আর্ট, ক্রিটিক এবং মকারি

 

এইরকম একটা টেনডেন্সি আছে যখন আমি কোনকিছুরে মকারি করতে পারলাম, তখন তার গুরুত্ব আর নাই! কোন টেক্সটরে চিন্তার দিক থিকা বা তার সাহিত্য-মূল্যরে জিরো কইরা দিতে পারলাম। যেমন ধরেন, শামসুর রাহমান-এর কবিতার বইয়ের নাম – আমি অনাহারী; কেউ একজন কইলেন খুলে ফ্যাল (বানানে ‘য-ফলা’ দিয়া উচ্চারণটারে ক্রিটিক্যাল করা লাগবে) তোর শাড়ি! আনিসুল হক তার উপন্যাসের নাম রাখলেন ভালোবাসো, বাঁচো; কেউ একজন কইলেন, ভালোবাসো, খেঁচো! দিস আর দ্য থিংকস।

মানে, শামসুর রাহমান বা আনিসুল হক খুব ভালো কবিতা উপন্যাস লিখেন বা ব্যাপারটা খুব পবিত্র কিছু, এইসব নিয়া হাসি-ঠাট্টা করা যাইবো না, সেইটা না; বরং একটা জিনিস যেই জায়গটাতে ‘বাজে’ সেইটা না বইলা খালি মকারি করা সম্ভব বইলাই যে তারে বাতিল কইরা দেয়া যায়, এইটাই ঘটনা। এইটা এমন একটা গ্রাউন্ডে অপারেট করে যেইখানে তাদের ‘বাজে’ ধরণটা এস্কেইপের জায়গাটাই খালি খুঁইজা পায় না, রিপিটেটলি করতেও থাকতে পারে, কারণ মকারিই ত এইগুলা, সমালোচনা তো আর না! আর যারা এই ধরণের মকারি করেন তারাও ব্যাখ্যা না করতে পারাটারে এইভাবে এড়াইতে পারেন যে, এইটা নিয়া তো কথা বলার কিছু নাই, রায় ঘোষণা করেন, বাতিল! আর যারা রিসিভার এন্ডে থাকেন, তারা আরেকটু বেশি কইরাই হাসতে পারেন এবং ভাবতে পারেন যেহেতু মকারি করা যায় সেই কারণেই এরা বাতিল। এখন যে এমনেই বাতিল, তারে নিয়া আর কী কথা! Continue reading

হে মূলধারা, থিওরী অফ বাইনারি এবং অভিযোজন-প্রিয় ব্যাঙের কাহিনি

ব্যাপারটা সামান্যই। কিন্তু এর ইমপ্লিকেশন সামান্য না।

গত মাসে [নভেম্বর, ২০১৩-তে] ঢাকায় বাংলা একাডেমিতে ইংরেজি সাহিত্য নিয়া হে ফেস্টিভ্যাল নামে যে প্রোগ্রাম হইছিল সেই বিষয়ে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার শিল্প-সাহিত্য পাতায় এইটা নিয়া লিখেন শুভময় হক, নভেম্বর বাইশ, দুইহাজার তের সনে (ইংরেজি)। সেইখানে তিনি লিখেন – (কোট) বাংলাদেশের মূলধারার অনেক কবি লেখকদের অনুপস্থিতি দৃষ্টিকটু ঠেকেছে। (আনকোট) লেখক মূলধারার কবি লেখকদের নামও নিছেন, নিয়া বলছেন যে তাদেরকে, (কোট) ‘…হে উৎসবে দেখা যায়নি। সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেলে উৎসবটি নিশ্চয় আরো পূর্ণতা পাবে।’ (আনকোট) শুভময় হক-এর লেখায় এবং প্রথম আলো’র ইনডোর্সমেন্টে বাংলাদেশের মূলধারার কবি লেখকরা হইলেন – (কোট) ‘নির্মলেন্দূ গুণ, মঞ্জু সরকার, মঈনুল আহসান সাবের, ওয়াসি আহমেদ, নাসরীন জাহান, ব্রাত্য রাইসু, কামরুজ্জামান কামু, অদিতি ফাল্গুনীসহ আরো অনেকেই’। (আনকোট) ত, এই নামগুলি একইসাথে উচ্চারিত হইবার নিশ্চিতভাবেই একটা গুরুত্ব আছে, কিন্তু সেই প্ররোচনারে এইখানে ইগনোরই করা গেলো। কারণ আমার আগ্রহের জায়গাটা মূলধারা নিয়া।[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

এইখানে মূলধারার আইডেন্টিফিকেশনটাই জরুরি, তাদের ইনক্লুড করা বা না-করাটা ঘটনা না। কারণ জরুরি হইতেছে এই মূলধারার সাপেক্ষে একটা নতুন কিছু’রে ক্লেইম করা; মূলধারা যদি না থাকে তাইলে এই কাজকামের (হে ফেস্টিভ্যালের) কোন ভ্যালুই তৈরি হইতে পারে না। প্রতিদ্বন্দ্বী যত শক্তিশালী, পক্ষতা তত জরুরি। হে ফেস্টিভ্যাল তখনই একটা অবস্থান হইতে পারে যখন এর বিপরীতে বাংলাসাহিত্যের মূলধারা বইলা একটা কিছুর অস্তিত্ব থাকে। এই দুইটা পারস্পরিক ভিন্নতা বা বাইনারি দিয়া যে একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হইতেছে, সেইটা ভয়ংকর; যদ্দূর পর্যন্ত ভাবা যায় তার চাইতেও বেশি হওয়ার কথা। Continue reading

খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার পাবলিক ফোনালাপ

“ছোট একটা জায়গা, ছোট্ট একটা জায়গার মধ্যেই আমি ঘুরি।” – খালেদা জিয়া।

 

বাহুল্য-ই হইতেছে কবিতা। আমাদের কথাবার্তার ভিত্রে যেইসব কথা না-বললেও কোন সমস্যা নাই, অ-দরকারি; সেই জায়গাগুলারে আমরা কাব্য/কবিতা হিসাবে কনজিউম করতে পারি। এইটার আরেকটা প্রমাণ পাইলাম খালেদার জিয়ার কথাতে; যেইখানে তিনি বলতেছেন, “ছোট একটা জায়গা, ছোট্ট একটা জায়গার মধ্যেই আমি ঘুরি।” অডিওটা আমি শুনি নাই, যে অল্প একটু ট্রান্সক্রিপ্ট করা হইছে সেইটুকুই পড়ছি বাংলানিউজটুয়েন্টফোরডটকমে; যেহেতু পুরাটা শুনি নাই, শেখ হাসিনাও হয়তো এইরকমের অ-দরকারি কথা বা কাব্য/কবিতা বইলা থাকতে পারেন। Continue reading

অ্যা জার্নি বাই বাস

নারীর প্রতি নন-ভায়োলেন্স এবং একটা অ-পরিচয়ের ঘটনা

গত রোজার ঈদে বাড়ি যাওয়ার সময়ের ঘটনা। ৭০ কিমি’র রাস্তা। ঈদের দুইদিন আগে দুপুরের পরে মহাখালী থিকা বিআরটিসি’র এসি-বাস সার্ভিসের ঢাকা-কিশোরগঞ্জের একটা বাসে উঠছি, যাবো ভৈরবে। রাস্তা-ঘাট মোটামুটি ফাঁকা, কিন্তু বাসে মানুষ থইথই।

যেহেতু আমি একা, আমার খালি দেখা।

দেখলাম, স্কিনি একটা মেয়ে, জিনস-পড়া, ফতুয়া; কাঁধে ব্যাগ, কানে হেডফোন। আমার একটা রো পরে, বামপাশে বসলেন এবং আরেকটা সিট-দখল করলেন। কিছুক্ষণ পরে তার মোটা প্রেমিক আইসা বসলো। তেমন কোন কথা নাই। তবে বোঝা গেলো প্রেমিক ঢাকায় থাকেন বা থাকবেন, প্রেমিকারে নরসিংদীতে নামাইয়া দিতে আসছেন। অথবা এই ভ্রমণের নৈকট্য তারা চাইতেছেন। মেয়েটা ‘ভোকাল’ এবং বাস ছাড়তে যখন দেরি হইতেছে তখন তিনি কাউন্টারের লোকদেরকে ‘শুয়োরের বাচ্চা’ ডাকার এবং ‘থাপ্পর দেয়ার’ প্রস্তাব রাখতে পারছেন। উনার প্রেমিক, এতে সম্মতি দিছেন এবং এই ফিলটা দিছেন যে উনি এই ‘পরিকল্পনা’ বাস্তবায়ন করতে আগ্রহী। এই প্রেম, ভায়োলেন্স আমার ভালো লাগলো, কারণ আমি বাড়ি যাইতে চাই দ্রুত। কিন্তু আমি তখনো বুঝতে পারি নাই যে এইটাই একমাত্র ভায়োলেন্ট ঘটনা, নারী’র দিক থিকা। বাকি সব-ই পুরুষের নন-ভায়োলেন্স; এবং নিশ্চিতভাবেই ‘নারীর প্রতি সহিংসতা’ বন্ধের যে প্রচার তার কিছু মিনিমাম অ্যাচিভমেন্ট।

Continue reading

এই পর্যন্ত

স্কাই ইজ দ্য লিমিট ত অনেক হইছে। এইটা লোভ এখন, পুঁজিবাদের; রিসিশনের সময়ে। নিজের আকাঙ্খারে কন্ট্রোল করো। মাহমুদুল হক কইছিলেন না – প্রত্যাশাই পাপ। এইটুকুই। মানে, ভালবাসতে বাসতে এর নিচে আর নামা সম্ভব না। এখন তুমি আমারে ভালো না বাসো, করুণা কইরো না। কারণ এইটা ‘লাভ’ – এই পর্যন্তই। আর এই ‘লাভ’ পুঁজি’র আকাঙ্খা দিয়া ত কিছুটা বলা সম্ভব বা সে হয়তো তা-ই বলতে চায়, যেন বলা হয় নাই, এইরকম স্টেটমেন্টসহ।

Continue reading