তোমার কথাগুলি আমি অনুবাদ করে দিতে চাই
ইমরুল হাসান
কবিতা
ফাল্গুন ১৪১৭
ফেব্রুআরি ২০১১
প্রচ্ছদ চিত্র: নাতাশা হাবিব
ফৃ স্ট্রীট স্কুল প্রকাশনী
মুদ্রণ সংখ্যা: ২০০
মূল্য: ২০ টাকা [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]
তোমার কথাগুলি আমি অনুবাদ করে দিতে চাই
ইমরুল হাসান
কবিতা
ফাল্গুন ১৪১৭
ফেব্রুআরি ২০১১
প্রচ্ছদ চিত্র: নাতাশা হাবিব
ফৃ স্ট্রীট স্কুল প্রকাশনী
মুদ্রণ সংখ্যা: ২০০
মূল্য: ২০ টাকা [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]
‘ফররুখ আহমদের শ্রেষ্ঠ কবিতা’ আমি প্রথম পড়ি ১৯৯৩ সালের দিকে। ফররুখ আহমদ মারা যান ১৯৭৪ সালের ১৯শে অক্টোবর। আর বইটা প্রকাশিত হইছিল ১৯৭৫ সালের জুন মাসে, ফররুখ স্মৃতি তহবিল এর পক্ষ থেকে। আবদুল মান্নান সৈয়দ সম্পাদনা করছিলেন। বইটা পড়ার মাধ্যমেই আমি কবি ফররুখ আহমদরে আবিষ্কার করি।
আবদুল মান্নান সৈয়দ
‘ফররুখ আহমদের শ্রেষ্ঠ কবিতা’ বইটা যখন প্রকাশিত হয়, আমি ওই সময়টায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থার কথা ভাবি। স্বাধীনতার পর সেক্যুলার ধারণা তখন রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত এবং প্রশ্নাতীত একটা ব্যাপার; এমনকি মনে হয়, তখনকার রাজনৈতিক এবং দার্শনিক যে চিন্তা, সেইটা মর্ডানিটির সাথে কোন মোকাবিলায় যাওয়ার সামর্থ্য রাখে নাই, বাংলাদেশে। সেই পরিস্থিতিতে, ‘ইসলামী চেতনার পুর্ণজাগরণের’ তকমা লাগানো কবি’র শ্রেষ্ঠ কবিতা সম্পাদনা করা এবং প্রকাশ করাটা অনেকবেশি সাহিত্যিক একটা ঘটনা, কিছুটা রাজনৈতিক রিস্কসহ – এইভাবেই আমি দেখি।
আসলে সাহিত্যের সাথে রাজনীতির সর্ম্পকটা কি রকম? যে কোন সাহিত্যই সরাসরি অথবা তার দূরবর্তী ধারণায় কোন না কোন রাজনীতিরে সমর্থন দেয়, আবার একইভাবে অনেক সাহিত্যরে রাজনৈতিক প্রয়োজনে ব্যবহার করা সম্ভব আর সেইটা হয়ও। যেমন ’৬০ এর দশকে রবীন্দ্রনাথরে আশ্রয় করছিল বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত সমাজ, কিংবা সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে শামসুর রাহমানের কবিতা অথবা আল মাহমুদ এর জামাত-পন্থী হয়া উঠা, এছাড়াও কমিটেড কমিউনিস্ট লেখকরা তো ছিলেন বা আছেনও হয়তো। তার মানে, রাজনৈতিক মতাদর্শগুলি বা পরিস্থিতির সাথে সাহিত্যের একটা সর্ম্পক আছে। সাহিত্য যেমন রাজনীতিরে সার্পোট অথবা অপোজ করে, রাজনীতিও সাহিত্যরে ব্যবহার করে। কিন্তু এই ব্যবহার সর্ম্পকে লেখক নিজে কতোটা সচেতন – এই প্রশ্নটা সম্ভবত আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়া উঠতেছে।[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]
ফররুখ আহমদ এর রাজনৈতিক সচেতনতা কি রকম ছিল? এইখানে বরং ফররুখ আহমদ এর কবিতার জায়গাটারে আবদুল মান্নান সৈয়দ কিভাবে দেখছেন সেইটা নিয়াই বলি। ১৯৮১ সালে তিনি চল্লিশের দশক এর বাংলা-কবিতার ধারায় ফররুখ আহমদরে ব্যাখ্যা করছেন এইভাবে: “প্রায় পাশাপাশিই চলেছিল ফররুখের স্বতন্ত্র সংস্কৃতিচেতন কবিতার ধারা। কিছুকাল আগেও আমি এ ধরণের কবিতা বলতে ‘ইসলামসচেতন’ শব্দ ব্যবহার করেছি। এখন ব্যবহার করছি ‘স্বতন্ত্র সংস্কৃতিচেতন’ কথাটি। আমার বিবেচনায়, এই শব্দগুচ্ছ প্রয়োগ করলে সত্যের নিকটতর হওয়া যায়। কেননা ফররুখ ব্যবহৃত ইসলামি ঐতিহ্য সর্বক্ষণই বাঙালি-মুসলামানের স্বাত্যন্ত্রিক ধর্ম-সাংস্কৃতিক পটে স্থাপিত।” (পৃষ্টা: ৫৯, ফররুখ আহমদ: জীবন ও সাহিত্য, আবদুল মান্নান সৈয়দ, সূচীপত্র, ২০০৯)
