অ্যাভারেজ কবিতা

 

দুর্জন কবি হইলেও পরিতাজ্য। – Jamil Ahammed

এই বিষয়ে বরং Underground সিনেমাটার একটা জায়গা কথা মনে করা যাইতে পারে; যেইখানে মার্কো, যিনি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরে টিটোর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হয়া উঠেন তার বন্ধুরে আন্ডারগ্রাউন্ডে লুকাইয়া রাইখা প্রচার করেন ‘বিপ্লবের শহীদ’ বইলা; তো একটা সময় তার সেই বিপ্লবী বন্ধু’র নামে কালচারাল সেন্টার ওপেন করতে গিয়া, একটা কবিতা পাঠ করেন। সিনেমার মধ্যে মার্কো হইলো গিয়া ‘দুর্জন’, যে কিনা আবার কবিতাও লিখে! কিন্তু আপনি যদি কাহিনির এই প্রেক্ষাপটরে বাদ দেন, কবিতাটারে পছন্দ না করার কোন কারণ নাই। খুবই আবেগী, প্রচলিত ধরণের অ্যাভারেজ একটা কবিতা। Continue reading

‘আলোচনায় প্রবৃত্ত’ হওয়া বিষয়ে

একটা স্ট্যাটাসে (http://web.facebook.com/imrul.hassan/posts/10150227887597093) আলাপ করতে গিয়া মজনু শাহ ‘আলোচনায় প্রবৃত্ত’ হওয়া/না-হওয়া বিষয়ে উনার অবস্থান জানাইছেন আর আমার কাছেও আমার অবস্থানটা জানতে চাইছেন। আমার মনে হইছে, আরেকটা কমেন্ট না কইরা একটু গুছাইয়া উত্তর করতে পারলে ভালো হয়। নিজের অবস্থানটা হয়তো আরো বিস্তারিত করা যাইবো, ফরম্যাটের কারণেই।

মজনু শাহ’র কমেন্ট থিকাই মনে হইতে পারে যে, ‘আলোচনায় প্রবৃত্ত’ হওয়া বিষয়ে আমাদের পরস্পর-বিরোধী অবস্থান আছে। ‘বিরোধ’ একটা আছে, কিন্তু সেইটা যতোটা না ‘আলোচনা’র জায়গাতে, তার চাইতে ‘আলোচনা’ থিকা আমরা কি ‘প্রত্যাশা’ করি, সেই জায়গাটাতে।

 

‘আলোচনা’ কেন করতে চাই?

মজনু শাহ’র মূল যে অ্যাজামশন সেইটা হইলো: আলোচনা আমরা করি জানার জন্য, কিন্তু এইভাবে জানতে গেলে সময় নষ্ট হয়, এর চাইতে এই বিষয়ে পড়াশোনা কইরা আরো ভালোভাবে জানতে পারি। এই ভাবনার সাথে আমার দ্বিমতটা হইলো, শুধুমাত্র জানার জন্যই ‘আলোচনায় প্রবৃত্ত’ হই না আমি। পলিমিকস বিষয়ে ফুকো’র একটা মতামত অনেক আগে থিকাই আমি সাবস্ক্রাইব করি। মানে, জানার জন্য আলোচনা কোন পজিটিভ উপায় কিনা সেই জায়গাটাতে আমার সন্দেহ আছে। তাইলে কেন আমি আলোচনা করি বা করতে চাই? Continue reading