সোসাইটিতে যে কোন ক্রাইম পাওয়ার-স্ট্রাকচারের লগে এসোশিয়েটেড একটা ঘটনা

সোসাইটিতে যে কোন ক্রাইম (খুন করা, সম্পত্তি দখল করা, রেইপ করা…) পাওয়ার-স্ট্রাকচারের লগে এসোশিয়েটেড একটা ঘটনা। এর বাইরে থিকা দেখতে গেলে কোনভাবেই পলিটিক্যালি এফেক্টিভ হওয়া পসিবল না।

যেমন, কিছুদিন আগে, পার্লামেন্ট ইলেকশনের আগে মাসুদা ভাট্টি’রে গাইল দিছিলেন মঈনুল হোসেন (বাজে কাজ করছিলেন উনি), তখন মাসুদা ভাট্টিরে যারে সার্পোট করছিলেন পাওয়ার-স্ট্রাকচারটারে ইগনোর করছিলেন (পরে মনেহয় অনেকে বুঝতেও পারছেন); একটা গুড কজ বা জাস্টিফাইড ইস্যুতেও পাওয়ারের ফেভারে কাজ করছেন আসলে। আর অর্গানাইজড মিডিয়াগুলি (বা সোশ্যাল মিডিয়ার পোলারাইজেশনগুলিও) এইরকম কেওস বানাইতে হেল্প করে, মেইনলি এইটাই উনাদের বিজনেস।

২.
তো, এখন যেমন, যেই ‘ভিলেন’ কারেক্টার’টা কন্সট্রাক্ট হইতেছে (ইভেন নগদ কোম্পানির অ্যাডেও), সে হইতেছে একজন ‘বয়স্ক’ ‘পুরুষ’। জেনারেলি, সোসাইটিতে সবাই না হইলেও এইরকম বয়স্ক পুরুষেরাই টাকা-পয়সা, জমি-জিরাতের মালিক। এই প্রটোটাইপটা আবার ‘ভদ্র’ ‘এক্সপেরিয়েন্সড’ হিসাবে কনজিউমড হয়। অথচ, এর এগেনেস্ট লার্জ একটা পপুলেশন থাকার কথা এই ‘বয়স্ক পুরুষদের’ যারা আসলে সোসাইটিতে, ফ্যামিলিতে করনাড হয়া আছেন। মানে, এই রিয়ালিটি নাই-ই একরকম এই প্রটোটাইপটাতে বা এর অপজিট রকমের বাইনারিগুলিই থাকতেছে – ভালো বুড়া-মানুষ ও খারাপ বুড়া-মানুষ, অথচ এই প্রটোটাইপটাই যে ইস্যু, সেইখানে আমরা যাইতে হেসিটেট করতেছি; মানে, পাওয়ারের সুবিধা-অসুবিধাগুলা নেয়াটা যতোটা সোজা, ফেইস করার ঘটনাটা এতোটা সহজ-সরল বাস্তবতা না; মোর কমপ্লিকেটেড একটা ফেনোমেনা।
Continue reading

অন জোকস (১)

মিলান কুন্ডেরা’র ‘ঠাট্টা’ [এই নামেই অনুবাদ হইছিল বাংলায়, কলকাতার ভাষায়] যখন পড়ি তখন জোকস জিনিসটা বুঝার মতোন বয়স হয় নাই হয়তো, কলেজে ভর্তি হইছি বা পড়ি – এইরকম সময়ের কথা; মানে, বয়স ১৮ হয় নাই পুরাপুরি। এখনো যে সব জোকস বুঝতে পারি – তাও না; বেশিরভাগ সময়ই টাইম লাগে বুঝতে [সত্যি কথা, ফান না এইটা] ।

নভেলের মেইন কাহিনি’র শুরুটা এইরকম, প্রেমিকার কাছে লেখা চিঠি’তে জোকস করতে গিয়া ধরা খায় নায়ক। এইটা যে জোকস, সেইটা কমিউনিস্ট গর্ভমেন্টের গোয়েন্দারা বুঝতে পারে না (এমনই বেক্কল 🙂 ) অথবা জোকস’রে সিরিয়াস অফেন্স হিসাবে ভাবতে পারে অরা। লাভ লেটারে ফ্লার্ট করতে গিয়া ধরা খায় নায়ক-নায়িকা।* তো, জিজেক একটা লেকচারে জোক কইরাই কইতেছিলেন, এই যে মাইনষে হাসি-ঠাট্টা করে কমিউনিস্ট গর্ভমেন্টরে নিয়া এইটা পলিটব্যুরো’র লোকজন জানতোই, এমনকি নিজেরাও নিজেদের নিয়া জোকস বানায়া পাবলিকের কাছে ছড়াইয়া দিতো। [জোকসই হইতে পারে এইটা… এইরকম একটা পাতলা পর্দাই তো, ব্যাপারটা, জানা আর না-জানার।] তো, কমিউনিস্ট গর্ভমেন্টের লোকজনের এইসব জোকস শুনতে খারাপ লাগতো এবং পাওয়ারে থাকলে যে একটু ‘সহনশীল’ হইতে হয় – এইভাবে মাইনা নিতে পারতেন না উনারা [কুন্ডেরা’র নভেল অনুযায়ী]। এমনকি পারসোনাল জায়গাতেও পাওয়ার দেখাইতেন! কুন্ডেরার ক্লেইম মনেহয় এইটাই। অথচ আপনি যদি পারসোনাল জায়গাতে পাওয়ার না দেখান, দেখাইবেন কই?

এইটা একটা ব্যাপার। আরেকটা হইলো, পাওয়ারে থাকার মানেই হইতেছে আপনারে জোকস পছন্দ করতে হয় আসলে, করতেও পারতে হয়। [শেখ হাসিনা এখন মাঝে-মধ্যে করেন, দেখবেন… খালেদা জিয়া আর পারেন না এখন, ঠিকঠাক মতোন। জোকস ব্যাপারটা পলিটিক্যাল তো অবশ্যই।] তো, আপনি যে জোকস করতে পারেন, এইটা পাওয়ারের একটা ব্যাপার, কিন্তু জোকস করার সময় আপনি ভাইবা নিতে পারবেন যে আপনি আর পাওয়ারে নাই! [আছেন বইলাই নাই, না থাকলে তো আর ভাবতেই পারবেন না।] নিজেরে নিয়া যখন জোকস করতেছেন তখন আপনি তো আসলে অন্য কেউ। এইভাবে চিন্তার মধ্যে ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ পসিবল। 🙁[পদ্ধতি হিসাবে বাজে জিনিসই এইটা…] আর যিনি ধরেন, পাওয়ারে না থাইকাই জোকস করতে পারলেন উনি তো মিলান কুন্ডেরা, একটা পলিটিক্যাল রেসপন্সিবিলি ফুলফিল করতে পারলেন তখন। Continue reading