কাফকো’র বাতিগুলি জ্বলে উঠলো
হঠাৎ করেই নামলো রাত
কর্ণফুলীর পানিতে সোনালী-রুপালী মাছ[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]
নভেম্বর ২৯, ২০১০
একজন কবি’র পেশা আসলে কী হওয়া উচিত, বাংলাদেশে, এই টাইমে? মানে, ভ্যাগাবন্ড বা বিপ্লবী হওয়া ছাড়া উনারে যদি কোন সামাজিক পেশায় কাজ করা লাগে কামাই করার লাইগা? স্টুডেন্ট লাইফেই এই প্রশ্নটা নিয়া একটা সময় আমি খুব টেনশনে থাকতাম। পরে চাকরি করতে গিয়া তো আরো বিপদে পড়ছিলাম, কোন প্রাইভেট কোম্পানিতে সেলস-এ চাকরি কইরা কবিতা-লেখা কেমনে সম্ভব? আপনার লাইফ-স্টাইল, সোশ্যাল অ্যাপিয়েরেন্স, কাজকাম যেইটা কিনা পুঁজি’র গোলামিতে নিয়োজিত, সেইরকম একটা সামাজিক পজিশনে থাইকা, আপনি কি কবিতা লেখার সাহস করতে পারেন? বা করাটা কি উচিত? বিশেষ কইরা, যখন এক ধরনের আবশ্যিক শর্ত সোসাইটিতে এগজিস্ট করতেছে যে, কবিতা মানেই এক ধরনের প্রতিবাদ- বিদ্যমান ক্ষমতা-কাঠামো’র, খুব স্থুল বা সূক্ষ্ম, যে কোন অর্থেই; সেইটা খালি কবিতা লিইখা করলেই হবে না, লাইফ-স্টাইল দিয়া প্রমাণও করা লাগবে! এইসব জিনিস তো ফেইস করা লাগছে আসলে পারসোনাল লাইফে, একটা টাইমে, বেশ সিরিয়াসলি।[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]
বাংলাদেশের সোশিও কালচারাল কনটেক্সটে কবি হইতে পারেন আসলে – কলেজ বা ইউনির্ভাসিটির টিচার (প্রাইমারি বা হাইস্কুল হইলে হবে না; তবে পিএইচডি স্টুডেন্ট হইলে আরো বেশি হওয়া যাবে…), সাংবাদিক (এই এরিয়াটা এখন ব্যাপক, বলা ভালো, মিডিয়া-কর্মী), এনজিও-কর্মী বা রিসার্চার, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হইলেও চলে বা অ্যাডফার্মের কপি রাইটার থিকা শুরু কইরা ক্রিয়েটিভ ডাইরেক্টর’রেও মেবি মাইনা নেয়া যায়। এইরকম কিছু সিলেক্টিভ লিস্ট আছে, যারা কম-বেশি এলাউড। পাবলিকরে কনভিন্স করা যাইতে পারে ‘কবি’ হিসাবে । সরকারি-আমলারাও আছেন হয়তো, কিছু ডাক্তার বা কর্পোরেটের বড় অফিসার। কিন্তু এই সেকেন্ড ক্যাটাগরিটার হিসাব আবার ভিন্ন; কবি/লেখক হিসাবে পরিচিত হওয়া এবং কবিতা লেখা। প্রকৃত লেখক/কবি বইলা যে সামাজিক-চরিত্র, উনি সবসময় টিচার, জার্নালিস্ট, এনজিও-কর্মী… এই ক্যাটাগরিটা। উনারা ডেডিকেটেড লেখক/কবি; বাকিরা পাওয়ার প্রাকটিসের জায়গা থিকাই লিখেন [টাকা-পয়সা বেশি হইলে যেইরকম মসজিদ-মাদ্রাসা বানায়, দান-খয়রাত করে এইরকম…], ব্যাপারটা মিথ্যা না, কিন্তু আমার কনসার্নটা এইরকম লিনিয়ার ট্রুথের জায়গাটা নিয়া। Continue reading
…সুতরাং পৃথিবী, তুমি তাইলে এখনই ঘুমাও
ঘুমের বাড়িতে গিয়া স্বপ্ন দেখো, স্বপ্ন খোঁজো
যা যা তুমি করতে পারো নাই, জেগে থাকার কালে
সেইটা নিয়া নৌকা ভাসাও, সাগরে…[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]