অ্যাভারেজ কবিতা

 

দুর্জন কবি হইলেও পরিতাজ্য। – Jamil Ahammed

এই বিষয়ে বরং Underground সিনেমাটার একটা জায়গা কথা মনে করা যাইতে পারে; যেইখানে মার্কো, যিনি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরে টিটোর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হয়া উঠেন তার বন্ধুরে আন্ডারগ্রাউন্ডে লুকাইয়া রাইখা প্রচার করেন ‘বিপ্লবের শহীদ’ বইলা; তো একটা সময় তার সেই বিপ্লবী বন্ধু’র নামে কালচারাল সেন্টার ওপেন করতে গিয়া, একটা কবিতা পাঠ করেন। সিনেমার মধ্যে মার্কো হইলো গিয়া ‘দুর্জন’, যে কিনা আবার কবিতাও লিখে! কিন্তু আপনি যদি কাহিনির এই প্রেক্ষাপটরে বাদ দেন, কবিতাটারে পছন্দ না করার কোন কারণ নাই। খুবই আবেগী, প্রচলিত ধরণের অ্যাভারেজ একটা কবিতা। Continue reading

গার্মেন্টসের গ্রাম

সাভারের ঘটনা ব্যক্তি-মানুষ হিসাবে ডিল করাটা খুবই অসহায় একটা বিষয়; এক একটা জীবন, এক একটা মৃত্যু কি রকম যে,  আমাদের সমস্ত চিন্তার বাইরে এই অস্তিত্বময়তা, এই নিয়া কোন কথা-বলা আসলেই যে সম্ভব না তা না, কিন্তু সেইটা জীবন এবং মৃত্যু নিয়া একটা আলাপ…[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

তার বাইরে এই যে টিভিতে পত্রিকায় ফেসবুকে সারাক্ষণ একটা মাতম, দমবন্ধ করা অবস্থা; কি করবো আমরা? এই ধরণের একটা বিভীষিকা; যেইখানে পুরান-অবস্থা বাতিল হয়া যাইতেছে এবং সামনে নতুন বইলা নির্দিষ্ট কিছু নাই। এইরকম একটা অবস্থায় ‘ভবন’ বাদেও চিন্তার জায়গায় আরো কিছু প্রশ্নের ফাটল দেখা দিছে। খুব মাইনর যদিও, তারপরও বইলা রাখা যাইতে পারে।

প্রথমত, এই ঘটনার বিবেচনায় যে নৈতিক সাজেশনগুলা আসতেছে, সেই জায়গাটায়। এই সাজেশনগুলার প্যার্টানগুলা বিচ্ছিন্ন, মানে উনারা যে শলা-পরামর্শ কইরা এই একই ধরণের সাজেশনগুলা দিতেছেন, তা না; বরং বিভিন্ন উপায়ে, বিভিন্ন পদ্ধতিতে, বিভিন্ন লোকেশন থিকা অনেকে একটা জায়গাতেই আসতেছেন, সেইটা হইলো – ‘তোমরা গ্রাম থিকা আসছো, গ্রামে ফিরা যাও’; কয়েকটা উদাহারণ দেই।

Continue reading

ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফ

সকালবেলা একটা কলা আর বনরুটি কিইনা হাঁটতে হাঁটতে অফিসে যাইতেছেন একজন নারী; কাঁধে ব্যাগ, কিছুটা সংকোচ আছে যদিও। এই শহর – অপরিচিতের ভীড়, সেই সংকোচরে আর বাড়তে দেয় না। কলাটা ছিলাইতেছেন তিনি আর বনরুটির সাদা ক্রীম বাইর হয়া আছে একটু। এই দৃশ্যরে ইগনোর কইরা তিনি যেন হাঁইটা যাইতে পারেন এই শহরে, আরো অনেকদিন, অস্বস্তি ছাড়াই। হাঁটতে হাঁটতে রাস্তায় ব্রেকফাস্ট করা যায়, রাস্তায় ইফতারি করার মতো, রিকশায় যাইতে যাইতে সিংগারা দিয়া লাঞ্চ করার মতো। দুপুরে কোথাও বইসা খাওয়ার মতো সময়ের বিলাস ত অসম্ভব! এতো যে দৌড়, কই যাইতে চাই আমি? [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

 

দ্রুত হাঁইটা আইসা ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়াইছেন আরেকজন নারী, সুন্দর তিনি; ঘামতেছে তার কপাল, হাত দিয়া সরাইতেছেন চুল। মোটর সাইকেলের পিছনে জামাইয়ের বা ভাইয়ের কোমর ধইরা বসছেন যিনি, হাই তুলতেছেন, একটু। মনে করাইলেন, এখন সকাল হয়।

