লার্নিংস ফ্রম ডেডপুল মুভি

১. ঢাকার নাটকে গ্রাম মানেই কমেডি, কলকাতার আর্ট-ফিল্মে বাঙাল হইলো হাসির জিনিস; বলিউডে বাঙালি বাবু হইলো বেকুব; হলিউডে ইন্ডিয়ানরা এইরকম ফানি ক্যারেক্টার। এই হিউমারের ফ্লো’টা বেশ মারাত্মক একটা জিনিস।
২. ভাষার অশ্লীলতাই হইলো প্রেম।

৩. আপনার পার্টনারের লগে প্রচুর মিথ্যা কথা বলবেন; তারে বুঝতে দিবেন, মিথ্যা হইলো মিথ্যা।

৪. এমনিতে, সত্যি বেশ ফানি জিনিস।
Continue reading

সুপার হিরো মুভি

দুইটা সুপার-হিরো মুভি (ডেডপুল আর ব্যাটম্যান ভার্সেস সুপারম্যান) দেইখা একটা জিনিস মনে হইলো। আগেই মনে ছিলো, সিনেমা দুইটা দেইখা মনে হইলো আবার – ইস্যুটা আসলে হার্ডওয়্যার নিয়া; মানে, মানুষের সফটওয়্যার/ইন্টিলিজেন্স তো ব্যাপক, পুরাটা নাকি ইউজই করতে পারে না; কিন্তু বডি পার্টস খুবই দুর্বল। ছোটখাট ভাইরাসই সারভাইব করতে পারে না আর ৫০/৬০ বছর হইলেই শরীরের একটা পার্টস চললে আরেকটা চলে না। তো, সুপার হিরো’রা আগানো হার্ডওয়্যারের দিক থিকা, হাত কাইটা ফেললে নতুন হাত গজাইতে একদিন লাগে; গুলি মারলে সেইটা মাংসের মধ্যেই টুং কইরা লাইগা বাইর হয়া যায় – এইরকম। তো, এইটা দেইখা মনে হইলো, বায়োলজিক্যাল এক্সপেরিমেন্টগুলি আসলে শুরু হয়া গেছে। খালি ভেড়ার ক্লোনিং-ই হয় নাই, মুর্গির ফার্ম আর মাছের হ্যাচারি; মে বি কাছিমের জিন ঢুকাইয়া মানুষের বডিরে ৫০০ বছর বাঁচানোর কামও চলতেছে। Continue reading

পেগি

ওয়ান্স আপন অ্যা টাইম ইন আম্রিকা’তে একটা ছোট ফিমেইল কারেক্টার আছে, পেগি নামে। পেগির সাথে কিশোর ডেভিড অ্যারিনসনের (নুডুলস নামটাই বেশি সুন্দর আসলে) ফার্স্ট এনকাউন্টার হয় টয়লেটে, পেগিরে আসতে দেইখা সে টয়লেটের ছিটকানি খুইলা রাখে। সে প্রেমে পড়ে ডোর্বা’র, কিন্তু সেক্স করতে চায় পেগি’র লগে। কারণ শে সেক্স বেচে, অনেকবেশি রিচেবল এবং রিয়েলও মে বি। পেগি এমনিতে ব্যবসায়ীই, কিন্তু তাঁর পুঁজি কম, শরীরটা খালি। কিন্তু পেগির ব্যবসাটারে মূলধন কইরা ম্যাক্স-নডুলুসরা আরো বড় ব্যবসা করে।
পেগির সাথে পুলিশ অফিসারটা সেক্স করার সময় ওরা ছবি তুইলা পুলিশরে কব্জা কইরা ওদের গ্যাং’টা দাঁড়া করাইতে পারে। পরে পেগিও থাকে ওদের সাথে। শে গ্যাং’টার মেম্বার না, কিন্তু গ্যাং’টার সাথে কানেক্টেড, ওদের সব পার্টিতে শে থাকে, আড্ডা দেয়, লাগলে সার্ভিসও দেয়, এইরকম।

