ফেব্রুয়ারি, ২৩
দেখবেন এইটা হয়, যখন কোন খারাপ কথা বলে মানুশ বা খারাপ কাজ করে; আর তারপর বুঝতে পারে, তখন কয় যে, ‘ফাইজলামি করছিলাম’ বা ‘বুৃঝি নাই’ 🙂 – এইভাবে এড়ায়।”
এইটা একটা ওয়ে-আউট। ‘ভুল বলছিলাম’ বা ‘সরি’ না বলতে পারা’টা খালি ইগো’র ঘটনা না, একটা ফেইলওরের ঘটনা হিসাবেই দেখতে পারাটা দরকার।
২.
আমি দেখি, সমস্যাটা হইতেছে যে কোন ঘটনা’রে একটা ‘কমন ন্যারেটিভ’-এর ভিতরে আটকানো’টা। যে, এইটার মানে হইতেছে অইটা, অইটার মানে হইতেছে সেইটা – এইরকমের কমন ফেনোমেনাগুলা।
একটা প্রটোটাইপের এগেনেস্টে আরেকটা প্রটোটাইপ দাঁড়া করানোটা কোন কাজের জিনিস বইলা মনেহয় না আমার কাছে। মানে, এইখানে ব্যক্তি বাদ দিয়া অবজেক্টিভ কোন সিস্টেম কাজ করে – তা না; বরং ব্যক্তি অবস্থানগুলারে, অ্যাক্টগুলারে আমরা একটা অবজেক্টিভ সিস্টেমের আন্ডারে যখন নিয়া বন্দী করি, প্রসেস হিসাবে সেইটা একইরকমের হইতে থাকে।
তাই বইলা প্যার্টানগুলা বা জেনারেল ফর্মগুলা যে এগজিস্ট করে না – তা তো না; একটা ন্যারেটিভের জায়গায় আরেকটা ন্যারেটিভ-ই বরং বেস্ট-ফিট করে। কিন্তু মুশকিল হইলো, সব নিয়মগুলাই আবার তাদের একসেপশনগুলা দিয়া ভ্যালিডেড হইতে থাকে। আলাপ আবার, অবজেক্টিভ সিস্টেমের ফাঁক দিয়া ব্যক্তিতেই ফিরা আসে।
ব্যক্তিরে বা তার অ্যাক্টরে যেইরকম একটা জেনারালাইজড প্রসেসের বাইরে দিয়া দেখা সম্ভব না, আবার যখন একটা জেনারালাইজেশনরেই আমরা আল্টিমেট ধইরা নিবো তখন ব্যক্তির অ্যাক্ট করার জায়গাগুলাও ন্যারো হইতে থাকার কথা।…
কোন ব্যক্তিরে বা অ্যাক্টরে ডিফাইন করা যায় না বা যাবে না, এইরকম না; বরং যেই যেইভাবে লোকেট করি আমরা সেইটারে আল্টিমেট হিসাবে না নেয়াটা থিওরেটিক্যালি জরুরি একটা জিনিস, সবসময়ই।
ফেব্রুয়ারি, ২৩
‘অটোবায়োগ্রাফিক্যাল’ বা ‘বেইজড অন অ্যা ট্রু স্টোরি’ দেখতে আমার ভাল্লাগে; এই কারণে না যে, এইগুলা ‘সত্যি’ জিনিস বলে, বরং ‘সত্য’ জিনিসটারে কেমনে কন্সট্রাক্ট করে – সেইটা অনেকবেশি ক্লিয়ারলি দেখা যায়, এইরকম ‘পারসোনাল’ ইভেন্টগুলার ভিতরে।
যেমন গতকালকে @Pawn Sacrifice দেখার সময় মনে হইতেছিল; ববি ফিশারের দাবা’তে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ান হওয়ার ঘটনা’টা নিয়া বানানো; অইখানে ববি ফিশার’রে দেখানো হইতেছিল, খুবই প্যারানইয়া টাইপের। খেলার আগে ভাইগা যায়। ফার্স্ট খেলায় হাইরা যাওয়ার পরে কয়, পাবলিকের সামনে খেলবো না, ক্যামেরার আওয়াজে ডির্স্টাব হয়, এই সেই। তো, এইগুলারে প্যারানইয়া মনে হওয়ারই কথা, পাবলিকের, মানে আমাদের। কারণ সে যেইগুলারে তার সমস্যা বলতেছে, অন্যজনের বা আরো অনেকের তো এই সমস্যা নাই! তার কেনো হইতেছে! তার মানে এই সমস্যাগুলা নাই আসলে! 🙂
পরে, তার অপোনেন্ট যখন হারতে থাকে, সেই অপোনেন্টও চেয়ার থিকা উইঠা বসে, কয়, চেয়ারের পায়ার ভিতরে কিছু ঘুরতেছে, সে অই চেয়ারে বসবো না। মনে হইতে পারে, তারও প্যারানইয়া হইছে! 🙂 কিন্তু না, পরে তার’টা প্রমাণ পাওয়া যায়, দেখা যায়, স্টিলের পাত ঠিকাছে, পাতের ভিতরে দুইটা মৌমাছি ঘুরতেছিল আসলেই। 🙂 Continue reading →