বাকশালি-প্রেমের কবিতা
তোমার চুল নীল।
তাই তোমার পাদে গন্ধ নাই।
তোমার হাসি সুন্দর।
তাই তুমি পায়খানা না কইরা থাকতে পারো সাতদিন।
তোমার চোখ মায়াবী, উদাস, গভীর।
তোমার হিসু তাই শব্দহীন।
তোমার শরীর মোম, গলতে গলতে আবার জমা হয়।
তাই কোন ব্যথার আঘাত তুমি পাও না।
তথাপি তুমি অসহায়।
আমি ছাড়া তোমার কোন গতি নাই।
তুমি অসহায় রাজকন্যা।
আমি বীর যোদ্ধা!
তুমি টিভি-উপস্থাপিকা।
আমি টক-শো সেলিব্রেটি!
তুমি বাকশালি-ফেমিনিস্ট।
আমি বাম-বুদ্ধিজীবী!
আমি আমি আর আমরা আমরাই তো এই দুনিয়া!
বাকি যারা আছে সবাই বিএনপি ও জামাত।
অদের পাদে গন্ধ।
খাইতে পায় না তা-ও ডেইলি দুইবার হাগে।
চোখে ইশারা নাই, কথায় ইঙ্গিত-উপমা নাই কোন!
বাড়ি মারলে ব্যথা পায়।
সুফি-প্রেমও বুঝে না।
অদের কথা আমরা বলবো না কবিতায়।
অরা বস্তুজগতের অহেতুক বাস্তবতা।
কবিতা তো হবে লাইফের ফাইনার ফিলিংগুলা।
ঝকঝকা তকাতকা সুন্দর সুন্দর ছবির মতো একেকটা।
আমরা যেই কবিতা লেখবো তারে আবার বইলা বইসো না কিন্তু
বাকশালি-প্রেমের কবিতা!
ভুলে যেও না (ফরগেট মি নট)
যদি তুমি
কখনো
আমার কথা
ভাবতে চাও
এমন ভাবে
ভাববা
যেন একটা
পুরান গানের সুর
তুমি মনে করতে পারতেছো না
তুমি হাসতেছো
তুমি হাসতেছো
তোমার ফেইক হাসি
শীতের সকালের সূর্যের মতো
একটু একটু কইরা
রিয়েল হয়া উঠতেছে
তোমার
এই এইটুক রইদ
আমি কি যে ভালোবাসতেছি
তুমি হাসতেছো
‘ভালো-মানুশ’
ভাজা মাছ, তুমি উল্টাও!
আমি কাঁটা-চামচ নিয়া বইসা আছি,
তা নাইলে তো তোমারে খাইতে পারতেছি না!
সকাল হইতেছে
শীতের কুয়াশা দাঁড়ায়া আছে, দরজার বাইরে
কয়েকটা পাখি ডাকতেছে
রাস্তায় গাড়ির হর্নও শোনা যাইতেছে
সকাল হইতেছে,
মন, তুমিও জাইগা উঠো ধীরে,
যেন একটা ফুল তার পাপড়ি মেলতেছে
পোশাকের কান্না ৩
সময়ের চরকার মধ্যে আমি বানছি নিজেরে
পেঁচাইতেছি ঘটনার সুতায়
তৈরি করতেছি তোমার জামা
তুমি বলতেছো, এতো এতো জামা এইখানে,
আমি পরবো কোনটা?
একটাই তো শরীর আমার!
সময়ের চরকায় আমি ঘুরতেছি আবার
হয়া উঠতেছি আরেকটা রংয়ের কাপড়, জামা
অনেকগুলা টাইমের ভিতর একটা টাইমেরই সুতা
কবিতার জীবন
আরো কয়দিন কেন বাঁইচা থাকবো?
এই নিয়া দুই পাতার একটা এসে লেখার মতো
আজাইরা এই জীবন
বলতেছে, “হায়! এই জীবন এতো ছোট কেনে?”
তিন সন্ধ্যার ঘুম
কি যে একটা ঘুম আসছে আমার
সন্ধ্যাবেলায়, যেন সূর্যমুখী ফুলগুলা নুইয়া পড়তেছে
তাদের ভারী মাথা নিয়া
Leave a Reply