নোটস: অক্টোবর, ২০২১ [পার্ট ৩]

অক্টোবর ২১, ২০২১

কয়দিন আগে বলছিলাম, নয়া বাকশাল টিইকা থাকে, অপারেট করে একটা ‘গৃহপালিত বিরোধীদল’, বি-টিম বা কিংস পার্টিগুলা দিয়া ‘প্রতিবাদ’ করানোর ভিতর দিয়া। (পোস্ট’টা পাইলে কমেন্টে লিংক দিতেছি, পরে।)

এই কারণে আমরা যারা ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশ চাই, আমাদের কাজ কোনটা ‘অরিজিনাল’ বিরোধীদল সেই সার্টিফিকেট দেয়া না; বরং যে কোন পলিটিক্যাল ন্যারেটিভ, যেইটা বাকশালি জুলুমরে আন-কোশ্চেনড রাখে, ইনডেমনিটি বা দায়মুক্তি দেয়, তার একক ক্ষমতার জায়গাটারে শক্তিশালী কইরা তুলতে থাকে, সেইসব জায়গাগুলারে লোকেট করা।

আর আমি মনে করি, এই কাজ কাউরে পারসোনালি শয়তান বানায়া (যেইটা আসলে বাকশালি তরিকা), গালি-গালাজ কইরা, পুপলারিটির জায়গা থিকা করা যাবে না। (ব্যাপারটা নরম-কোমল সাপের মতন ‘অহিংস’ হওয়ার ঘটনা না।…)

নন-ইমোশনাল বা নন-এনগেইজিং কোন ঘটনা না, ফ্যাশনেবল একসাইটিং কোন বিপ্লব করা না, বরং খুবই ফোকাসড, একটানা (অনেকটা একজন রাইটারের লেখতে থাকার মতো), বোরিং পলিটিক্যাল একটা কাজ।

(আরেকটা জিনিস হইতেছে, কন্সপিরেসি থিওরি যদি সত্যিও হয় সেইটা কন্সপিরেসি থিওরি-ই, পলিটিক্স না – এই সত্যি কথাটাও আমাদেরকে বুঝতে পারতে হবে। যে কোন রাজনৈতিক চিন্তা পিপল’রে এর সেন্টার পয়েন্ট কইরা তুলতে পারে না, সেইটা পলিটিক্স হয়া উঠতে পারে না। দিনের পর দিন পলিটিক্সরে যে আমরা কন্সপিরেসি থিওরির ভিতরে রিডিউস কইরা আসতেছি, আজকের রাজনীতি-শূন্যতা অই ইন্টেলেকচুয়ালিটিরও রেজাল্ট একটা।…)

#########

এনজিও কি ভালো? এই নিয়া কিছু কনফিউশন আছে। উত্তরগুলাও আমার ধারণা মিডল-গ্রাউন্ডেই আসে বেশিরভাগ সময়। যে, গরিবের রক্ত শুইষা খায়, ঘরবাড়ির টিনের চাল খুইলা নিয়া যায় এর এগেনেস্টে না, ইকনোমিক কন্ট্রিবিউশন তো কিছু আছেই। বা এনজিও না থাকলে হিউম্যান ওয়েলফেয়ার, বেসিক হেলথকেয়ার এতদূর পর্যন্ত আগাইতে পারতো না। মেয়েদেরকে নিয়া বাড়াবাড়ি ভার্সেস উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট তর্ক থাকলেও ইস্যু হিসাবে আলাপের জিনিস হয়া উঠতে পারতো না এতোটা। এইরকমের একটা অবস্থা।

তো, এইরকমের জায়গা থিকা দেখাটা হইতেছে ইমপ্যাক্টের বেসিসে এক্ট’রে সার্পোট করা বা না-করা। (এইখানে চায়নার আফিমের কথা মনে হইলো ১৮’শ শতকের; যে ট্যাক্স তো আইতেছে, লিগালাইজ করতে কি সমস্যা!) তো, এইটা একটা বিচার অবশ্যই, কিন্তু এইটাই একমাত্র বিচার হইতে পারে না।

বাংলাদেশে এনজিও’র পলিটিক্যাল কন্ট্রিবিউশন হইতেছে, যে কোন সোশ্যাল কজ’রে তার পলিটিক্যাল রুট থিকা বিচ্ছিন্ন করতে পারা। ধরেন, লোকজন খাইতে পাইতেছেন না, এইটার প্রাইমারি সমস্যা হইতেছে কি খাইতে হবে লোকজন তো সেইটাই জানে না! বা লোকজন গরিব, আল্ট্রা-পুওর, তার মানে সমাজের ইকনোমিক্যাল এক্টিভিটিগুলার লগে তাদের তো কোস কানেকশন নাই! এইরকম।

