ঘুম

পাহাড়ি গড-এর সীমানা পার হয়ে আমরা নেমে আসছিলাম রাস্তায়, ট্রাফিক জ্যামে। মানুষের কথা, মানুষের সঙ্গ খালি ক্লান্ত করে। একই কথা তাঁরা বলতে থাকে, একই গান গাইতে থাকে। আর বলে এরা নতুন। আমাদের ভঙ্গিমা দিয়া আমরা নতুন কিছু আবিষ্কার করতেছি। নতুন নতুন আবিষ্কার দেখতে দেখতে শুনতে শুনতে ক্লান্ত লাগতে থাকে। রিকশায় কিছুদূর আসার পরে মনেহয় রিকশায় বইসাই ঘুমায়া যাই। পাহাড়ে রিকশা নাই। Continue reading

কবিতা লেখা

বিনয় মজুমদার মনেহয় এইরকম একটা পদ্ধতির কথা বলছিলেন কবিতার লেখার যে, ধরেন, আপনি রাস্তায় আইসা রিকশা পাইতেছেন না; তখন আপনি তো বলতেই পারেন যে, রাস্তায় আজকে কোন রিকশা নাই। কিন্তু আপনি যদি লিখেন যে, পৃথিবীর রাস্তায় আজকে কোন রিকশা নাই! এইটা কিন্তু কবিতা হইয়া গেলো!! মানে, কবিতা হইলো ক্রিয়েশন অফ ইউনির্ভাসালিটি। সব সময় সব সিচুয়েশনেই এইটা সত্যি মনে হইতে পারে। Continue reading

চাঁদ

[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote] অনেকটা সময় আমি একলা থাকতে পারি। ভাবতে পারি, আমি আছি যে, এইটা আসলে নাই। তখন মনে হইতে থাকে, রাস্তার ধূলা, টেম্পোর হর্ণ, ট্রাকের ভোমা চাকা, রিকশাগুলার একটু একটু কইরা চইলা-যাওয়া, এরা তো আছে। এরা ধইরা রাখবে না আমারে! যেহেতু আমি দেখতেছি, তারাও কি দেখে না আমারে! দেখে, অপরিচিতের মতোই। যেমন চাঁদ দেখে আমারে। চাঁদ দেখে তারেও, যে থাকে দূরে। এমন একটা দূর, যেইখানে চাইলেই যাইতে পারি আমি, শেও আসতে পারে। আমি আর চাঁদ, দূর থিকা দেখি, একজন আরেকজনরে। দেখার ভিতর দিয়াই ভুলে যাবো কোনদিন আমাদেরকে আমরা! চাঁদ বলে। চাঁদ-ই তো দেখে আমার না-দেখা। তারপরও, তারপরও ভুলে যাবে, না?




লোনলিনেস

ছবি: দঈত আননাহাল

অনেকদিন পরে লোনলিনেসের সাথে আবার দেখা। সে কয়, ভাই আপনি না গেছিলেন গা; আবার কই থিকা আইলেন? আমি কই; না, না, ফিরা আসি নাই ত একবারে; দেখতে আইলাম রাস্তাঘাট কিরকম, আগের মতোন আছে কিনা; এখনো গরুর দুধের চা বেচো নাকি, এইসব। সে কয়, দুইটা সিগ্রেট খান ভাই, একটার পুটকি দিয়া আরেকটা ধরাইয়া, তাইলে ভাল্লাগবো। কুয়াশা এখনো পড়ে নাই। মনেহয় বাতাসে খালি একটু ধোঁয়া উঠতেছে। রিকশা-ট্রাক-বাস-টেম্পু-কার সবাই যাইতেছে কোথাও না কোথাও। লোনলিনেস চা বানাইতেছে। চা-টা খাইয়া আমি আবার হাঁটতে হাঁটতে বাসায় চইলা আসবো। মনেই হবে না, রাস্তায় লোনলিনেসের সাথে দেখা করতে গেছিলাম। মাঝে মাঝে এইরকম ত আসা-ই যায়, আমি ভাবতেছিলাম।