১.
ব্যাপারটা এইরকম না যে, ঘটনাগুলা খুব আনপ্রেডিক্টেবল জায়গা থিকা ঘটে। বা উল্টাদিক দিয়া কইতে গেলে, খুব লজিক্যাল সিকোয়েন্স ফলো করে; কিন্তু কম-বেশি টের তো পাই আমরা, কি ঘটতেছে বা ঘটতে পারে। আমরা একদমই টের পাই না বা খুব হঠাৎ কইরা ঘটে – এইরকম কখনোই না, বরং আমরা ভাবি যে, এইরকম হয়তো ঘটতেই পারে, কিন্তু আমরা আশা করি যে, ঘটবে না মনেহয় এইরকম। (ক্লাইমেট চেইঞ্জের ঘটনাটাই ধরেন, আমরা তো জানি যে, সমস্যা একটা তৈরি হইছে আর এইটা ঘটতে যাইতেছে, কিন্তু যখন ঘটে, তখন ‘অবাক’ হইতে থাকি, আরে, কি হইলো এইটা!)
এইরকম মনে হওয়া’টা ইর্ম্পটেন্ট। আর এইরকম মনেহয় বইলা বা এক্সপেক্টশন থাকে বইলা আমরা ভাবতে পারি যে, এইরকম যেহেতু ঘটার কথা, ঘটবো না মনেহয়।
তো, আমরা যা ভাবি, তার ইমপ্যাক্ট তো আছেই কিছুটা; মানে, আমরা তো কিছু চাইতেই পারি, আর সেইটার বেসিসে ভাবতেই পারি, যত খারাপ বা ভালো ঘটার সম্ভাবনাই থাকুক, এতোটা খারাপ বা ভালো ঘটবে না মনেহয়। মানে, আশা (Hope) আর ভয় (Fear) স্ট্রং দুইটা ফিলিংস, কিন্তু ঘটনা আমাদের এক্সপেক্টশন বা ফিলিংসের উপ্রে এতোটা ডিপেন্ড করে না আর কি!
ঘটনাগুলার এফেক্ট আমাদের উপ্রে পড়ে ঠিকই, আর আমাদের চিন্তা-ভাবনাও ঘটনার উপ্রে ইমপ্যাক্ট ফেলে, কিন্তু যে কোন ঘটনা-ই আমাদের চিন্তা-ভাবনার উপ্রে এতোটা ডিপেন্ড করে না আসলে।
ঠিক নিয়তিবাদী জায়গা থিকা বলতেছি না, বরং আন্দাজ করার জায়গা থিকাই বলতে চাইতেছি।…