ড্রাফটস: এপ্রিল, ২০১৭।

কনফিউশন

মাথার ভিতরে একটা তুমি নিয়া
মইরা যাই যদি
তোমার ঘরের ভিতর

তখন পাশে শুইয়া থাকা তুমি
মাথার ভিতরের তুমি’রে
দেখবা না তো
আর!

 

দুইটা পাথর

কেউ আসছিলো
আসতে চাইতেছিলো

কেউ ছিলো
থাকতেও চাইতেছিলো, মনেহয়

দুইটা পাথর
নিজেদের জায়গা থিকা
নড়তে পারতেছিলো না
আর।

Continue reading

ড্রাফটস: মার্চ, ২০১৭

বাসা বদল   

ফুটা পয়সাটা লাগলো না কোন কাজে
ফুটা পয়সার মতো আমি ছড়ায়া গেলাম তোমার অ-কাজে
চিন্তার ভুলে, শুকায়া-যাওয়া মগজের কোষে

ধূলার মতো লেপটাইয়া থাকলাম ঘরের জিনিসে – আলনা, আলমারি আর
বইয়ের ভিতরে। লুকায়া লুকায়া ট্রাভেল করলাম, থাইকা গেলাম… না-

থাকার মতোন। হইতে পারে তো এইরকম? পারে না?

 

ভোরের বাতাস

পাইতে পাইতে হারায়া ফেলি তোমারে

হারাইতে হারাইতে ভাবি

তুমি যে ছিলা, সত্যিই তো মনেহয়;

পিউ কাঁহা ডাকতেছিলো ২/৩টা,
নাকি একটাই?…

আরেকটা সকালের আগে অনেকগুলি মসজিদের মাইক থিকা একটু পরে পরে আসতেছিলো আযান
আসসালাতো খায়রুম মিনান নাওম…

একটু ঘুম আর অনেকটুক না-ঘুমানোর ভিতর

আমরা ভাবতেছিলাম, ঘুমাবো…

নাপা আর ল্যাকজোটনিল

অনিদ্রা আর ব্যাকপেইন

মেহগনি গাছগুলি অনেক পাতা ঝরাইয়া দাঁড়ায়া ছিলো
তার উপরে কুয়াশা মেঘ

ভোরের

ঠান্ডা বাতাস, বসন্তের

‘ঘুমাবো, আমরা ঘুমাবো…’
জাইগা থাকতে থাকতেই বলতেছিলাম Continue reading

পানি আর জল

যেই লোকটা গাঞ্জার পুটলা’টা দিলো, চাপদাড়ি ছিলো তার
ডিলিংসটা এতো তাড়াতাড়ি শেষ হইলো যে
তার চোখ-মুখে কেমন একটা অবিশ্বাস চইলা আসছিলো
এই এতো দূর আসলো সে
আর এক মিনিটও লাগলো না পুরা ব্যাপারটা শেষ হইতে…

আল্লা ছাড়া পাপ-পূণ্য থাকার সেক্যুলার ভাবনাটা মনেহয় সে মানতেই পারতেছিলো না

মানা আর না-মানা’য়
কি যায় আসে!

রাস্তায় রিকশা, বাস, টেম্পু, কার চলতেছিলো তো…

সো রাস্তা পার হইলাম আমরা

সোজা গিয়া একটু
প্রথমে বামে, তারপর ডাইনে
তারপর বামে, তারপর ডাইনে
একটু দূরে গিয়া আবার বামে
তারপর ডাইনে গেলাম না আর
রিকশায়…

একটা পাতলা শিকের গেইট
পার হওয়ার পরে গ্যারেজ
তারপর কলাপসিবল গেইটের তালা খুললো
তারপর সিঁড়ি
তারপর দরজা…

একটা ঘর

আলো তো ছিলো

বাথরুমের ট্যাপ থিকা পানি পড়তেছিল
(শে হয়তো লিখতো, জল…
আরেকটা ভার্সন লেখা হইতে তো পারেই…)

চুপ থাকলে আওয়াজটা আরো স্পষ্ট শোনা যাইতো

আজাইরা কথাগুলিরও কোন দরকার আছে বোধহয়

মানে, কথা ছাড়া ব্যাপারটা কেমনে শেষ হয়…
মানে, একটা শেষ, অ্যাজিউম কইরা কথা বলা যাইতেছিল
কতো কতো ব্যাখা’রা বইসা ছিল অন্ধকারেও Continue reading

ড্রাফটস: ফেব্রুয়ারি, ২০১৭।

ভাবতেছিলাম…

‍‍ভঙ্গিমাগুলিই তো গান!

কি কি জানি কইয়া তোমারে আমি কি কি জানি বুঝাইতে চাইলাম
কি কি জানি কইতে কইতে আমারে আমি কি কি জানি না কইতে চাইলাম

একটা ফর্মের বাইরে আইসা আরেকটা ফর্মের ভিতরই দাঁড়াইলাম

জাইনা ফেলার মতো একট অন্ধকার অন্য মানুষদের মতোন আমরারে পইড়া ফেলতেছে

আমরা তো যাইতে চাইতেছি না কোথাও!

ফুটপাতে দাঁড়ায়া রইছি, শীতের বাতাসের তো এতো জোর নাই যে
উপড়াইয়া ফেলবে আমরা’রে ছোট দুইটা গাছের মতোন…

ঝড়-বাদলের দিন আসলে তখন দেখবো নে!

অথবা তার আগেই, আমরা যে দাঁড়ায়া ছিলাম
নিজেদের থাকাটারে নিতে পারতেছিলাম না আর আমরাই,
অনেক অনেক ব্যাঁকা-ত্যারা অনেককিছুই ভাবতেছিলাম,

ভাবতেছিলাম (যেন ভাবতে পারাটাই বাঁচায়া ফেলতে পারে আমরা’রে, এইরকম কইরা) যে,
ভঙ্গিমাগুলিই তো গান!

Continue reading

ড্রাফটস: জানুয়ারি, ২০১৭

তুমিআমি

একটা রিয়ালিটি থিকা আরেকটা রিয়ালিটিতে যাই
পথের ধুলায় তোমারে হারাই;

আরেকটা রিয়ালিটি’তে গিয়া মনেহয় এইটা বা এইটা হয়তো তুমি,
একটা চিনামাটির চায়ের কেটলি
একটা গ্রে কালারের শেড, এক টুকরা আকাশ

তারপর দেখি কেউ হেঁটে আসতেছে…

কেউ রাস্তা পার হয়া চলে যাইতেছে…

কুয়াশার মতো
একটা দৃশ্যের পরে চলে আসতেছে আরেকটা দৃশ্যের দেয়াল

আমি তো উথাল-পাতাল, খুঁজতেছি
‘কই তুমি? কই তুমি?’

একটা হাত তোমার আমার গালে
বলতেছো, ‘চলেই তো যাবা তুমি…’

আরেকটা রিয়ালিটিতে আমি নাই কোন
তুমি বইসা আছো আর হয়তো ভাবতেছো আমার কথাই…

একটা রিয়ালিটি থিকা আরেকটা রিয়ালিটিতে যাই
পথের ধুলায় তোমারে হারাইয়া ফেলি

 

এরিয়েল

যেন একটা পাগলা বাতাস শে, উল্টাইলো-পাল্টাইলো
ঘুইরা বেড়াইলো শরীরে আমার; কইলো,
থাকো! থাকো!

Continue reading