সাউথ এশিয়ান আইডেন্টিটি নিয়া

কয়দিন আগে ইন্ডিয়ান একটা টিভি চ্যানেল (www.lifeok.com)-এর বিজ্ঞাপনে চ্যানেলরে ইনডোর্স করতেছিলেন শাহরুখ খান এইভাবে যে, সাউথ এশিয়ান ডায়াসপোরাদের মধ্যে সবচে জনপ্রিয় (বা হইতে পারে আদর্শ) একটা চ্যানেল। সম্ভবত ইন্ডিয়ান কালচারের কথাও বলতেছিলেন তিনি। (অবভিয়াসলি এইটা শাহরুখ খানের কথা না, এক ধরণের রিসার্চ ফাইন্ডিংই হয়তো ইউজ করা হইছে, টেক্সটে।) ইউটিউবে খুঁজলাম ভিডিওটা, কিন্তু পাইলাম না। পাইলে আরো অথেনটিকভাবে বলা যাইতো; যে, সাউথ এশিয়ান বইলা একটা কম্যুনিটি এবং তাঁদের ‘ইন্ডিয়ান কালচার’ বইলা একটা ‘জিনিস’ আছে বা গ্রো করতেছে।

মাইগ্রেটেড পিপলদের সহজে চিনার লাইগা পশ্চিমাদের (ইউরোপ-আম্রিকা ইত্যাদির) মনে একটা ক্যাটাগরি থাকতে পারে ‘সাউথ-এশিয়ান’ আর এইভাবে পরিচিত হইতে চাওয়া জনগণ ইন্ডিয়া-পাকিস্তান-বাংলাদেশ’র একটা ‘কমন কালচার’এ আগ্রহী হইতে পারেন। যে কোন আইডেন্টিটিই তৈরি হয় আসলে এই ‘আদার’-এর পারসপেক্টিভ থিকা।
Continue reading

“…ষড়যন্ত্র হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী”

http://www.bd-pratidin.com/2014/01/01/35413

[নিউজ লিংক’টা এখন আর কাজ করে না, খবরটা ছাপা হইছিল মেবি ৩/৪ জানুয়ারি, ২০১৪-তে; নোট’টা জানুয়ারি ৬, ২০১৪-তে লেখা।]

এইটা গুরুত্বপূর্ণ একটা স্টেটম্যান্ট ছিল। কিন্তু রাজনীতিতে গুরুত্ব ত খুব ফ্রিকোয়েন্টলি চেইঞ্জ হয়।

সবচে সিগনিফিকেন্ট ঘটনা হইলো ‘প্রধানমন্ত্রী’ বলাটা, শেখ হাসিনা না; একটা পজিশন, কোন ইন্ডিভিজ্যুয়াল মানুষ না। ইলেকশনে একজন মানুষের তো একটাই ভোট – এইরকম সহজ-সরল-সাধারণ ব্যাপার। ইস্যু’টা যখন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকবেন কি থাকবেন না, তখন এইখানে এস্যুরেন্সটা দেয়া আছে যে, এইটা প্রধানমন্ত্রী’র স্টেটমেন্ট। প্রধানমন্ত্রী যখন ষড়যন্ত্রের কথা কইতেছেন তখন সেইটা রাষ্ট্র ও আইনের এগেনেস্টের কোন ব্যাপার।

এই যে ষড়যন্ত্র বলা, এইটা শুধুমাত্র এই ধারণা থিকা বলা না যে, ষড়যন্ত্র হইতেছে; বরং একটা এক্সপেক্টশন আকারেও হাজির আছে যে, ষড়যন্ত্রই পসিবল এখন এবং এইটা তখনই সম্ভব যখন প্রকাশ্য ও গণতান্ত্রিক বইলা যে পদ্ধতিগুলা আছে সেইটা আর সম্ভব না।

এই পরিস্থিতিটা কেমনে সম্ভব হইতেছে, এই ষড়যন্ত্রমূলকতা, সেইটা নিয়া তারপরও কথা বলা সম্ভব। কারণ কী ষড়যন্ত্র হইতেছে, তার চাইতে ভাবা দরকার কেন ষড়যন্ত্র হইতেছে। অথবা তারও আগে এই ‘ষড়যন্ত্র-ভাবনা’টা কেমনে আসতে পারলো? যেহেতু ষড়যন্ত্র, কয়টা অনুমান ত করাই যাইতে পারে:
Continue reading