মানে, জিনিসগুলা যে সত্যি না – তা না, বরং সমস্যার নন-পলিটিক্যাল আসপেক্টগুলা নিয়া উনারা কাজ করেন – এইটা বললেও আসলে জায়গাটারে ভুলভাবেই বলা হবে; উনারা পলিটিক্যাল কজ’গুলারে আন্ডারমাইন করেন, লুকায়া ফেলেন, সময়ে সময়ে টাকা-পয়সা দিয়া চাপায়া রাখেন, যেন কোন পলিটিক্যাল কনশাসনেস তৈরি হইতে না পারে। এইটারে এই কারণে ‘এনজিওপণা’ বলি আমরা।

মানে, সোশ্যাল স্পেইসটারে মোর অ্যান্ড মোর নন-পলিটিক্যাল কইরা তোলা এনজিও’দের মোস্ট সিগনিফিকেন্ট একটা কাজ। যেইটা উইথাউট এনি মিডল গ্রাউন্ড আমাদের বলতে পারা দরকার যে, এইটা খারাপ কাজ।

গর্ভমেন্টেরও ডর দেখবেন এই জায়গাটাতেই যে, এনজিওগুলা আবার পলিটিক্যাল কাজকাম না শুরু কইরা দেয়! এই কারণে সবসময় একটা চাপের উপ্রে রাখে। এনজিও’রা সাবধান থাকে। একটা মিচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের জায়গা থিকা জিনিসটা এফেক্টিভ থাকতে পারে।…

এখন এর যে ইমপ্যাক্ট হইছে, যেকোন সোশ্যাল-ওয়েলফেয়ার’রে নন-পলিটিক্যাল এবং এনজিও’র কাজ বইলা মনে হইতে থাকে আমাদের। মানে, কোন সামাজিক কাজকামে পার্টিসিপেট করা না, বরং ক্ষমতার জায়গাটা নিয়া কাড়াকাড়ি করাই যে পলিটিক্সের কাজ – এই জিনিসটারে সাকসেসফুললি এস্টাবলিশ করা গেছে, এনজিও-ওয়ার্কগুলার ভিতর দিয়া।

আওয়ামীলীগ-বিএনপি মিইলা, মানে, স্থানীয় পলিটিক্যাল লোকজনের ‘নেতৃত্বে এবং ঐকমত্যের’ বেসিসে পুকুরের কচুরিপণা সাফ করা হইতেছে, এইরকম জিনিস আমরা দেখছি। এখন এই পলিটিক্যাল-কালচার সমাজে নাই না, বরং ধ্বংস যে করা হইছে সেইখানে বাকশালি রাজনীতির বাইরে ‘এনজিও-গিরি’ করার একটা ধারণাও এফেক্টিভ আছে বইলা আমার মনেহয়।

অথচ পলিটিক্যালি সমাজ-সংগঠনগুলারে মোটামুটি কবর দেয়ার যেই ঘটনাটা বাংলাদেশে ঘটছে, সেইটাই হইতেছে: এনজিও-ওয়ার্ক। এই জিনিসটা নিয়া পলিটিক্যাল জায়গাগুলাতেও আলাপ-টালাপ মনেহয় কমই অনেক। ইনিশিয়াল ফেইজে কিছু কথাবার্তা হইলেও এখন মনেহয় আমরা মাইনা নিতে পারছি যে, ব্যাপারগুলা তো এইরকমই। 🙂
Continue reading

নোটস: অক্টোবর, ২০২১ [পার্ট ২]

অক্টোবর ১১, ২০২১

কথা দিয়া আর কয়টা কথা বলা যায়! আমাদের কথা নিরবতা দিয়াই বলতে হয়। এই কারণে দেখবেন, নিরবতার জায়গাগুলারে ম্যানিপুলেট করা হয় সবসময়।

যে, কই পাবলিক তো মাইনা নিতেছে, দুয়েকজন ‘ষড়যন্ত্রকারী’ বাদে জিনিসপত্রের দাম যে বাড়ছে এই নিয়া তো কেউ কথা কইতেছে না! মানে, কথা-কওয়ার যে কোন অবস্থা নাই, অই নিরবতাটারে এক্সপ্লেইন করা হইতেছে – মাইনা নেয়া!

