০৪.০২.২০২৪
রোগ যত লুকায়া রাখা হয়, ডেমেজ তত বেশি হয়; এখনকার ইকনোমিক ক্রাইসিস ফলস-ডেটা দিয়া যত কাভার-আপ করার ট্রাই করা হবে, অবসথা তত খারাপ হবে আসলে
০৫.০২.২০২৪
আপনি পক্ষে আছেন না বিপক্ষে আছেন, সেইটা তেমন কোন ঘটনা না; বরং কোন ঘটনা নিয়া কিভাবে কনসার্নড হইতেছেন, ডিল করতেছেন, সেইটা ঠিক কইরা দেয় আপনার পজিশন’টা
…
ভাষা এমনিতেই বাঁকা, তারে আর বাঁকানোর দরকার নাই কবিতাতে, বরং নানান লেয়ার তৈরি করার নামে সিউডো-গভিরতা অনেক হইছে, cliche’র লেভেলও পার হয়া গেছে আসলে; ‘অনেক কথা বইলা কিছুই না-বলা’ জিনিসটা অনেকটা বাকশালি-নিউজগুলার মতো ‘মিনিংলেস’-ই না খালি, পলিটিকালি ill-motivated একটা ঘটনা; এমন একটা কালচারাল কারখানা, যা মানুশের কথা-বলার জায়গাগুলারে নিরবতার ভিতর ঠেইলা দেয়ার দিকে আগায়া দিত আগে, কিনতু এখন চুপ করায়া রাখতে চায় – এইরকম ইভিল জায়গাতে গিয়া রিচ করছে।
অনেক সময়, বাইরে থিকা মনে হইতে পারে, দুনিয়া মালটি-লেয়ারড, কিনতু ইন ইটস কোর এইখানে শাদা আর কালা’র জায়গাটা আছে, যেইখান থিকা কালারগুলা তৈরি হইতেছে; অইখানের পজিশনটা না নিতে পারাটা পলিটিকাল ইন-এবিলিটি না, পোয়েটিক ইন-জাসটিসের ঘটনা; অইটাতে না পৌঁছায়া কবিতা লেখা যায় না; মানে, এইখানে একজন কবি’র কথা-ই বলতে চাইতেছি আমি, ভাষা ও আইডিয়া নিয়া টেকনিকালি-স্কিলড কিছু লোকের কথা না…
এইখানে আমি টি.এস.এলিয়ট ভারসেস পাবলো নেরুদা’র ঘটনারে রেফার করতেছি না, যেইখানে ট্রেডিশন থিকা সরতে পারাটারে পিপল থিকা ডিটাচড হইতে পারা হিসাবে দেখা হইছিল, বা পিপলের সাথে এনগেইজমেনটের জায়গাটারে মবের কাছে সাবমিট করা হিসাবে দেখা হইছিল; অই ‘তর্ক’ পার হয়া আসছি আমরা; বা লোরকা যেই ‘দুয়েন্দে’র কথা কইতেছিলেন, সেইটা আর ম্যাজিক না কোন, একটা এসকেইপের জায়গা-ই; মানে, অই বেইজ থিকা কবিতারে দেখতে যায়-না না, অই দেখাটা অনেককিছুরে মিস কইরা যায়, যা আর রিলিভেনট রাখতে পারে না নিজেরে; কবিতারে জাসট একটা টুল বানায়া রাখে…
অই জায়গাগুলারে মার্ক না কইরা, দেইখাও না-দেখার ভান কইরা থাকতে পারাটা, একনোলেজ না-করাটা এভারেজ ভালো-কবিতা লেখা কনটিনিউ করতে থাকাটা ভাড়া-খাটা ইনটেলেকচুয়ালদেরই জাসট একটা একসটেনডেড উইং, এর বেশি কিছু না।
