নভেম্বর ১৬, ২০২২
ঘটনা এইটা না যে, খালি রিজার্ভ নিয়া এই অবৈধ-সরকার মিছা-কথা বলছে, বরং অন্য অনেক কিছু নিয়াই মিছা-কথা বলছে, আর বইলা যাইতেছে।
এখন কিছু ‘যুক্তিবাদী’ আছে, যারা কয়, আপনি কি মিছা-কথা কন না? কোন গর্ভমেন্ট কি মিছা-কথা কয় না? এই বলদ’দের চোখে ঠুলি-পড়া। এরা বাকশাল ছাড়া কোন ‘বিকল্প’ দেখে না। এদেরকে ‘যুক্তি’ দিয়া বুঝানোর কিছু নাই। কারণ যুক্তিরও একটা কনটেক্সট লাগে, এরা কনটেক্সটারেই ম্যানিপুলেট করে।
দুনিয়ার কোন দেশে ২০১৮ সালের মতো রাতের-ভোটের ইলেকশন হয় নাই। এইটা দুনিয়ার ডেমোক্রেসির হিস্ট্রিতে সবচে জঘন্য ঘটনাগুলার একটা। ২০১৮ সালের ইলেকশন নিয়া যেই মিছা-কথাটারে এস্টাবলিশড করা হইছে, না-বলার ভিতরে রাখা হইছে, সেইটা হইতেছে এখনকার সব মিছা-কথাগুলার গোড়া।
যতদিন না পর্যন্ত বাকশালি-মিডিয়া এইটা নিয়া খোলাখুলি কথা বলতে পারবে, ততদিন পর্যন্ত বাকি সব মিছা-কথাগুলারে ব্যাক-আপই দিয়া যাইতে হবে তাদেরকে। আর কম-বেশি এই কাজটাই করতেছে বাকশালি-মিডিয়াগুলা।
আর বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়াও যারা কথা কইতেছেন, তাদেরকে ২০১৮ সালের ইলেকশন নামের ভাওতাবাজি নিয়া স্পষ্ট কইরা, বারবার কথা বইলা যাইতে হবে। কারণ এইটা হইতেছে, কোর ঘটনাটা, যেইখান থিকা এখনকার মিছা-কথার কনটেক্সট’টারে তৈরি করা হইছে। ২০১৮ সালের ইলেকশনরে জায়গাটারে এক্সপোজ না কইরা এই মিছা-কথার জায়গাগুলারে কখনোই বাতিল করা পসিবল হবে না। এই বুঝ’টা জরুরি।
নভেম্বর ১৭, ২০২২
চোরের সাক্ষী বাটপার। আর নয়া বাকশালের সাক্ষী হইতেছে পরথম আলো, ডেইলি স্টার।
এই কথাটা নতুন কইরা মনে হইলো ডেইলি স্টারের আজকের নিউজ দেইখা, ডলারের হিসাব নিয়া। এখন এইসব হিসাব তো মোটামুটি ভ্যালুলেস। কারণ আপনার কাছে ২৭ বিলিয়ন ডলার আছে, কিন্তু তেল কেনার টাকা নাই, এলসি’র পেমেন্ট দিতে পারেন না, আমদানি করতে দেন না, এমনকি এডুকেশন ফি-ও দিতে দিতেছেন না স্টুডেন্টদের! মানে, আমার পকেট-ভর্তি ডলার, কিন্তু ভাত-খাওয়ার উপায় নাই! এইটা কেমনে সম্ভব!
২০১৮ সালের ইলেকশনের পরেও আই-ওয়াশের বা ভাওতাবাজির ন্যারেটিভ তৈরির কাজটাও উনারাই করছিলেন। ডেইলি স্টারের আজকের রিপোর্ট’টা দেইখা অই জিনিসটা মনে হইলো। যে, আমরা তো অথেনটিক সোর্স থিকা ডেটা দিতেছি! হিসাবও মিলায়া দিতেছি! মানে, কাজির গরু যে খাতায় লেখা আছে, অই কাজটা উনারা অনেক দিন আগে থিকাই নিষ্ঠার সাথে করে যাইতেছেন।