Continue reading

গুড, ব্যাড অ্যান্ড অনেস্ট: এক্স-মেশিনা

ক্যাপাবল মেইলরাই আসলে ফিমেইল মেশিন বানায় (আর ফিমেইল যিনি বানাইতে পারেন তিনিই তো মেইল, ক্যাপাবল)। আর কি রকমের খচ্চর শালা, ইনফিরিয়র মেশিনগুলিরে কাজের মেয়ে বানায়া তার লগে যা তা বিহেভ করে। মানে, কাজের মেয়ে বানানোটা বেশি বাজে আসলে, এক ধরণের স্লেভারি। আমার ধারণা, এই টাইপটা বানানোর সময় সার্চিং-এ পর্ণ-এর রেজাল্টগুলিরে ফিল্টার করতে ভুইলা গেছিলো সে (যদিও এইটা বলে না সিনেমাতে), যার ফলে শে বডি দিয়া রিকগনাইজ করতে চায় সবকিছু, বেশ দেহবাদী বিহেভ করে, শেষে হিউম্যান বডিরে খুন করার লাইগা ছুরি সাপ্লাই দিতে পারে। কিন্তু ইভা এইরকমের বেকুব না, ছবি আঁকে, প্রেম করে; একটা বড় রাস্তার ইন্টারসেকশনে (ভ্যাজাইনা’র সাইনই তো, নাকি?) দাঁড়ায়া ডেটিং করার কথা বলে। কি কিউট! আসলে টেকনিকগুলি যত পুরান, ততবেশি এফেক্টিভ।

ইয়াং পোলাটারও খারাপ লাগে যে, তার ক্যাপাবিলিটির লাইগা তারে নেয়া হয় নাই, নেয়া হইছে সে ‘ভালো মানুষ’ বইলা। তো, ভালো মানুষ হইলো যে ইথিক্যালি ডিসিশান নেয়, ইমোশনালি বায়াসড হয়; লজিক্যাল চিন্তা করতে পারে না – এইসব কোয়ালিটিরে ‘ভালো মানুষ’ বইলা চালানোটা আসলে ঠিক না। মানে, কোন না কোন বোকামি না থাকলে কেউ ‘ভালো’ হইতে পারবে না, কি আজিব! Continue reading

বাচ্চামি ইজ লাভ! Crazy, Stupid, Love.

সিনামাটা দেইখা মজা পাইছি। শেষদিকে, স্টিভ ক্যারল যখন ভাষণটা দিতে যায় স্কুলের স্টেইজে তার পোলারে থামাইয়া দিয়া, তখন তার পোলার ফিমেইল স্কুল-টিচার যে মিডল ফিঙ্গার দেখায়, ব্যাপারটা অসাম! শে হইলো ট্রাডিশন্যাল অডিয়েন্স কারেক্টার। কারণ শে তখনো বিলিভ করে যে, স্টিভ ক্যারল একটা চিটার; তার সাথে চিট করার পরে এখন লাভ নিয়া কথা কইতে আইছে! আমাদের নিজেদের এক্সপেরিয়েন্স দিয়াই আমরা অন্যরে ভাইবা ফেলতে পারতেছি।

আমাদের কথা-বার্তার বা চিন্তা-ভাবনার সেন্টার পয়েন্ট সবসময় আমরাই, আমাদের সাথে যা যা কিছু ঘটতেছে। যেমন, জুলিয়ান মোর যখন গাড়ি চালাইতে চালাইতে স্টিভ ক্যারল’রে তাঁর ফ্লিঙ-এর কথা কইতে থাকেন, তখন স্টিভ তো শুনতে চান না, কারণ সেইটা খালি জুলিয়ানের সাথেই ঘটে নাই, শোনার ভিতর দিয়া স্টিভরেও এইটার ভিতর দিয়া যাইতে হইতেছে… যে শুনতেছে, যে দেখতেছে, সে সেন্টার হয়া উঠতেছে। এইটার ভিতর দিয়া স্টিভ যাইতে চায় না আর, কয় যে, গাড়ি থিকা লাফ দিয়া নাইমা যাইবো সে; আর যায়ও। বাচ্চামি’টা করে। প্রমাণ করতে পারে যে, সে প্রেমের ভিতরেই আছে।   Continue reading