দুঃখ নিয়া লেখা কবিতাগুলার কথা
মেকি দুঃখগুলা দিয়া এভারেজ কবিতাগুলা লেখা হয়
সত্যিকারের দুঃখ ভালো-কবিতার মতোই রেয়ার ঘটনা
যেই দুঃখ নিয়া কবিতা লেখতে পারো তুমি,
সেইটা আসলে অই দুঃখের ঘটনা হয়া-ই থাকে না
“অর ভি দুখ হে জামানা মে, মহব্বত কি সিভা
রাহাতে অর ভি হ্যায় উসুল কি রাহাত কি সিভা”*
যারা জানে তারা জানে, যারা জানে না তারা জানে না
…
*ফয়েজ আহমেদ ফয়েজের কবিতা
সন্ধ্যার রাস্তায়
জ্যাম আইসা বসে আছে সন্ধ্যার রাস্তায়
অনেক অনেক হেডলাইট, শপ-সাইন, রাস্তার বাতি
দেখাইতেছে, কতো কতো আন্ধার, দেখো, আমাদেরই চারপাশে
মশার গান রবীন্দ্রসঙ্গীতের মতো ক্যাঁড়ক্যাঁড় করতেছে
একটানা সুরে, মিরপুরে, মেট্রোরেলের নিচে
শুদ্ধ বাংলা-বানানের মতো কামড়াইতেছে আমাদের শরীরে
আরো অনেক অনেক মানুশের লগে বইসা ভাবতেছি আমি,
দুনিয়াতে ঘর আছে বইলাই কি রাস্তাগুলা ভালো?
এতো এতো বাস, কার, সিএনজি, রিকশায়, আর হাঁটতে হাঁটতে
চলে যাইতেছি আমরা কোন না কোন বাসার দিকেই তো…
বাসা, একটা ধারণা
কোন ঘর, কোন জায়গা, কোন ফিলিংস, কোন মেমোরি
বা অন্য যে কোন কিছুই হয়তো
আর কোন না কোন বাসার দিকেই যাইতেছি আমরা
সবসময়, আর একটা সন্ধ্যাবেলায়
ট্রাফিক জ্যামে বইসা থাকার ভিতর দিয়া
সেলফ-পোর্টেট
অই তো!
একই তো!
বুঝছি, বুঝছি!
সবকিছু বুঝার পরে
বেকুব একটা ভাব
নিয়া
বইসা রইছি
বেকুবগুলা বুঝতেছে
আমি চালাকও আছি
কিছুটা
তা নাইলে
বেকুব হয়া
লোকটা
কেমনে থাকে!
মহা-ধুরন্ধরই
মেবি…
আমি
এইসবই
বুঝছি
বুঝা’র পরে,
বুঝছি তো!
এইরকম একটা
বেকুব-ভাব নিয়া
বইসা রইছি