উদাসি শিয়ালদের কবিতা
“আমরা তোমাদেরকে সিকিওরিটি দিতেছি,
তোমাদের উন্নয়ন করতেছি,
আর কি চাও তোমরা!”
মুর্গিগুলারে বুঝাইতেছে কয়েকটা শিয়াল,
আর বলতেছে, “এতো অকৃতজ্ঞ কেনো তোমরা!”
আগে তো লেখতা – “দেশ আমার, দোষ আমার”
এখন এইরকম কালচারাল এক্টিভিটিসও দেখি না!
“না, মুর্গিগুলা আর মানুশ হইলো না’ – এইরকম উদাস
হয়া কবিতা লেখতে বসলো আবার, শিয়ালগুলা
শামসুর রাহমান
ক্রিঞ্জ হিউমারগুলা পার হয়া আসো
সিউডো তর্কগুলা পার হয়া আসো
আসো পারসোনাল পার্ভাটনেস নিয়া তোমার
বোরিং ইন্টেলেকচুয়ালিটি পার হয়া আসো
স্মুথ সেলিব্রেটি গেইমগুলা পার হয়া আসো
আসো লুসিড মেলানকলিয়া নিয়া তোমার
আর যদি তুমি হারায়া যাও
ক্রিঞ্জ, সিউডো, বোরিং, স্মুথনেসের ভিতর
মনে রেখো, আমিও ছিলাম, তোমার এই না-থাকায়
আমার একটু তাড়াহুড়া আছে
অনেকেই বলেন, তাদের কোন তাড়াহুড়া নাই,
কোন কিছু তারা এচিভ করতে চান না, লাইফ যেমনে চলতেছে,
যেইভাবে চলতেছে, চলে যাইতেছে তো… কিন্তু আমার একটু তাড়াহুড়া
আছে, কিছু কাজ আমার আছে, যা আমি করতে চাই
আমার এই আন্দাজও আছে যে, যা কিছু আমি করতে চাইতেছি
তার সবকিছু আমি না করতে পারলেও এর একটা মিনিং
তৈরি হইতে থাকবে, কাজগুলা শেষ না হইলেও এর শেইপটা
তার মতো তৈরি হইতে থাকবে, ইনকমপ্লিটনেসগুলা টের
পাওয়া যাবে, তারপরও কাজগুলা যে আমি করতে চাই
– এই একটু তাড়াহুড়া আমার আছে, থাকাটা দরকারি বইলাও
মনে করি আমি যে, বাঁইচা থাকতে হইলে কিছু কাজ করা লাগবে
না খালি, কিছু কাজ করার জন্যও বাঁইচা থাকাটা দরকারি
এইগুলা করা বা না-করার লগে কোনকিছু এচিভ করার বা
না-করার কোন রিলেশন নাই, কিন্তু একটু তাড়াহুড়া আমার
আছে, আর সামহাও থাকাটাও দরকারি… কিন্তু আমি এইটাও
বিলিভ করি, আমার কপালে কি লেখা আছে আমি জানি না,
দেখা গেলো, যেই কাজটা আমি করতে পারলাম না, সেইটা
আরো ভালোভাবে কেউ কইরা ফেললো, বা না-করাটাই ভালো;
মানে, আমি তো জানি না, কিন্তু আমি ভাবি যে আমার কিছু
কাজ আছে, আর এর জন্য একটু তাড়াহুড়াও আছে আমার
যাদের কোনকিছুই করার নাই – সেই শান্ত-শিষ্ট নদীর পাড়
থিকাও আমি একটু দূরে থাকতে চাই, যেন আমি একটা কিছু
করতেছি, একটা কিছু করতে করতে আমি ওয়েট করতেছি,
আমাদের-কোন-তাড়াহুড়া-নাই’রা যেইরকম তাড়াহুড়াদের দেখতেছে
নিজেদের ব্যাপারে খুশি হইতে পারতেছে – অই খুশিটারে আমি
এড়ায়া গিয়া আমারে বুঝাইতেছি, কয়েকটা কাজ তো আছে আমার
কয়েকটা কাজ তো কইরা যাওয়া লাগবে আমারে, তাই না?
Continue reading →