হে মূলধারা, থিওরী অফ বাইনারি এবং অভিযোজন-প্রিয় ব্যাঙের কাহিনি

ব্যাপারটা সামান্যই। কিন্তু এর ইমপ্লিকেশন সামান্য না।

গত মাসে [নভেম্বর, ২০১৩-তে] ঢাকায় বাংলা একাডেমিতে ইংরেজি সাহিত্য নিয়া হে ফেস্টিভ্যাল নামে যে প্রোগ্রাম হইছিল সেই বিষয়ে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার শিল্প-সাহিত্য পাতায় এইটা নিয়া লিখেন শুভময় হক, নভেম্বর বাইশ, দুইহাজার তের সনে (ইংরেজি)। সেইখানে তিনি লিখেন – (কোট) বাংলাদেশের মূলধারার অনেক কবি লেখকদের অনুপস্থিতি দৃষ্টিকটু ঠেকেছে। (আনকোট) লেখক মূলধারার কবি লেখকদের নামও নিছেন, নিয়া বলছেন যে তাদেরকে, (কোট) ‘…হে উৎসবে দেখা যায়নি। সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেলে উৎসবটি নিশ্চয় আরো পূর্ণতা পাবে।’ (আনকোট) শুভময় হক-এর লেখায় এবং প্রথম আলো’র ইনডোর্সমেন্টে বাংলাদেশের মূলধারার কবি লেখকরা হইলেন – (কোট) ‘নির্মলেন্দূ গুণ, মঞ্জু সরকার, মঈনুল আহসান সাবের, ওয়াসি আহমেদ, নাসরীন জাহান, ব্রাত্য রাইসু, কামরুজ্জামান কামু, অদিতি ফাল্গুনীসহ আরো অনেকেই’। (আনকোট) ত, এই নামগুলি একইসাথে উচ্চারিত হইবার নিশ্চিতভাবেই একটা গুরুত্ব আছে, কিন্তু সেই প্ররোচনারে এইখানে ইগনোরই করা গেলো। কারণ আমার আগ্রহের জায়গাটা মূলধারা নিয়া।[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

এইখানে মূলধারার আইডেন্টিফিকেশনটাই জরুরি, তাদের ইনক্লুড করা বা না-করাটা ঘটনা না। কারণ জরুরি হইতেছে এই মূলধারার সাপেক্ষে একটা নতুন কিছু’রে ক্লেইম করা; মূলধারা যদি না থাকে তাইলে এই কাজকামের (হে ফেস্টিভ্যালের) কোন ভ্যালুই তৈরি হইতে পারে না। প্রতিদ্বন্দ্বী যত শক্তিশালী, পক্ষতা তত জরুরি। হে ফেস্টিভ্যাল তখনই একটা অবস্থান হইতে পারে যখন এর বিপরীতে বাংলাসাহিত্যের মূলধারা বইলা একটা কিছুর অস্তিত্ব থাকে। এই দুইটা পারস্পরিক ভিন্নতা বা বাইনারি দিয়া যে একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হইতেছে, সেইটা ভয়ংকর; যদ্দূর পর্যন্ত ভাবা যায় তার চাইতেও বেশি হওয়ার কথা। Continue reading

খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার পাবলিক ফোনালাপ

“ছোট একটা জায়গা, ছোট্ট একটা জায়গার মধ্যেই আমি ঘুরি।” – খালেদা জিয়া।

 

বাহুল্য-ই হইতেছে কবিতা। আমাদের কথাবার্তার ভিত্রে যেইসব কথা না-বললেও কোন সমস্যা নাই, অ-দরকারি; সেই জায়গাগুলারে আমরা কাব্য/কবিতা হিসাবে কনজিউম করতে পারি। এইটার আরেকটা প্রমাণ পাইলাম খালেদার জিয়ার কথাতে; যেইখানে তিনি বলতেছেন, “ছোট একটা জায়গা, ছোট্ট একটা জায়গার মধ্যেই আমি ঘুরি।” অডিওটা আমি শুনি নাই, যে অল্প একটু ট্রান্সক্রিপ্ট করা হইছে সেইটুকুই পড়ছি বাংলানিউজটুয়েন্টফোরডটকমে; যেহেতু পুরাটা শুনি নাই, শেখ হাসিনাও হয়তো এইরকমের অ-দরকারি কথা বা কাব্য/কবিতা বইলা থাকতে পারেন। Continue reading

বাংলাভাষার হেফাজতকারী প্রথম আলো পত্রিকা কি ‘পারমিশন’ বলার ‘অনুমতি’ দিবে না?

‘৪৮ ঘণ্টা পর আর সমাবেশের পারমিশনের (অনুমতি) জন্য অপেক্ষা করব না।’ – খালেদা জিয়া, প্রথম আলো পত্রিকার খবর (নিউজ)।/

খালেদা জিয়া যে উনার বক্তৃতার মধ্যে ‘পারমিশন’ শব্দটা কইছেন, সেইটারে ব্রাকেটে ‘অনুমতি’ বইলা পরিচয় করাইয়া দিছেন নিউজ রাইটার এবং সম্পাদক। কিন্তু এই পরিচয় বা অনুবাদ এর উদ্দেশ্যটা সর্ম্পকে সচেতন হওয়াটা জরুরি। এর মানে এই না যে, যাঁরা প্রথম আলো পত্রিকা পড়েন, তারা ‘পারমিশন’ শব্দের অর্থ জানেন না, বরং উনারা পারমিশন শব্দের জায়গায় যে ‘অনুমতি’ শব্দটা ব্যবহার করা দরকার, এই সাজেশনই দিতে চাইছেন।

তবে খালেদা জিয়া যে ‘অনুমতি’ না কইয়া ‘পারমিশন’ কইছেন এইটাতে আমার সমর্থন আছে। কারণ, পারমিশন শব্দের যে রুক্ষতা (র’নেস) এবং কটাক্ষ (স্যাটায়ার প্রবণতা) সেইটা অনুমতি শব্দের আনুগত্যের মধ্যে নাই। আবেগের দিক থিকা এইটা শেখ মুজিব এর ‘দাবায়া’ শব্দেরই সমধর্মী প্রায়।