কবিতা: জুন, ২০১৭

লাস্ট ক্যাকটাস

অহেতুক একটা
ইল্যুশনের মতোন
পইড়া আছি আমি
রিয়ালিটির দরজার পাশে
তোমার

বলবা তুমি,
মরা ক্যাকটাস
ফেলে যাবো এরে,
নিয়া গিয়া কি লাভ!
কই রাখবো এরে?
কেন নিবো? হোয়াই?

অহেতুক একটা
ক্যাকটাসের মতোন
হারায়া গেছি আমি
দেখার দুনিয়া থিকা
তোমার

 

ব্রেকাপ

নদীর পাড়ে, ভিজা মাটিতে
তোমার নাম লিইখা রাখি
তারপর তাকায়া থাকি
তোমারে দেখি

জোয়ারের পানিতে ভাইসা গেলা যখন
তখন হয়া রইলা পানি পানি

তুমি কইলা, জল
আনিতে আমি আর যাবো না
যমুনা’তে

Continue reading

মুর্হূত আর স্মৃতিগুলি – ২০১৬

—————————

।। আমরা না আমরা ।। হ্যামলেট ।। ঞমপজদ ।। শেয়ালের লেজের মতোন এক নিরবতার কাছে ।। মেমোরি ।। বিভিন্ন বাণী ।। পাখি গান গাইতেছিলেন ।। আমার কথা ।। মোতিঝিল ।। ওয়ান লাইনার ।। অভাব ।। ইট বিছানো রাস্তা ।। পি.জি. হসপিটাল ।। হোলস ।। অনেক ট্রাই করার পরে ।। হাজারো খায়েশি অ্যায়সি… ।।  রেইন, রেইন ।। সুগার কেইন ।। ফ্যামিলি ।। ইলাসট্রেশন ।। পুরানা দিনের গান ।। ইল্যুশন ।। শরত হইলো আরেকটা বসন্ত, একটু লাউড আর কি… ।। ভাষা আন্দোলন ।। সকাল নয়টার রইদ, শরতের ।। শরতের বাতাসে যেই মিথ্যা কথাগুলি আসে ।। কাউন্টারফিটের ভাবনা ।। ইগো ।। একটা ভয়েড আসে ।। ইউ আর মাই সানশাইন ।। চোরের কাহিনি ।। জানা ।। গান, শহর, শীত, সন্ধ্যা ।।  নিয়ার ফিউচার ।। টেক্সচুয়াল ।। মন-পাখি।। নভেম্বরের সন্ধ্যা ।। মর্হূত আর স্মৃতিগুলি ।।

—————————

 

 আমরা না আমরা

‘পরকালে তুমি আমাদের হইও’
পরকালে তুমি থাকবা ত?
মানে, পরকাল তো আছে একটা, তাই না?
তুমি আর তোমার পরকাল থাইকো কিন্তু…
তখন আমরা না আমরা আমরাই থাকবো
আর কাউরে দেখবো না
আর যেহেতু দেখবো না
অরা নাই, আমরাই থাইকা যাবো তখন
আমরা আর আমরা
মানে, আমি-ই তো
আমি আর তুমি যেই আমরা, তারা;
সেইরকম হবে ব্যাপারটা, বুঝছো…
ফিউচাররে ঠেলা দিয়া পরকালে
নিয়া যাবো আমরা…
পরকালেও দেইখো থাকবো কিন্তু আমরা,
ঠিকাছে না? হুমম…

 

Continue reading

লাস্ট ক্যাকটাস

কবিতাগুলি সার্টেন একটা রিয়ালিটি’রে বা ফ্যাক্টগুলিরে পাশ কাটাইতে গিয়া লেখা হইছিলো মনেহয়। মানে, ফ্যাক্টগুলি যে এগজিস্ট করে না  – তা তো না। ইন ফ্যাক্ট, ফ্যাক্ট বইলা যা কিছু আছে তারে আর মানতে ইচ্ছা করে না তো সবসময়। এইরকম কিছু ছিলো মনেহয়। যার ফলে, ‘মিথ্যা’ একটা ব্যাপার খুবই ইমবেডেড হইয়া আছে, এইখানে। মিথ্যাগুলি তো আছেই। একটা ফোঁটা মিথ্যারে অনেক অনেক সত্যি দিয়াও কাভার করা যাইতেছে না – এইরকম হইতে পারে মনেহয়।

———————————————————

সাংগ্রি-লা ।। ওয়েটিং ।।  if if if ।।  ইনসমনিয়া ।। কনফিউশন ।।  দুপুরের পরে ।।  অনেক অনেক দিন ।। টাইম মেশিন ।। এরিয়েল ।। তোমার অন্য নাম ।। বসন্ত ।। ভঙ্গিমাগুলিই তো গান ।। ভোরের বাতাস ।। পানি আর জল ।। ‘চুপ থাকো’ ।। দুইটা পাথর ।। রিকশাওলা ।। ইন রিয়ালিটি ।। শাহেরজাদী ।। মেমোরি ।। কৃষ্ণচূড়া ।। তালগাছ ।। ফ্রি বার্ড ।। লাস্ট ক্যাকটাস ।। যে কোন কিছুই ।।

——————————————————
লেখার সময়: সেপ্টেম্বর, ২০১৬ – জুন, ২০১৭।
——————————————————-

সাংগ্রিলা

কতগুলি কাক
চড়ুই
সন্ধ্যার আকাশে

গাছে গাছে

একটা গাড়ির পিছনে আরেকটা গাড়িই আছে

হর্ণ দিতে দিতে পাগল হয়া যাবে সবাই
পাগল তবু হর্ণ-ই দিতেছে

সন্ধ্যার গ্রে আকাশে

কতগুলি কাক
আর
চড়ুই

উড়ে যাইতেছে

গাছে গাছে

একটা ব্রীজের গোড়ায়

মাঝখানে

কালো পানিগুলি ঝাপসা হয়া আসতেছে

জায়গাটা ধানমন্ডি বলে সুন্দরও লাগতেছে

নতুন মসজিদের মিনার

নতুন নতুন আলো

জাদুঘরের রোডে

হাঁটতে হাঁটতে
হাঁটতে হাঁটতে

একটা নিরবতার ভিতর দিয়া আরো একটা নিরবতার কাছেই তো যাইতে চাইতেছে…

 

ওয়েটিং

আমরা কি বসে থেকে থেকে বইসাই থাকবো না?

