কি লিখতেছেন, কেন লিখতেছেন সেইটার আগে ইর্ম্পটেন্ট হইলো কার লাইগা লিখতেছেন? তিনি বা তাঁরা আছেন তো আপনার লগে বা আপনার আশে-পাশে, লাইক-টাইক দিতে পারতেছে তো বা দিলে জখম দিতে পারতেছেন তো এনাফ আর সেই জখম নিয়া উনি বা উনারা উঁহু আঁহা করতে পারতেছেন তো, ধরেন কোন চান্নি রাইতের কাছে গিয়াই, চাকবুম চাকবুম কইরা? মানে, ওয়াইল্ড এনাফ তো তিনি বা তাঁরা, আপনার প্রেমে? না হইলে ভাই এইসব কইরা কি লাভ! Continue reading
:: অন মিউজিক ::
রাত পোহাবার আর কত দেরি, পাঞ্জেরী!
বলতে পারাটাই আসলে গান। আপনি একটাকিছু বললেন, নট দ্যাট যে যেইটা মনে হইতেছে সেইটাই বললেন; যে কোন একটাকিছু যে বলা যায়, এইটা মনে-হওয়াটাই গান।
রাতটা থাইমাই ছিলো। ইলেকট্রিকের বাতি’র সুইচ অফ কইরা দিযাও আপনি বলতে পারেন, প্রদীপ নিভে গেলো। সেইটাও ঠিক আছে। কিন্তু যখনই কিছু বলার কথা মনে হইলো, তখনই মিউজিক আসলো, গানটা শুরু হইতে পারলো।
কাজলের মা তনুজা’র জাওয়ানি ছিলো তখোন। আর দেবানন্দ ত জওয়ান ছিলেন সত্তর বছর বয়স পর্যন্ত। (খেয়াল করেন কেমনে অ্যাডজেক্টিভ তার জায়গা বদলায় জেন্ডারের পারসপেক্টিভে।) তনুজা বলতেছেন যে, বলতেই পারেন! কিন্তু দেবানন্দ শুনতেছেন, করতেই পারেন! আর্টের টেনশনটা এই জায়গাটাতে আইসাই থামছে। Continue reading
আমার হৃদয়ে র্যাব ঢুকে গেছে
অডিয়েন্স ত ইর্ম্পটেন্ট! এমন না যে খালি অডিয়েন্স ছাড়া আর্ট ক্রিয়েট হইতে পারে না, আমি আরো ছোট জায়গা থিকা বলতেছি। এই গানটাতে, কয়েকজন দর্শক আছেন; গানের থার্ড-পার্ট’টাতে, থরথর আবেগের মোমেন্টে একজন মাথা নাড়াইয়া এক্সপ্রেশনটা দেন যে, ঠিকই আছে; এইটাই! আমার হৃদয়ে র্যাব ঢুকে গেছে, এইরকম তোলপাড় করা জিনিসটারে হজম কইরা মাথা ঝাঁকি দেন, একটু; ধীরে, তার মোটা ঘাড়টারে নামাইয়া ফেলেন; ঘাড়ে মনেহয় ময়লা নাই কোন। এতে কইরা আবেগটা আরো অ্যামপ্লিফাই হয়; এমন না যে আবেগটা নাই গানে, ভালোমতোই আছে; তারপরও যাঁর সামনে ক্রিয়েট করা হইতেছে, ক্রিয়েশনের মোমেন্টে যিনি আছেন, উনি যখন কনফার্ম করতেছেন, তখোন মনেহয় যে আবেগটা আসলেই পারফেক্ট। আবেগটা আছে, লগে কনফার্মেশনও যদি থাকে একটা, সেইটা পুরা স্পেল-বাউন্ড একটা ব্যাপার। কঠিন আর্ট।
আপনি ভালো লিখছেন সেইটা অবশ্যই একটা ঘটনা; আরো ১০০ জন আপনারে বলছে যে, আপনি ভালো লিখছেন, সেইটা আরো বড় ঘটনা। একজন দুইজন ত এটলিস্ট লাগেই।
গান-গাওয়াটা হইলো গানের একটা ইন্টারপ্রিটেশন
গান-গাওয়াটা হইলো গানের একটা ইন্টারপ্রিটেশন। এই যে ‘কাছে’তে গিয়া ভাইঙ্গা পইড়া যাওয়া, ‘দূরে’তে গিয়া সইরা যাইতে চাওয়া, ‘থাকিবো’তে লিংগার করা, স্বরে; [‘ধন’-এ অবশ্য জোর নাই খুবএকটা 🙁 বা এইটারে কোনভাবে এক্সপ্রেশনের মধ্যে নিয়া আসাটারে জরুরি ভাবতে পারেন নাই উনারা] ‘কাছে নেও না’তে নাইমা গিয়া যাইতে চাওয়া, ‘ভরসা’তে যে জোর নাই খুব একটা বা ‘তন্ত্র-মন্ত্র’ যে কেমনে পড়তে হয় তাড়াতাড়ি, [ফাউল ত ব্যাপারটা, তাই না?] ‘আমি’টাই যে মেইন বিষয় – এইগুলা সিঙ্গিং দ্য সং-ই না খালি; ইন্টারপ্রিটেশন অফ দ্য সং, একইসাথে। খালি গান গাইলে ত হবে না, গানরে বুইঝা তার বুঝানোটারেও গাইতে হবে, ক্ষ’র গানের এইরকম মাজেজা আছে। উনারা গানটারে গাইতেছেন না খালি, বুঝাইতেছেন আসলে।
আর ভিজ্যুয়ালে, বাচ্চাগুলার পারফরমেন্সরে মনেহয় শিশুশ্রম বলা যায় না, যেহেতু খেলতেছেই ওরা, একরকম; গিটারের সাথে খেলনা গিটার বাজাইতেছে (মাল্টিকালচারালিজমও হইতেছে মনেহয় ইন্সট্রুমেন্ট ইউজে); গায়িকারে মাইক্রোফোনটা আগাইয়া দিয়া পোলাটা সাজেস্ট করতেছে তুমিও খেলো আমরা’র লগে… আর অ্যাকচুয়ালি এইটা ত একটা খেলাই। শেষে ‘গুড জব’; মানে সেইটা বলা নিজেদেরকেই, অন্য হইয়া। এইটা ত করাই যায়। করে অনেকেই। যেই ভক্তের অন্তরে মুর্শিদ চইলা আসেন, তিনি নিজে কি আর মুর্শিদ না? এইরকম নাফরমানি তো আছেই। না কইলেও। Continue reading