দুপুরের রইদ
“writing this letter is like putting a note in a bottle
– and hoping, it will reach Japan”
কি সুন্দর রইদ!
মরা পাতাগুলা কড় কড় করে উঠতেছে,
তেলে-ভাজা পুরি’র মতন, হলুদ-ব্রাউন;
আর বাতাসে নিজে নিজেই উল্টাইতেছে
গড়াগড়ি করতেছে, তড়পাইতেছে
রাস্তায় উড়ে উড়ে বেড়াইতেছে
বেনামি কোন চিঠির মতন, কার কাছে যাবে?
কার কাছে যে যাবে…
শীত চইলা যাওয়ার পর
শীত চইলা যাওয়ার কয়দিন পর থিকাই মনেহয়, বৃষ্টি কখোন নামবে! বৃষ্টি নামতে থাকলে কয়দিন পরে মনেহয় এই ঘোলা ঘোলা প্যাঁক-কাদার দিনগুলা কবে শেষ হবে! কখোন রইদ উঠবে, ঝলমল কইরা। রইদ উঠলে পরে ঘামতে ঘামতে এক সময় মনেহয় কবে শেষ হবে এই গরমের দিন! কুয়াশার নরোম দিন আবার কবে আসবে! ভাবতে না ভাবতেই তখন শীত চইলা আসে। তারপরে মনেহয়, শীত’টা শেষ হয় না কেনো! শীতও শেষ হয়। শেষ হয় জীবনের দিনও, এই ঘুরা-ফিরা, একটা সময়।
কোনকিছু আছে বইলা থাকে না, কোনকিছু নাই বইলা ফিরা আসে না, সবসময়।
গরম সিঙারা
গরম সিঙারার মতন তিনকোণা একটা দুপুর
তেরছা কইরা তাকায়া আছে আমার দিকে
জিগাইতেছে, তুমি কে? শাহবাগী? নাকি যুদ্ধাপরাধী?
বৃষ্টি
বৃষ্টি আসলে সব পাতারা ভাইসা যাবে
বৃষ্টি আসার পরে আমরা তাকায় থাকবো জানালা দিয়া বাইরের দিকে,
বৃষ্টিতে গাছগুলা ভিজবে,
কয়েকটা কাক বইসা থাকবে ইলেকট্রিকের তারে,
শুয়ে শুয়ে বৃষ্টির শব্দ শুনতে শুনতে আমাদের মনে হবে,
বৃষ্টি যেন পড়তেছে কোন টিনের চালে
বৃষ্টি যেন পড়তেছে কোন সাউন্ড-প্রুফ কাঁচের দেয়ালের বাইরে,
আর আমাদের আত্মা জেগে উঠতে চাইতেছে
পুরান সব কথা, পুরান সব গানের সুর পার হয়া
একটা নিরবতার কাছে;
যেন বলতেছি মনে মনে
একজন আরেকজনরে আমরা, দেখো,
বৃষ্টি পড়তেছে!
আর সেই নিরবতার ভিতর ভিজে যাইতেছে,
বাতিল হয়া যাওয়া মালগাড়ির ওয়াগনের মতন
লক্কর-ঝক্কর আমাদের লোহার আত্মাগুলি…