এই সিরিজটার নাম হইতে পারতো – পুরুষের প্রেম বা অন্য আরো অনেককিছুই। এই টানাগদ্যের ফর্মটাও অনেক কমন একটা ন্যারেটিভ ফর্ম আর সাবজেক্টটাও – না-পাওয়া প্রেম [প্রেম পাওয়া যায়, এই ব্যাপারটাই কি রকম না! এইখানে গরুর (ইদানিং অ্যাট একচুয়াল লিখতে গিয়া লিখে – গাভী’র) দুধের চা পাওয়া যায়’র মতোন]।
তো, আমি হয়তো ভাবছিলাম যে, একটাকিছু ইনসার্ট করতে পারবো, কিছু একটা কি হবে না? – আমি লিখলে? হয় নাই আসলে। এই রায় আমি-ই দিতে চাই। কমপ্লিটও হয় নাই পুরা সার্কেলটা, লেখার। সিরিয়ালটাও হয়তো ঠিক করা লাগবে। কিন্তু অনেক তো হইছে আসলে। ২০১৩-তে শুরু করছিলাম, ২০১৪-তেই লেখা মোস্টলি, তারপরে ২০১৫ আর ২০১৬-তেও লিখা হইছে কয়েকটা। তো, লিখছি যেহেতু থাকলো, একটা জায়গায়। এর বেশি কোনকিছু না।
————————-
————————-
মারা-যাওয়া
মরণ হইলো যখন কেউ আর আমারে নাম নিয়া ডাকবো না। কেউ আর ভাববো না আমার কথা। দশ ফুট মাটির নিচে চলে গেছি আমি তখন। উপ্রে অহেতুক গাবগাছ, পাতা তার দুলতেছে বাতাসে। ফকিন্নি বেটি একটা বইসা আছে বাচ্চা কোলে, তার পাশে। রেলস্টেশন থিকা একটু দূরে। মালের গাড়ির ট্রেইন কয়েকটা বগি নিয়া দাঁড়াইয়া আছে। যাবে নাকি যাবে আরো পরে, ভাবতেছে সে। মরণের পরে একটা অচেনা স্টেশনের কাছাকাছি জেগে ওঠতে চাইতেছে আমার আত্মা। জামাইয়ের ঘর থিকা পালাইয়া শি কি আসছে আর থাকতে আছে এইরকম একটা জায়গায়? নাকি অন্য কোন দেশে মাইগ্রেট কইরা গেছে? সুপারশপে কাজ করে আর ভাবে জীবন পইড়া আছে দূর কোন মফস্বলে, রেলস্টেশনের পাশে। অথবা থাকে ঢাকাতেই, নিজের বাসার ড্রয়িংরুমে পারিবারিক ফটো অ্যালবামে বইসা ভাবতেছে, মরে-যাওয়া কি আর এমন ব্যাপার, কবিতার ভিত্রেও ত মাইনষে লেখে – শান্ত, সমাহিত। মারা গেছি আমরা আসলে। আর মরে-যাওয়া স্মৃতিগুলি জেগে উঠতে চাইতেছে আবার, এই এতদিন পরে; আনফুলফিল্ড কোন ফ্যাণ্টাসি হইয়া।
শি-পাখি
আমি তোমার জন্য উঠে দাঁড়াইছি, হাঁটাহাঁটি করতেছি। আমি জানি তুমি দেখতেছো আমারে, কিন্তু এই দেখার ভিতর দিয়া তুমি কি এচিভ করো? খালি কিছু কল্পনা, মন-খারাপ করার? এইগুলার লাইগা তুমি চাও আমি বাঁইচা থাকি? হাঁটহাঁটি করি, তারপর একদিন তুমি ইগনোর করা শুরু করতে পারো? হাঁটতে হাঁটতেই আমি ভাবি, যদি আমি আর কোন অস্তিত্বেই না-থাকি, একলা পাখি থাকতে থাকতে উড়ে গেছি, নাই; আমার খাঁচা নিয়া তুমি বসে আছো; আর ভাবতেছো, হাঁটতেছি কোন বন্ধ-হয়ে-যাওয়া জুটমিলে, কলোনির দুইতলা বিল্ডিংয়ের সামনের রাস্তায়, বিকালবেলায়; এমনিতেই। আমি আর আমি নাই। যা আছি সে ত তুমিই। কিরকম ভারনারেবল অবস্থা আমাদের, তুমি দেখো!
শি-পাখি তুমি ওইড়া যাইয়ো না, এত তাড়াতাড়ি।
ডানা মুড়ে বসে থাকে বিকালের রোদ। হাঁটতে হাঁটতে চলে যাচ্ছে সে ও। তারে ধরে রাখি আমি, শি’র গালের কমলা রং-য়ে, কাঁপতে-থাকা কিশোরের থতমত চুমার দাগে। Continue reading