Continue reading

গুগল বাংলাদেশরে অভিনন্দন বাংলাদেশের কনজিউমারদের গুরুত্ব দেয়ার জন্য

গুগল বাংলাদেশরে অভিনন্দন বাংলাদেশের কনজিউমারদের গুরুত্ব দেয়ার জন্য।

২৬শে মার্চ উপলক্ষ্যে গুগল বাংলাদেশের ডুডল

২৬শে মার্চ উপলক্ষ্যে গুগল বাংলাদেশের ডুডল

 

কনজিউমার হিসাবে কেউ আমারে গুরুত্ব দিতে চাইলে সেইটা নিতে আমি অ-রাজি না। ধরেন, যেই ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর থিকা আমি সপ্তাহের বাজার করি সে আমারে ২% ছাড় দেয়, পাশে আরেকটা দোকান খুলছে বইলা। এখন এই ২% ছাড়ের ‘সম্মান’ না নেয়ার বিপ্লব করতে আমি রাজি না, কারণ ৩% দিলেই হয়তো বিপ্লবে ইস্তফা দিবো; চক্করটা এই জায়গাটাতেই – কনজিউমারিজমের ভিতরে। যখন আমি কনজিউমার, কোম্পানির দেয়া গুরুত্বরে আমি আমলে নিতে আগ্রহী।[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

আ্যাপল বা ফেইসবুক যে এখনো বাংলাদেশি শাখা খুলেন নাই, উনারাও এই ঘটনা থিকা উনাদের ব্যবসায়িক পজিশন রিথিংন্ক করতে পারেন।

 

চৈত্র ১২, ১৪১৯ (মার্চ ২৬, ২০১৩)

পূর্ববঙ্গের ভাষা, শনিবারের চিঠি এবং শ্রীনীরদচন্দ্র চৌধুরী

শনিবারের চিঠি নিয়া শ্রীনীরদচন্দ্র চৌধুরী কিছু কথা বলছেন উনার বই ‘আমার দেবোত্তর সম্পত্তি’তে। চ্যাপ্টারটার নাম “শনিবারের চিঠি’: অভিযান ও পরাজয়”। ১৯২৭ সন থিকা সম্ভবত ১৯৩২ সন পর্যন্ত উনি ‘শনিবারের চিঠি’র সাথে সম্পৃত্ত আছিলেন। সম্ভবত, কারণ শনিবারের চিঠি’তে ‘যোগ’ দেওয়ার সময়টার কথা উনি বলছেন ১৯২৭; কিন্তু আবার বলছেন যে, ১৯২২ সনের জুন মাসে উনি শনিবারের চিঠি ছাইড়া দেন; এইখানে ১৯২২ সম্ভবত প্রিণ্টিং মিসটেক, কারণ ১৯২২ সালে শনিবারের চিঠি’র প্রকাশ শুরু হয় নাই, এইটা ১৯৩২ হওয়ার কথা। [ref] শনিবারের চিঠি’র কিছু সংখ্যা পাওয়া যায় পশ্চিমবাংলার পাবলিক লাইব্রেরীর একটা ওয়েবসাইটে (http://dspace.wbpublibnet.gov.in)। সেইখানে রাখা সংখ্যাগুলার হিসাব মতে, শনিবারের চিঠি’র প্রকাশ শুরু হয় ১৯২৭ সালেই (বাংলা ১৩৩৫ সন) এবং বর্ষ ২২ পর্যন্ত সংখ্যা আছে। পত্রিকার সংখ্যাগুলাতে সম্পাদকের নাম উল্লেখ নাই। [/ref]

উনার বলার জায়গাটা বেশ ছোট, কিন্তু বাংলাসাহিত্যে ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটা স্টেটমেন্ট এইখানে আছে। উনি বলছেন যে, শনিবারের চিঠিতে উনি যোগ দিছিলেন একটা আদর্শ থিকা, খামকা ‘সাহিত্যিক দলাদলি’র রেজাল্ট ছিল না এই পত্রিকা। [ref]“আমরা যে একটা সাহিত্যিক অভিযান শুরু করিয়াছিলাম তাহা সাহিত্যিক দলাদলি হইতে নয়।” [/ref] মানে, সাহিত্যে যে দলাদলি হয় এর একটা স্বীকার আছে, উনার কথায়। আর সাহিত্যিক দলাদলি এবং এসথেটিক্যাল কোলাবোরেশ যে দুই ব্যাপার এইটাও আছে। প্রায় সব সাহিত্যিকদের কথা-বার্তাতেই এইটা নিয়া কথা থাকে না, মানে শ্রীনীরদচন্দ্র চৌধুরীরে ‘সাহিত্যিক’ মর্যাদা দিতে আমার কোন সমস্যা নাই! Continue reading