শীতকাল
“রোদ উঠে গেছে”
শীতকাল’টাও চইলা যাবে, কয়দিন পরে
যে কোনকিছু’র চইলা যাওয়া-ই আমারে বিষণ্ন করে
ভালোবাসার পরীক্ষা
আবার পরীক্ষা দিতে হবে ভালোবাসার,
আবার, আবার
প্রশ্নফাঁসের এই পরীক্ষাগুলা দিতে
আমার ভাল্লাগে না আর
নিজেরে কতো নকল
করতে পারে লোকজন আর অদের কি
টায়ার্ডও লাগে না!
হায় খোদা! আমারেই কেন
বারবার বলা লাগবে,
আবার, আবার ভুল উত্তরগুলা
লেখা লাগবে, আর
একটা ফেইল করার গ্লানি নিয়া
হাঁইটা বেড়াইতে হবে একলা একটা রেললাইন দিয়া
অথবা বইসা থাকা লাগবে চুপচাপ কোন নদীর পাড়?
কেন রে ভাই, চুতমারানি?
কেন, দ্য হোয়াই?
টু লি পো
কথাগুলারে আমি এক হাজার মাইল দূরে পাঠায়া দিবো
লি পো, অরা কি চিন্তা করাইতে পারবে কাউরে, এতো দূরে?
(তোমার মতন এমন বন্ধু আমি কি আর পাবো?)
আমি এক হাজার বছর আগে আমার কথাগুলারে পাঠায়া দিবো
লি পো, কেরু খায়া কানতেছে যেই কিশোর ছেলে’টা তার বাচ্চা প্রেমিকা’র লাইগা
বয়স হয়া গেলে সে-ও তো হাসবো, এই কথা মনে কইরা
তার চোখের পানির মতো মদ আমি জমায়া রাখতেছি তোমার জন্য
লি পো, আমাদের কথাগুলা আমরা ভাসায়া দিবো
সাগরে এক ফোঁটা পানির মতো, বাতাসে ভাসতে ভাসতে হারায়া যাবে
হৃদয়ে যেই কথাগুলা শেষ হয়া যাইতেছে, যেই কথাগুলা শেষ হয় না কোনদিনও
এইরকম কথাগুলারে আমরা এক হাজার মাইল দূরে, এক হাজার বছরের পরে
পাঠায়া দিবো; “আমি জানি, তুমি শুনতেছো;
তুমি শুনতেছো তো?”
একটা কবিতা
একটা কবিতা আমি পাইলাম নন্দায়, বারিধারায়
একটা কবিতা আমি পায়া যাবো কিছু দূর হাঁটলে মহাখালি, তেজগাঁয়
কবিতা ছড়ায়া আছে মতিঝিলে, চকবাজারে, পুরান ঢাকায়
ঢাকা শহর ভর্তি ছড়ানো কবিতা, ড্রেনে ড্রেনে, ফুটপাতে, ভাঙা রাস্তায়
ফকির-মিসকিনের মতন আমি কবিতা কুড়াই আর কবিতাগুলা আমারে চিইনা ফেলে
কয়, আপনি না গতকালকেই আসছিলেন! ‘পৃথিবীর গভীর, গভীরতর অসুখ’
নিয়া আপনি আর কদ্দিন নিজের চিকিৎসা’র খরচ তুলবেন?
Continue reading