পারসোনাল লাইফ থিকা শুরু কইরা পাবলিক হিস্ট্রিতে এইরকম বহুত ঘটনা আছে, যেইখানে ট্রুথরে নিরবতার ভিতরে ঠেইলা দেয়া হইছে, হইতেছে। যেমন তুরস্কে, ১০ লাখ আর্মেনিয়দের খুন করছিল টার্কিশরা, অইটা নিয়া পাবলিকলি কথা বলা নিষেধ। মানে, এইরকম কোন আইন নাই যে কথা বলা যাবে না, কিন্তু কথা না-বলাটা হইতেছে ‘নিয়ম’।

খালি নিরবতারে এক্সপ্লেইন করা না, আপনার কথারেও নিরবতার মতন একটা ঘটনা বানায়া দেয়া হয়; যে, রিপ্রেজেন্টেটিভ বা যার-কথার-দাম আছে, এইরকম কেউ তো কথা বলে নাই!

তো, যারা নিরবতারে ব্যাখ্যা করতেছেন, তাদেরও টের পাওয়ার কথা যে, নিরবতাগুলা কথা হয়া উঠতে পারতেছে না বইলাই বাতিল হয়া যাইতেছে না, বরং নিরবতাটা আরো ছড়ায়া পড়তেছে।… যে কোন কথার মানে তার নিরবতাগুলার ভিতর দিয়া বুঝতে পারতে হবে আমাদেরকে।

#########

বিকল্প ২

কোনকিছুর বিকল্প নাই বইলাই সেই জিনিসটা টিইকা থাকে না।

বাংলাদেশে যখন সাহিত্য পত্রিকাগুলা, দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য সাপ্তাহিক সাময়িকীগুলা একেকটা ট্রাশ হয়া উঠতেছিল, দলবাজি’র আখড়া হয়া উঠছিল তখন অনলাইনে লেখালেখি করার/ছাপানোর স্কোপগুলা ছিল না।

তারপরে, কমিউনিটি ব্লগগুলা (স্পেশালি সামহোয়ারইনব্লগ) ফেসবুক আসছে বইলা ইন-এফেক্টিভ হয় নাই, এর আগেই মোটামুটি বাতিল হইতে পারতেছিল, এর ইমপ্যাক্টসহ। একইরকমভাবে, ফেসবুক/ইউটিউব আসছে বইলা টিভি-নিউজপেপার বাতিল হয়া যাইতেছে না, বরং তারা নিজেদের গোলামির জায়গা থিকা বাইর হইতে পারতেছে না। (কোনকিছুই একবারে হারায়া যায় না, ফর্ম হিসাবে ইরিলিভেন্ট হইতে থাকে, ধীরে ধীরে।)

এখন আমরা বুঝতেছি, ফেসবুকও তার এলগারিদম দিয়া যেমনে আমাদের নিউজফিড কন্ট্রোল করতেছে, যেই রিয়ালিটির ফান্দে ফেলতে চাইতেছে, সেইটার ভিতর আটকায়া থাকা যাবে না।

তার মানে এইটা না যে, একটা বিকল্প’র জন্য ওয়েট করতেছি আমরা; বরং এর ভিতর দিয়াই ‘বিকল্প’র জায়গাগুলা এমার্জ করবে। সবসময় এইরকমটাই হইছে। মানুশ তার কথা-বলার জন্য মোর ফ্রিডমের জায়গাগুলাতে শিফট করবে। তৈরি করার ট্রাই করবে।

কিন্তু কোন কিছুই আগের জায়গাতে ফিরা যাবে না।

কোন ‘বিকল্প’ আইসাও আমাদেরকে উদ্ধার কইরা ফেলবে না। বরং এই রিয়ালিটি’রে যে মানতে রাজি হইতেছি না, সেইটা ‘বিকল্প’র জায়গাগুলারে তৈরি করতে থাকবে। মানে, এইরকমই হয়া আসছে বইলা আমি মনে করি।…

Continue reading

নোটস: অক্টোবর, ২০২১ [পার্ট ১]

অক্টোবর ১, ২০২১

এইরকম কিছু ক্রিটিক আছে, যার উদ্দেশ্য হইতেছে ক্রিটিক করার নাম দিয়া অসম্মান করা, অপমান করা, ‘ভদ্রভাবে’ গালি-গালাজ করা; তো, অই ক্রিটিক নামের গু নিজের গায়ে না মাখানোটা, অসম্মান নিতে রাজি না হওয়াটাও রাইটারের একটা কাজ।