এই বইলা ‘সিরিয়াস-কবিতা’ বাদ দিয়া ‘পপুলার-কবিতা’ লেখতে থাকবো আমরা – এইটা জাসট একটা টিটকারি মাইরা কনফ্লিকটের জায়গাটারে এড়ায়া যাওয়ার ঘটনাই একটা; ডিসিশান দেয়া যেমন কবিতার কাজ না, একইভাবে একটা ইন-ডিসাইসিভ মুড’রে এনেবল করাটাই কবিতার ঘটনা না; ইন প্লেইন সাইট মনে হইতে পারে, এইগুলা জরুরি কোন জিনিস তো না-ই, বরং ফাঁপা কিছু আলাপ, কিনতু যেই জায়গাগুলারে আমরা খেয়াল করতে রাজি না, সেই জায়গাগুলা নাই না, বরং আমাদের না-খেয়াল করতে পারার বা চাওয়ার ঘটনাই…
কবিতা, এমনকি যে কোন কিছুই, যা আমরা জানি, সেইটা একটা না-জানার ঘটনা না, অনেক সময় জানার জায়গাগুলারে একরকম ঢাইকা রাখার ঘটনাও হয়া উঠতে পারে; মানে, জানা এবং না-জানা, দেখা এবং না-দেখার মধ্যে একটা পর্দা তো আছেই, কিনতু শব্দের কাজ কোনকিছুরে গোপন করা না, বা একটা বলার ভিতরে তারে ন্যারো কইরা তোলা না, রিভিল করার ঘটনা; এইটা পুরানা কথা, কিনতু তাই বইলা মিথ্যা না আর কি…
আমি বলতে চাইতেছি, কবিতা – যা আমরা আন-ডিফাইনড, ম্যাজিকাল কোন ঘটনা বইলা মনে করতে চাই, এর এগেনেসটে টেকনিকাল বা মেথডলজিকাল কোন জিনিস তো না-ই, বরং এই যে বাইনারি’ ভিতর তার আলাপটারে আটকাইতে চাওয়া, এমনকি মালটিপ্লিসিটি’র ভিতরে তারে ছড়ায়া দিতে চাওয়া, সেইটা কবিতার কোর এনগেইজমেনটের জায়গাটারে বেশিরভাগ সময়ে এড়ায়া যাওয়ার ঘটনাই হয়া উঠে কিনা, সেইটা খেয়াল করাটা যে কোন সময়ের চাইতে এখন জরুরি একটা ঘটনা…
যদিও এই কথাগুলা ইসপেসিফক না হইয়া একটা ওভারঅল ইসটেইটমেনট হইতে গিয়া, আরো ঝাপসা হইছে, আরেকটা ক্লিশে হওয়ার দিকেই রওনা হইছে, তারপরও বলতে-পারাটা, বলার ইচ্ছাটা নিরবতার চাইতে বেটার না হইলেও, অনেক হাউকাউয়ের ভিতরে হারায়া গেলেও, এই ট্রাই করাটা আমরা বাদ দিয়া দিতে পারি না; একটা জানা দিয়া যেমন কমপ্লিট হয়া থাকতে পারি না, একটা না-জানা দিয়া এমপটি হয়া থাকাও পসিবল না…আমরা জানি যে, আমরা জানি না; আর সেই না-জানাটারে আর্টিকুলেট করার ট্রাইটা কইরা যাইতে হবে
অনেক না-বলার জায়গাগুলার ভিতর দিয়া কোন একটা কিছু বলার জায়গাটাতে যাওয়ার দিকে যাইতে হবে আসলে; কবিতা একটা টুল না, শব্দের; মিনিংয়ের বাঁইকা যাওয়াটারে সোজা কইরা দেয়া না, ডেফিনিট কইরা তোলা না, বরং আমাদের কথাগুলা যেন তার মিনিংগুলারে হারায়া না ফেলে, সেই কোশিশ করতে থাকার ঘটনা, এই জায়গা থিকা দেখলে।
/কবিতা কোমপানি পাবলিক লিমিটেড
(২৪.০১.২০২৪ – ০৪.০২.২০২৪) Continue reading