইতে চায়,
আমি তারে পারি না ফেলে দিতে,
জীবনানন্দের ‘বোধ’ কবিতার মতো, শে থাকে
আর একটা বাস্তবতা হয়া উঠতে চায় খালি
সময়ের মতো শে একটা পাগলা-ঘোড়া
আমি তার কেশরে হাত বুলাই, পোষ মানে না শে
ডাগর-কালো আঁখি, যমুনার টল টলা কালা পানি
দুলতেছে, আর ভাসাইতেছে আমারে
তাঁর রিয়ালিটির কোন একটা কোণায় আমিও হয়তো আছি
যশোর
খেজুর গাছে হাড়ি
এখনো বাঁধে নাই মন
শীতকাল,
এখনো একটু দূরে
সেপ্টেম্বরের বাতাসে ঠোঁট
একটু একটু শুকাইতেছে
খেঁজুর গাছগুলা দাঁড়ায়া আছে
পথের দুই ধারে, শুকনা মুখে
যশোর রোডে
সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সকাল
সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সকাল নামতেছে,
রাস্তার দখল নিয়া নিতেছে রইদ, ধীরে ধীরে
কয়েকজন মিইলা হাঁটতে হাঁটতে
বাচ্চা মেয়েগুলা যাইতেছে কোচিংয়ে,
একা একা রাস্তায় হাঁটার সাহস কেউ করতেছে না
একটা মানবিক ব্যাটারি রিকশা যাইতেছে রাস্তায় পিছনের পর্দায় লেখা –
“মাদরাসার স্টুডেন্টদের জন্য ভাড়া ফ্রি”
সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে একটা সকাল
যে কোন একটা সকালের মতোই সকাল হয়া উঠতেছে
Leave a Reply