আরেকটা কবিতা

 

আমি কি লিখে ফেলবো আরেকটা কবিতা
তুমি চলে আসার আগে,
তুমি চলে আসার আগেই কি
তাতায়া উঠবে রোদ আরো?
হাইওয়েতে বাস ক্র্যাশ খাবে আরেকটা বাসের সাথে? Continue reading

আষাঢ় ১, ১৪২১

[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

শি মানে তারে আমি চিনি

শি মানে উহারে আমি জানি না

 

রাস্তা-ভর্তি মানুষ ঘরে যাইতেছে

রাস্তা ভর্তি মানুষ রাস্তায়

থাকিতে চাহে না আর

 

মৌন, মন্থর মানুষগুলি

ঘুমায়ে পড়তেছে

মানুষগুলি আর জাগিতে চাহে না

 

না-চাওয়ার বেদনার ভিতর আমরা

বুড়া হয়া যাইতেছি

একটু দূরে দূরে বহিয়া যাইতেছি

জ্যাম-এ দাঁড়ানো বাস ও ট্রাক

পাশাপাশি যেইরকম অমনোযোগী Continue reading

অ্যা জার্নি বাই বাস

নারীর প্রতি নন-ভায়োলেন্স এবং একটা অ-পরিচয়ের ঘটনা

গত রোজার ঈদে বাড়ি যাওয়ার সময়ের ঘটনা। ৭০ কিমি’র রাস্তা। ঈদের দুইদিন আগে দুপুরের পরে মহাখালী থিকা বিআরটিসি’র এসি-বাস সার্ভিসের ঢাকা-কিশোরগঞ্জের একটা বাসে উঠছি, যাবো ভৈরবে। রাস্তা-ঘাট মোটামুটি ফাঁকা, কিন্তু বাসে মানুষ থইথই।

যেহেতু আমি একা, আমার খালি দেখা।

দেখলাম, স্কিনি একটা মেয়ে, জিনস-পড়া, ফতুয়া; কাঁধে ব্যাগ, কানে হেডফোন। আমার একটা রো পরে, বামপাশে বসলেন এবং আরেকটা সিট-দখল করলেন। কিছুক্ষণ পরে তার মোটা প্রেমিক আইসা বসলো। তেমন কোন কথা নাই। তবে বোঝা গেলো প্রেমিক ঢাকায় থাকেন বা থাকবেন, প্রেমিকারে নরসিংদীতে নামাইয়া দিতে আসছেন। অথবা এই ভ্রমণের নৈকট্য তারা চাইতেছেন। মেয়েটা ‘ভোকাল’ এবং বাস ছাড়তে যখন দেরি হইতেছে তখন তিনি কাউন্টারের লোকদেরকে ‘শুয়োরের বাচ্চা’ ডাকার এবং ‘থাপ্পর দেয়ার’ প্রস্তাব রাখতে পারছেন। উনার প্রেমিক, এতে সম্মতি দিছেন এবং এই ফিলটা দিছেন যে উনি এই ‘পরিকল্পনা’ বাস্তবায়ন করতে আগ্রহী। এই প্রেম, ভায়োলেন্স আমার ভালো লাগলো, কারণ আমি বাড়ি যাইতে চাই দ্রুত। কিন্তু আমি তখনো বুঝতে পারি নাই যে এইটাই একমাত্র ভায়োলেন্ট ঘটনা, নারী’র দিক থিকা। বাকি সব-ই পুরুষের নন-ভায়োলেন্স; এবং নিশ্চিতভাবেই ‘নারীর প্রতি সহিংসতা’ বন্ধের যে প্রচার তার কিছু মিনিমাম অ্যাচিভমেন্ট।

Continue reading