ইশিগুরো রাইটার হিসাবে উনার এক্সপেরিয়েন্সটা বলতেছিলেন এইভাবে যে, যখন রাইটার হিসাবে উনি পপুলার/পরিচিত হইতে শুরু করলেন তখন উনার সবচে ক্রুশিয়াল লার্নিং ছিল হইতেছে যে, না বলতে পারতে হবে, সব কথার জবাব দেয়ার কিছু নাই। রিডারের সব কনসার্ন, আর্গুমেন্ট রাইটারের জন্য সবসময় জরুরি না। এইরকম।

মানে, এমন না যে, রাইটার হইলে আপনার একটা ইগো থাকতে হবে; বরং বেশিরভাগ সময় রিডারের বা ক্রিটিকের ইগোর সাথে রাইটার হিসাবে আপনার যে এনগেইজ হওয়ার কিছু করার নাই – এই বুঝ’টা থাকতে হবে।

আপনার লেখা ভালো হইছে বা খারাপ হইছে, ইম্পর্টেন্ট হইছে বা ট্রাশ হইছে… এইগুলা অবশ্যই সাহিত্যিক-বিচারের ঘটনা; কিন্তু নিন্দা (এবং একইভাবে প্রশংসা) নিয়া রাইটারের তেমন কিছু করার নাই আসলে।

নিজের লেখালেখির জায়গাতে এই ডিস-কানেকশনটা খুবই জরুরি একটা জিনিস। অবশ্য যারা ‘কবিযশোঃপ্রার্থী’ তাদের হিসাব তো সবসময় আলাদাই।
Continue reading

নোটস: সেপ্টেম্বর, ২০২১ [পার্ট ৩]

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১

ইভ্যালি নিয়া তো এই কয়দিনে অনেক কথা-বার্তা হইছে, অনেক এভারেজ আলাপ যেমন হইছে, আবার কিছু ইন্টারেস্টিং আলাপও চোখে পড়ছে; তবে ইভ্যালির ‘ভুল’ ধরতে গিয়া একটা জিনিস মনেহয় পুরাপুরি ইগনোর করা হইছে।

বাংলাদেশে এই পর্যন্ত যতগুলা কেইসে পাবলিকের টাকা ডাকাতি হইছে এবং ডাকাতেরা টাকা মাইরা সহি-সালামতে দেশে থাকতে পারছে, সবাই সরকারি দলের লোকজন, বা এর লগে কানেক্টেড। মানে, সরকারি লোকজন এবং সরকারি দলের লোকজনরে (এখন অবশ্য একই, আলাদা আর না) লুটের টাকার ভাগ না দিয়া কেউ টাকা হজম করতে পারে নাই।

ইভ্যালির বিজনেস কেইসে যদি সবচে বড় কোন ‘ভুল’ থাকে, সেইটা হইতেছে কোম্পানির ডিরেক্টর হিসাবে, শেয়ারের মালিকানায় ক্ষমতার আশেপাশের কোন লোকজনরে রাখে নাই। বাংলাদেশে বিজনেস করতে গেলে এর চে বড় কোন ‘ভুল’ আর কিছু হইতে পারে না।

এমনকি এইরকমও হইতে পারে, কেউ শেয়ার চাইছিল, দেয় নাই! এই কারণে ‘রিভেঞ্জ’ নিতেছে! মানে, ইভ্যালির যারা সার্পোটার তাদের কাছে এইরকম কন্সপিরেসি থিওরিও পাইতে পারেন। বা কেউ যদি এইরকম ছড়াইতে পারেন, দেখবেন, মার্কেট পাইতেছে এই খবর! কারণ, বাংলাদেশের এখনকার রিয়ালিটিতে এইগুলাই বিলিভেবল গুজব, যা কিছু সত্যি হইতে পারে তা সবসময়ই গোপন!…

এই পর্যন্ত বাংলাদেশে যতগুলা পাবলিক-ডাকাতি হইছে শেয়ার-মার্কেট, বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা-পাচার, কোনটা কি সরকারি সার্পোট ছাড়া ঠিকঠাক মতো অর্গানাইজ করা গেছে? আর যেইগুলা ধরা খাইছে, অইগুলাও সরকারি লোকজনরে টাকা দিয়াই ম্যানেজ করা গেছে বা ঘুষ-টুষ দিয়া পালায়া যাওয়া গেছে। এমনকি ইঅরেঞ্জ নিয়াও দেখবেন কথা-বার্তা কম, কারণ অইখানে বাংলার টাইগার মাশরাফি আছেন! আরিফ হোসেইন, তাহসান, সুখনরে গাইল দেয়া যতো সহজ (গাইল দিবেন না – এই কথা আমি বলি না, গাইল্লান) মাশরাফিরে গাইল দেয়া এতো সহজ না; আর এর উপরে তো যাইতেই পারবেন না।