 

if if if

মনের বাঘ দেখাই আমি তোমারে।
বলি, মনে যে আছে সে বনে-ই আছে।

তুমি বললা, ভালোই তো ইমাজিনেশন আপনের।

Continue reading

‘ধান কাটা হয়ে গেলে পরে…’

ধান কাটা হয়ে গেছে কবে যেন — ক্ষেত মাঠে পড়ে আছে খড়
পাতা কুটো ভাঙা ডিম — সাপের খোলস নীড় শীত।
এই সব উৎরায়ে ওইখানে মাঠের ভিতর
ঘুমাতেছে কয়েকটি পরিচিত লোক আজ — কেমন নিবিড়।

ওইখানে একজন শুয়ে আছে — দিনরাত দেখা হত কত কত দিন
হৃদয়ের খেলা নিয়ে তার কাছে করেছি যে কত অপরাধ;
শান্তি তবু: গভীর সবুজ ঘাস ঘাসের ফড়িং
আজ ঢেকে আছে তার চিন্তা আর জিজ্ঞাসার অন্ধকার স্বাদ।
 

 /ধান কাটা হয়ে গেছে, জীবনানন্দ দাশ

 ————————————————————-

 ———————————————————
লেখার টাইম: ডিসেম্বর, ২০১৪ – ডিসেম্বর, ২০১৫।
 ———————————————————-

 

 ধান কাটা হয়ে গেলে পরে…’

অর্গি ইজ মিস্টিরিয়াস
ধানের খেতের পাশে, ধান কাটা হয়ে গেলে পরে

পাশে রাখা আঁটিগুলা একটা আরেকটার গায়ের উপ্রে
আগে, পিছে, উপ্রে আর নিচে,
পইড়া আছে

কোন বডি ফিলিংস নাই আর
অর্গান খুলে রাইখা নেতাইয়া শুইয়া আছে

ধান-কাটা হয়া গেছে বইলা?
ধানের খেতের পাশে; সন্ধ্যাবেলায়, হেমন্তে…

 

একটা বিড়াল

একটা বিড়াল আসছে আমার কাছে
আমার বুকে শুয়ে শুয়ে
আকাশের দিকে তাকায়া আছে…

একটা বিড়াল তার বাঘ হওয়ার প্রতিভা নিয়া
আমার বুকের ‘পরে শুইয়া আছে।

 

স্বপ্ন-মধুর-মোহে

আমি তোমার কাছে রাখলাম অবিশ্বাস। তুমি বললা, স্বপ্নগুলা আমি লিইখাই ফেলি তাইলে। আমি দেখছিলাম বিল্ডিংটা ধসে গেছে; লিফটের ভিতরে আটকাইয়া না থাকতে পাইরা আমি চইলা আসছি খোলা মাঠে; শুয়া আছি, রিফিউজি ক্যাম্পে, নীল কম্বলের নিচে। আশেপাশে অনেক মানুষ; ঘুরাফিরা করে, চানাচুর খায়, বেচে; উদ্ধারকাজ দেখে। তোমারে পাই না তখোন তোমার স্বপ্নে আর। ঘাসে ঘাসে কুয়াশার ফুস্কুরি।

Continue reading

মিথ্যাবাদী রাখাল

 

মিথ্যেবাদী রাখাল

আর কে-ই বা আছে ভেড়ার রাখাল!

যখন প্রতিতুলনার ঘোড়ার দৌড়ে অংশ নিতে
চলে যেতে থাকলো সবাই, আমি ম্রিয়মাণ ছায়ায়
দাঁড়াই, তোমার অপেক্ষা করি, ভেড়াদের চলাচল দেখি
ভাবি, কখন তুমি হঠাৎ-ই দেখা দিবা তেপান্তরের টিলায়

যে মিথ্যাবাদী, যে রাখাল, তার লাগি তো অপেক্ষাই খালি!

২০০৮

 

মিথ্যাবাদী রাখাল

গো গো গোকূল তুমি
বাড়িছো যে!

আমারে যে খাইতে আসবে বাঘ
সে কই? ঘুমায়ে গেছে?

০৫.০৮.২০১৪

 

মিথ্যাবাদী রাখাল

আমার প্লে লিস্ট ভরে যাইতেছে তোমার গানে।
ভ্যালিতে ভেড়াগুলি কাঁপতেছে শীতে।

কুয়াশার মতো আমাদের মনে
গানগুলি বাজতেছে
পোঁ পোঁ পোঁ, স্কটিশ বাঁশির সুরে।

একটা ভেড়ার গোঙানি, দূরে

ভাবতেছি, তার গলা কামড় দিয়া ধইরা আছে বাঘ, রক্ত পড়তেছে…

অথবা আমি ঘুমায়া পড়ছি
সন্ধ্যার আগে;

বাঘ আইসা বলতেছে, ‘কি ব্যাপার, আবার স্বপ্ন দেখতেছো নাকি তুমি, আমারে?’

১৫.১২.২০১৬

Continue reading