তো, ইভ্যালি ইস্যুতে আমার মনেহয়, বাংলাদেশি ‘তরুণ উদ্যোক্তা’ বা ‘ইয়াং এন্টারপ্রেইনারদের’ জন্য নয়া বাকশালের মেসেজ খুব ক্লিয়ার – বিজনেস করেন আর পাবলিকের টাকা মাইরা খান, যেইটাই করেন কোন সমস্যা নাই; কিন্তু যা-ই করেন, আগে আমাদের ভাগ দিয়া তারপরে আপনার যা করার তা করতে হবে!

৫%-১০% কমিশন দেয়ার দিন শেষ, কোম্পানির শেয়ার দিতে হবে, মালিকানা দিতে হবে! দেশটা যার বাপের, যার নানার, তারে আগে সালামি দিতে হবে! এর নাম হইছে – ডিজিটাল বাংলাদেশ!

Continue reading

নোটস: সেপ্টেম্বর, ২০২১ [পার্ট ২]

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১

আমাদের যে পারসোনাল ভালোলাগা-খারাপলাগা, রুচি-বোধ, সৌন্দর্য্য-চেতনা, এইসেই… এইগুলা পুরাপুরি হিস্ট্রোরিক্যাল ঘটনার ফলাফল না হইলেও, এর লগে কানেক্টেড একটা জিনিস।

এইটা মনে হইতেছিল, বেল-মাথা বা মাথা ন্যাড়া করার ঘটনা’টা ভাবতে গিয়া। এখনো জিনিসটা সোশ্যালি ইনফিরিয়র বা অকওয়ার্ড জিনিস তো! লোকজন খেপাবে, বা ধইরা নিবে মেডিক্যাল কোন সমস্যা, মাথায় চুল-টুল নাই মনেহয়, এই কারণে মাথা কামায়া ফেলছে। আর বেশিরভাগ কেইসে ঘটনা তো এইরকমই। তো, এই ইনফিরিয়টিরটার শুরু কই থিকা?

আমার ধারণা, বৌদ্ধধর্মের জায়গা থিকা এইটা শুরু হইছে; বৌদ্ধরা তো মাথা কামায়া ফেলে, বা এইটা একটা সময় আইডেন্টিটি বা রিচুয়াল হিসাবে ছিল এই অঞ্চলে; তো, বৌদ্ধদের তো পালাইতে হইছে এই অঞ্চল থিকা বা নিচু-জাত হিসাবে হিন্দু-ধর্মের আন্ডারে থাকতে হইছে; সেই থিকা একটা নিচু-জাতের ব্যাপার হিসাবে পারসিভ হইতে পারার কথা। আগের দিনে বা দুই-তিন জেনারেশন আগেও গ্রামে কোন চোর ধরা পড়লে তারে মাথা-কামায়া (পুরা না, উল্টা-পাল্টা কইরা চুল কাটায়া) গ্রাম থিকা বাইর কইরা দেয়ার ঘটনা ঘটতো; মানে, চুল যে কাটতে হইতেছে, এইটা হইতেছে একটা শাস্তি!

এই কারণে দেখবেন, বেটা-মানুশদের বড় চুল-দাড়ি দেখলেও রেসপেক্ট করার একটা ব্যাপারও অলমোস্ট অটোমেটিক্যালি চইলা আসে (সুট-কোটের মতোই, আরেকটা ভার্সন); এইটা হিন্দু-ধর্মের জায়গা থিকা আসে – এইটা আমার দাবি না; কিন্তু এইটারে সুপিরিয়র বা সুন্দর মনে করার পিছনে মুনি-ঋষিদের বেশ-ভূষার ইমপ্যাক্ট যে নাই – তা তো না।

মানে, আমি একটা ধারণার কথাই বলতেছি। বলতেছি যে, কোনটা সুন্দর, কেমনে সুন্দর – এইটার এসথেটিক্যাল একটা হিস্ট্রি আছে, প্রতি ৫০/১০০ বছর পর পর ড্রামাটিক্যালি চেইঞ্জ না হইলেও জায়গাগুলা সরতে থাকে একভাবে।

তো, বাংলার এসথেটিক্যাল হিস্ট্রিটাও তো লেখা দরকার আসলে 🙂

Continue reading